পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8S、 रात्रल॰नि । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, পৌষ । ইচ্ছার যদি চরিতার্থতা চাও, তবে ইচ্ছাকে শাসনে রাখ – যদি সৌন্দর্য্যভোগ করিতে চাও, তবে ভোগলালসাকে দমন করিয়া গুচি হইয়া শাস্ত হও । প্রবৃত্তিকে যদি দমন করিতে না জানি, তবে প্রবৃত্তিরই চরিতার্থতাকে আমরা সৌন্দর্য্যবোধের চরিতার্থতা বলিয়া ভুল করি— যাহা চিত্তের জিনিষ, তাহাকে স্থাই হাতে করিয়া দলিয়া মনে করি, যেন তাহকে পাইলাম। এইজন্তই বলিয়াছি, সৌন্দর্যবোধ ঠিকমত উদ্বোধনের জন্ত ব্রহ্মচর্যের সাধনাই আবশ্বক। যাহাঁদের চোখে ধূলা দেওয়া শক্ত, তাহারা হঠাৎ সন্দিগ্ধ হইয়া বলিয়া উঠিবেন, এ যে একেবারে কবিত্ব আসিয়া পড়িল । তাহারা বলিবেন, সংসারে ত তামরা প্রায়ই দেখিতে পাই, যে-সকল কলাকুশল গুণীরা সৌন্দৰ্য্যসৃষ্টি করিয়া আসিয়াছেন, তাহারা অনেকেই সংযমের দৃষ্টান্ত রাখিয়া যান নাই। র্তাহীদের জীবনচরিতটা পাঠ্য নহে। অতএব কবিত্ব রাখিয়া এই বাস্তব সত্যটার আলোচনা করা দরকার । আমার বক্তব্য এই যে, বাস্তবকে আমরা এত বেশি বিশ্বাস করি কেন ? কারণ, সে প্রত্যক্ষগোচর। কিন্তু অনেকস্থলেই মানুষের সম্বন্ধে আমরা যাহাকে , বাস্তব বলি, তাহার বেশির তাগই আ বাদের অপ্রত্যক্ষ। একটুখানি দেখিতে পাই বলিয়া মনে করি সবটাই যেন দেখিতে পাইলাম, এইজন্য মানুষঘটিত বাস্তববৃক্টান্ত লইয়া একজন যাহাকে শাদা বলে, बांह • একজন তাহাকে মেটে বলিলেও বাচিতাম, তাহাকে একেবারে কালে বলিয়া বসে। . নেপোলিয়নকে কেহ বলে দেবত, কেহ বলে দানব। আকবরকে কেহ বলে উদার প্রজাহিতৈষী, কেহ বলে তাহার হিন্দুপ্রজার পক্ষে তিনিই যত নষ্টের গোড়া । কেহ বলেন বর্ণভেদেই আমাদের হিন্দুসমাজ রক্ষা করিয়াছে, কেহ বলে বর্ণভেদের প্রথাই আমাদিগকে একেবারে মাটি রুরিয়া দিল। অথচ উভয় পক্ষেই বাস্তবসত্যের দোহাই দেয়। - বস্তুত মানুষঘটিত ব্যাপারে একই জায়গায় আমরা অনেক উল্টাকাগু দেখিতে পাই । মানুষের দেখা-অংশের মধ্যে যে সকল বৈপরীত্য প্রকাশ পায়, মানুষের না-দেখা অংশের মধ্যেই নিশ্চয় তাহার একটা নিগৃঢ় সমন্বয় আছে – অতএব আসল সত্যটা যে প্রত্যক্ষের উপরেই ভাসিয়া বেড়াইতেছে, তাহা নহে, অপ্রত্যক্ষের মধ্যেই ডুবিয়া আছে—এইজন্যই তাহাকে লইয়া এত তর্ক, এত দলাদলি এবং এইজন্তই একই ইতিহাসকে দুই বিরুদ্ধপক্ষে ওকালতনাম দিয়া থাকে। জগতের কলানিপুণ গুণীদের সম্বন্ধেও যেখানে আমরা উল্টাকাগু দেখিতে পাই, সেখানেও বাস্তবসত্যের বড়াই করিয়া হঠাৎ কিছু বিরুদ্ধ কথা বলিয়া বসা যায় না । সৌন্দর্য্যস্পষ্ট দুৰ্ব্বলতা হইতে, চঞ্চলত হইতে, অসংযম হইতে ঘটিতেছে, এটা যে একটা অত্যন্ত বিরুদ্ধ কথা । বাস্তবসত্য সাক্ষ্য দিলেও,আমরা বলিব, নিশ্চয় সকল সাক্ষীকে হাজির পাওয়া যায় নাই, আসল সাক্ষীটি পালাইয়া বসিয়া আছে। যদি দেখি কোনো ডাকাতের দল খুবই উন্নতি করিতেছে, তবে সেই বাস্তবসত্যের, সহায়ে ७क़* निकांड 'कब्र यांञ्च न cय, नर्शवृखिहे উন্নতির উপায়। তখন এই কথা বিনা প্রমাণেই বলা যাইতে পারে যে, দক্ষ্যদের