পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম সংখ্যা । ] · সৌন্দৰ্য্যবোধ । 8২৯ লক্ষ্য প্রায়ই চাপা পড়ে ; সে গান শিথিতে অপব্যয় এবং ক্লেশ যতই বেশি, প্রয়োজনচায়, ওস্তাদী শিথিয়া বসে ; ধনী হইতে চায়, হীন সঞ্চয় ও পরিণামহীন জয়লাভের টাকা জমাইয়া কৃপাপাত্র হইয় ওঠে ; দেশের গৌরবও তত বেশি বলিয়া বোধ হয়। নিয়মহিত চায়, কমিটিতে রেজোলুশন পাস করিয়াই সাধনার লোভও ক্লেশের পরিমাণ খতাইয় নিজেকে কৃতার্থ মনে করে। আনন্দভোগ করে। কঠিন শয্যায় শুইয়া তেমনি নিয়মসংযমটাই চরম লক্ষ্যের যদি মুরু করা যায়, তবে মাটিতে বিছানা সমস্ত জায়গা জুড়িয়া বসিয়া আছে, এ আমরা পাতিয়া, পরে একখানিমাত্র কম্বল বিছাইয়া, প্রায়ই দেখিতে পাই। নিয়মটাকেই যাহারা পরে কম্বল ছাড়িয়া শুধু মাটিতে শুইবার লাভ, যাহারা পুণ্য মনে করে, তাহার নিয়মের লোভ ক্রমেই বাড়িয়া উঠতে থাকে। কুচ্ছলোভে একেবারে লুব্ধ হইয়া উঠে। নিয়ম- সাধনটাকেই • লাভ মনে করিয়া শেষকালে লোলুপতা ষড়রিপুর জায়গায়. সপ্তম রিপু, আত্মঘাতে আসিয়া দাড়ি টানিতে হয়। ইহা হইয়া দেখা দেয়। " আর-কিছু নয়, নিবৃত্তিকেই একটা প্রচণ্ড এটা মানুষের জড়ত্বের একটা লক্ষণ। প্রবৃত্তি করিয়া তোলা, গলার ফাস ছিঁড়িবার সঞ্চয় করিতে সুরু করিলে মানুষ আর থামিতে চেষ্টাতেই গলায় ফাস স্লাটিয়া মরা। চায় না । বিলাভের কথা শুনিতে পাই, সেখানে অতএব কেবলমাত্র নিয়মপালন করাকত লোক পাগলের মত কেবল দেশবিদেশের টাকেই যদি লোভের জিনিষ করিয়া তোলা ছাপমার ডাকের টিকিট সংগ্ৰহ করিতেছে, যায়, তবে কঠোরতার চাপ কেবলই বাড়াইয়া সেজন্য সন্ধানের এবং খরচের অস্ত নাই। তুলিয়া স্বভাব হইতে সৌন্দৰ্য্যবোধকে একেএইরূপ সংগ্রহবায়ুদ্ধার ক্ষেপিয়া উঠিয়া কেহ বারে পিষিয়া বাহির করা যাইতে পারে, সন্দেহ বা চিনের বাসন, কেহ বা পুরাতন জুতা নাই। কিন্তু পূর্ণতালাভের প্রতিই লক্ষ্য সংগ্ৰহ করিয়া মরিতেছে। উত্তরমেরুর ঠিক রাখিয়া সংযমচর্চাকেও যদি ঠিকমত 'সংযত কেন্দ্রস্থানটিতে গিয়া কোনোমতে একটা ধ্বজ করিয়া রাখিতে পারি, তবে মনুষ্যত্বের কোনো পুতিয়া আসিতে হইবে, সেও এমনি একটা উপাদানই আঘাত পায় না, বরঞ্চ পরিপুষ্ট হইয়া ব্যাপার। সেখানে বরফের ক্ষেত্র ছাড়া আর উঠে। - কিছু নাই কিন্তু মন নিবৃত্ত হইতেছে না— কথাটা এই যে, ভিতমাত্রই শক্ত হইয়া কে সেই মেরুমরী কেন্দ্রবিন্দুটির কত মাইল থাকে, না হইলে তাহা আশ্রয় দিতে পারে কাছে যাইতেছে, তাহারই অঙ্কপাতের নেশা না । যাহা-কিছু ধারণ করিয়া থাকে, যাহ। পাইয়া বসিয়াছে। পাহাড়ে যে যত ফুট উচ্চে আকৃতিদান করে, ফ্লাহু কঠিন। মানুষের উঠিয়াছে, সে ততটাকেই একটা লাভ বলিয়া শরীর যতই নরম হোক না কেন, যদি শক্ত ့် করিতেছে; এই শূন্ত লাভের জন্ত নিজে হাড়ের উপরে তাহার পত্তন না হইত, তবে মরিতেছে এবং কত অনিচ্ছুক মজুরদিগকে জোর সে একটা পিণ্ড হইয়া থাকিত, তাহার চেহারা করিয়া মারিতেছে, তবু থামিতে চাহিতেছে না। খুলিতই না। তেমনি জ্ঞানের ভিত্তিটাও শক্ত, \"