অষ্টম সংখ্যা । ] সেকালে শিক্ষিত বা অৰ্দ্ধশিক্ষিত যুবকদের भन डेखि न । नकौ, नौडl, नाविजौद्र ছায়াশ্রিতা হিন্দুসহধৰ্ম্মিণীর প্রেমপুর্ণ হৃদয় উপেক্ষা করিয়া তাহারা পাশ্চাত্য পৌরুষভাবপ্রধান স্ত্রীসমাজের পক্ষপাতী হইয়া পড়িয়াছিলেন এবং গৃহিণীগণ সেই আদর্শ সফলীকৃত করিতে না পারিলে সংসার আঁধার দেথিতেন । ওয়ার্ডস ইনষ্টিটিউটের বিলাতীভাৰপুষ্ট নবীন যুবক রাজা যোগেন্দ্রনারায়ণের ঠিক সেই দশা হুইয়াছিল । তাহার টুচ্ছ, রাণী,ৰ্তার সহিত অনেকের সমক্ষে কথা কন, লজ্জাশীল তাঙ্গ পারিতেন না। হিন্দুধৰ্ম্মের নিষিদ্ধ আহারাদি করাইবার চেষ্টাও হইত ; বলা বাহুল্য, তাঙ্গ বিফল হইয়াছিল। মাঝে মাঝে স্বামী প্রকাণ্ড দর্পণ সমক্ষে থিয়া কিশোর বধূকে মেমদের হাবলব শিপাইবার যত্ন পাষ্টতেন, কিছুতেই লক্ষ ভাঙিত না। রাণীর অশধারা বহিত, কিছুতে বিনত চক্ষু উঠাইতেন না। রাজ বিষয়ের ভাবগ্রহণ করার কিছুদিন পরেই নীলকর সাহেবদিগের সঙ্গে রাজশাঙ্গীস্থ অনেক জমিদার ও বহুসংখ্যক প্রজার বিবাদ উপস্থিত হইল। যোগেন্দ্রনারায়ণ ইষ্টাতে একজন নেতা ছিলেন এবং স্থানীয় রাজকৰ্ম্মচারীদের দ্বারা বিচারপ্রাপ্তির সম্ভাবনা কম বুঝিয়া দৌরাত্মানিবারণের উপায়বিধান জন্য দেওয়ান সঙ্গে কলিকাতায় আসিলেন। কিছুদিন পরে রাণীকেও তথায় লইয়া আসা হুইল। রাজধানীতে সাবালক হওয়ার পর রাজার সেই প্রথম আগমন। দেখিতে দেখিতে কয়েকটি “বড়লোকের সংসর্গে পড়িলেন এবং সংক্ষেপে, হিন্দুসমাজের চক্ষে যাহা-কিছু দূষণীয়, তাহাতে অভ্যস্ত হইলেন। ইহাতে ब्रांछङञन्विनी లిసిసి বালিকা বড় ক্ষুণ্ণ হইতেন এবং প্রিয়দাসী অত্রর দেওয়ানজিকে র্তাহার কষ্টের কথা প্রায়শ জানাইত। একদিন রাজার কেমন সখ হইল, নিজের ভুক্তাবশিষ্ট রাণীকে খাইতে বলিবেন এবং না খাইলে তাহাকে বিশেষরূপ শাসন করিবেন। তাহার পর পাচকত্রাহ্মণদ্বারা বহিৰ্ব্বটিতে ইচ্ছামত পাক করাইয় অন্দরে আহার করিলেন ও পাত্রাবশিষ্ট স্ত্রীকে খাইতে বলিলেন । ত্রয়োদশবর্ষের বালিকা মৃঢ়তার সহিত উত্তর করিলেন, “আপনার ভোজনাবশিষ্ট আমি অবশু খাইব, কিন্তু আমার সাক্ষাতে এই অন্দরমধ্যে পাচিক পাক করিয়া দিবে। তাঁহাই আপনি আহার করিলে থাইতে পারি। নচেৎ বাহিরের প্রস্তুত কিছুই আমি ছুইব না।” এই বিষয় লইয়া রাজার সহিত র্তাহার ঘোরতর তর্কবিতর্ক হষ্টতে লাগিল এবং দাসীরা ভয় পাইল, পাছে কোন অবৈধ আচরণ হয়। দেওয়ানজির বাস রাজবাটীর অতি সন্নিকষ্টে ছিল এবং সেই সময়ে তিনি রাজবাটীতে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ পাইয়া তিনি একেবারে অন্দরমহলে প্রবেশ করিলেন এবং দাসীদের দ্বারা মহারাণীকে সরিতে বলিয়া রাজাকে র্তাহার রূঢ় ব্যবহারের জন্ত অনেক উপদেশ দিলেন। সেই অবধি রাজা সহধৰ্ম্মিণীর প্রতি আর সেরূপ আচরণ করিতেন না। এইরূপ অন্যায়, ব্যবুহারের কথা কখন কেহ মহারাণীর মুখে শুনিতে পায় নাই7 কেবল পিতৃদেবের পেনশনুগ্রহণুের দিন রোদন করিতে করিতে আমার সমক্ষে তিনি বলিয়াছিলেন, তাছার চিরদুঃখের ಸ್ವಣಿ জীবনে দেওয়ানজি চিরদিন হিতাকাঙ্ক্ষণ
