পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২৮ প্রার্থনার অভ্যন্তরে একটিমাত্র গভীরতম প্রার্থনা আছে, তাহ আমরা বুদ্ধিতে জানি বা না জানি, তাহা আমরা মুখে বলি বা না বলি, আমাদের ভ্রমের মধ্যেও, আমাদের দুঃখের মধ্যেও, আমাদের অন্তরাত্মা হইতে সে প্রার্থনা সৰ্ব্বদাই তোমার অভিমুখে পথ খুজিয়া চলিতেছে । সে প্রার্থন এই যে, আমাদের সমস্ত জ্ঞানের দ্বারা যেন শাস্তকে জানিতে পারি, আমাদের সমস্ত কৰ্ম্মের দ্বারা যেন শিবকে দেখিতে পাই, আমাদের সমস্ত প্রৈমের দ্বারা বঙ্গদর্শন । - [ ೬ಕಿ বর্ষ, পৌষ। যেন অদ্বৈতকে উপলব্ধি করি। ফললাভের প্রত্যাশা সাহস করিয়া তোমাকে জানাইতে পারি না, কিন্তু আমার আকাঙ্ক্ষা এইমাত্র যে, সমস্ত বিঘ্ন-বিক্ষেপ-বিকৃতির মধ্যেও এই প্রার্থনা যেন সমস্ত শক্তির সহিত সত্যভাবে তোমার নিকট উপস্থিত করিতে পারি। অন্ত সমস্ত বাসনাকে ব্যর্থ করিয়া হে অন্তর্যামিন্‌ আমার এই প্রার্থনাকেই গ্রহণ কর যে, আমি কদাপি যেন জ্ঞানে, কৰ্ম্মে, প্রেমে উপলব্ধি করিতে পারি যে,তুমি শান্তং শিবম্ অদ্বৈতম্। ওঁ,শান্তিঃ শান্তি শান্তিঃ । শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । مفعتكشمضصعصعصصصعصمتهنيه সৌন্দৰ্য্যবোধ ।

  • >>'వiవ

প্রথম বয়সে ব্রহ্মচৰ্য্যপালন করিয়া নিয়মেংযমে জীবনকে গড়িয়া তুলিতে হইবে। ভারতবর্ষের এই প্রাচীন উপদেশের কথা তুলিতে . গেলে অনেকের মনে এই তর্ক উঠিবে, “এ যে বড় কঠোর সাধন । ইহার দ্বার না হয় খুব একটা শক্ত মানুষ তৈরি করিয়া তুলিলে, না হয় বাসনার দড়িদড় ছিড়িয়া মস্ত একজন সাধুপুরুষ হইয়া উঠিলে, কিন্তু এ সাধনায় রসের. স্থান কো' tয় ? কোথায় গেল সাহিত্য, চিত্র, সঙ্গীত ? মানুষকে যদি পুরা করিয়া তুলিতে হয়, তবে সৌন্দৰ্য্যচুচুঁচাকে ফাকি দেওয়া চলে না ।” এ ত ঠিক কথা । সৌন্দুৰ্য্য ত চাই। আত্মহত্যা ত সাধনার বিষয় হইতে পারে না, আত্মার বিকাশই সাধনার লক্ষ্য। বস্তুত শিক্ষাকালে ব্রহ্মচৰ্য্যপালন শুষ্কতার সাধনা

  • * *

নয়। ক্ষেত্রকে মরুভূমি করিয়া তুলিবার জন্ত চাষা খাটিয়া মরে না । চাষা যখন লাঙল দিয়া মাটি বিদীর্ণ করে, মই দিয়া ঢেলা দলিয়া গুড়া করিতে থাকে, নিড়ানী দিয়া সমস্ত ঘাস ও গুল্ম উপড়াইয়া ক্ষেত্রটাকে একেবারে শূন্ত করিয় ফেলে, তখন আনাড়ি লোকের মনে হইতে পারে,জমিটার উপর উৎপীড়ন চলিতেছে। কিন্তু এম্নি করিয়াই ফল ফলাইতে হয়। তেমনি যথার্থভাবে রসগৃহণের অধিকারী হইতে গেলে গোড়ায় কঠিন চাষেরই দরকার। রসের পথেই পথ ভুলাইবার অনেক উপসর্গ আছে। সে পথে সমস্ত বিপদ এড়াইয়া পূর্ণতালাভ করিতে যে চায়, নিয়মসংযম তাহারই বেশি অবিস্তক। রসের ಇತ್ತ್ಜ নীরসতা স্বীকার করিয়া লইতে হয়। মামুষের দুর্ভাগ্য এই যে, উপলক্ষ্যের দ্বারা \