পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ού নিলামকেই একান্ত করিয়া দেখি, তবে বলিতেই হয়, আমাদের দেশে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের খৰ্ব্বতা বড় বেশি। আসল কথা, কোনো দেশের যখন দুৰ্গতির দিন আসে, তখন সে মুখ্যজিনিষটাকে হারায়, অথচ গৌণটা জঞ্জাল হইয়া জায়গা জুড়িয়া বসে। তখন পাখী উড়িয়া পালায়, খাচা পড়িয়া থাকে। আমাদের দেশেও তাই ঘটিয়াছে। আমরা এখনো নানাবিধ বাধাবাধি মানিয়া চলি, অথচ তাহার পরিণামের প্রতি লক্ষ্য নাই। মুক্তির সাধনা আমাদের মনের মধ্যে,—আমাদের ইচ্ছার মধ্যে নাই, অথচ তাহার বন্ধনগুলি আমরা আপাদমস্তক বহন করিয়া বেড়াইতেছি। ইহাতে আমাদের দেশের যে মুক্তির আদর্শ, তাহা ত নষ্ট হইতেছেই ; যুরোপের যে স্বাধীনতার আদর্শ, তাহার পথেও পদে পদে বাধা পড়িতেছে। সাত্ত্বিকতার যে পূর্ণতা তাহ জুলিয়াছি, রাজসিকতার যে ঐশ্বৰ্য্য তাহাও দুর্লভ হইয়াছে, কেবল তামসিকতার যে নিরর্থক অভ্যাসগত বোঝা তাহাই বহন করিয়া নিজেকে অকৰ্ম্মণ্য করিয়া তুলিতেছি। অঙএব এখনকার দিনে আমাদের দিকে তাকাইয়া যদি কেহ বলে, ভারতবর্ষের সমাজ মানুষকে কেবল আচারে-বিচারে আটেঘাটে বন্ধন করিবারই ফলদ, তবে নে রাগ হইতে পারে, কিন্তু জবাব দেওয়া কঠিন হয়। পুকুর ৰখন শুকাইয় গেছে, তখন তাঁহাকে যদি কেহ গর্ভ বলে, তবে তাঁহা আমাদের পৈতৃকসম্পত্তি হইলেও চুপ করি থাকিতে হয়। আসল কথা, সরোবরের পূর্ণত এককালে . पठहे प्रश्नडौब्र झिण, उकू, अदशग्न ठांशद्र রিক্ততার গর্ভটাও ততই প্রকাও হইয়াথাকে। वअनशमि । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, অগ্রহায়ণ । ভারতবর্ষেও মুক্তির লক্ষ্য মে একদা কত সচেষ্ট ছিল, তাহা এখনকার দিনের নিরর্থক বাধাবাধি, অনাবশুক আচারবিচারের দ্বারাই বুঝা যায়। যুরোপেও কালক্রমে যখন শক্তির হ্রাস হইবে, তখন বাধনের অসন্থ ভারের দ্বারাই তাহার পূৰ্ব্বতন স্বাতন্ত্র্যচেষ্টার পরিমাপ হইবে। এখনি কি ভার অনুভব করিয়া সে অসহিষ্ণু হইয়া উঠিতেছে না ? এখনি কি তাহার উপায় ক্রমশ উদ্ধেশুকে ছাড়াইয়া যাইবার চেষ্টা করিতেছে না ? কিন্তু সে তর্ক থাক্‌ ; আসল কথা এই, যদি লক্ষ্য সজাগ থাকে, তবে নিয়মসংযমের বন্ধনই মুক্তির একমাত্র উপায়। ভারতবর্ষ একদিন নিয়মের দ্বারা সমাজকে খুব করিয়া বাধিয়াছিল। "মানুষ সমাজের মধ্য দিয়া সমাজকে ছাড়াইয়া যাইবে বলিয়াই বাধিয়াছিল। ঘোড়াকে তাহার সওয়ার লাগাম দিয়া বঁধে কেন, এবং নিজেই বা তাহার সঙ্গে রেকাবের দ্বারা বদ্ধ হয় কেন—ছুটিতে হইবে বলিয়া, দুরের লক্ষ্যস্থানে যাইতে হইবে বলিয়া। ভারতবর্ষ জানিত, সমাজ মামুষের শেষলক্ষ্য নহে, মানুষের চির-অবলম্বন নহে—সমাজ হইয়াছে মানুষকে মুক্তির পথে অগ্রসর করিয়া দিবার জন্ত। সংসারের বন্ধন ভারতবর্ষ বরঞ্চ বেশি করিয়াই স্বীকার করিয়াছে তাহার হাত হইতে বেশি করিয়া নিস্কৃতি পাইবার অভিপ্রায়ে । এইরূপে বন্ধন ও মুক্তি, উপায় ও উদেন্ত, উভয়কেই মান্য করিবার কথা প্রাচীন উপনিষদের মধ্যেও দেখা যায়। ঈশোপনিষৎ • বলিতেছেন ঃ–