পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

م, * و এষ্টম সংখ্যা । ] রাজউপস্বিনী। ల$4 জাসিত, পিতৃদেব নিজের সাধ্যমত এবং পরম সমাদরে বরাবর তাহীদের আতিথ্যসৎকার করিভেন ! আহারাদিবিষয়ে আমাদের সহিত এই সব অতিথির কোন পার্থক্য থাকিত না এবং অনেকসময় এরূপ ভিড় হইত যে, আমাদের পাঠগৃহ পৰ্য্যন্ত র্তাহারা দখল করিয়া বসিতেন। এই সংখ্যায় মহারাণীর কথা যাহা লিখিত হইল, তাহার অধিকাংশ পিতৃদেবের কাছে শুনিয়াছি। fo পুঠিয়াগ্রামে গোপীনাথ সান্তাল মহাশয় একজন বিশেষ ক্ষমতাশালী লোক ছিলেন । চারি-আনির রাণী স্বৰ্য্যমণি দেবী তাহার সহোদর ভগিনী । তাহার দ্বারা অবহু সাদ্যালমহাশয়ের অনেকক্সপ সাহায্য হইত। কিন্তু তিনি যেরূপ বুদ্ধিমান ও কার্যক্ষম ছিলেন, রাণীর সহায়তা না পাইলেও তাহার উন্নতির কোন প্রতিবন্ধক ঘটিত না । জমিদারী এবং পত্তনীতে ক্রমশ তিনি পচিশহাজারটাকা লাভের সম্পত্তি অর্জন করিয়াছিলেন, এবং দোলঘুর্গোৎসবাদি ক্রিয়াকলাপে বিস্তর ব্যয় করিতেন । সৰ্ব্বাপেক্ষা অতিথিসেবায় তাহার বড় প্রীতি ছিল। র্তাহার দুই পুত্রের মধ্যে জ্যেষ্ঠ বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়াই মারা যান, কনিষ্ঠপুত্র ভৈরবনাথ সমস্ত সম্পত্তির অধিকারী হইয়া পিতার যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ ও অতিথিসেবা স্থির রাখিয়াছিলেন। মহারাণী শরৎসুন্দরী তাহারই জ্যেষ্ঠ কস্তা, কনিষ্ঠ কন্য৷ শ্ৰীমুন্দরা তাহার জন্মের বারবৎসর পরে ভূমিষ্ঠ হন। পিতার দেবোত্তরসম্পত্তির তিনিই এক্ষণে লেবায়েৎ ৷ সন ১২৬৫ সালের ২৩শে আশ্বিন মহারাণী জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকালাবধি তিনি বড় শান্ত ও মুশীল ছিলেন, ভারি বুদ্ধিমতা কিন্তু ধীরবুদ্ধি। অন্দরমহলে মেয়েদের কাছেই থাকিতে ভালবাসিতেন। পিতার যত্ন এবং চেষ্টায় কখন কখন বহিৰ্ব্বাটতে আঁসিলেও বেশীক্ষণ থাকিতে পারিতেন না। সেখানে পিতা প্রজাদের উপর ধমক-চমক করিলে ফঁাদিতে কঁাদিতে ভিতরে পলাইতেন। একবার একজন প্রজা শুরুতর অপরাধ করায় সান্তালমহাশয়ের আদেশে প্রহৃত হইল। দেখিয়া পঞ্চমবর্ষীয় শরৎসুন্দরী মূচ্ছিত হইয় পড়িলেন, সেই অবধি তিনি আর বাহিরের বাটতে আসিতেন না। একটু বেশী বয়সে ছাটিতে শেখেন। ছাটিতে শিখাইবার জন্য চাকরের তার প্রিয়খাদ্য কমলালেবুর লোভ দেখাইত। গর্ভে ধরিয়া সাতবৎসর বয়সে র্তাহার বিবাহ হয়। র্তাহার পিতামহীর তিনি বড় স্নেহপাত্রী ছিলেন । পিতামহী মাধবপুরের ভাদুড়ীদের কন্যা, পিত্ৰালয় হইতে কিছু বিষয় পাইয়াছিলেন। তিনি ভারি তেজস্বিনী ছিলেন এবং রাজবাটীতে পৌত্রীর বিবাহ দিতে কিছুতে ইচ্ছুক ছিলেন না। बंद्र, বিবাহ হইল এই দুঃখে কিছুদিন পরে তাহার মৃত্যু হয়। অনিচ্ছার কারণ, এক জেলে গণক গণনা করিয়া বলিয়াছিল যে, অত্যর বয়সে শরৎসুন্দরীর বৈধব্য ঘটিৰে। মহারাণীমাতা গল্প করিতেন যে, হাবু প্রতি তার মেহের সীমা ছিল না এবং শৈশবে তিনি পিতামহীকে “ছাওঁয়াল” বলিতেন। রাজবাটার ঠাকুরাণীরা বিবাহের পর শিশুদম্পতিকে লইয়। সেকালের প্রথামত খুব কৌতুক করিতেন। বালিক স্বামীকে বলতেন,