পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৰম সংখ্য । } SAMMMMMMAAASAASAASAAAS -- বারাণসী-অভিমুখে । gtశీ সায়, দিগ্‌দৰ্শনের চিহ্লস্কপে ইহা অঙ্কিত রহিমাছে। কিন্তু এই স্থানের উপকূলে নোঙর ফেলিবার সুবিধা নাই ; সুতরাং নাবিকগণ, দুর দিগন্তপটে অঙ্কিত একটি চিত্র ভিন্ন, এই পুরাতন মন্দিরসম্বন্ধে আর কিছুই অবগত নছে। একটা চওড়া ও সোজা রাস্ত মন্দির পৰ্য্যস্ত গিয়াছে। যে সময়ে আমি পৌছিলাম, রাস্তাটা লোকে লোকণকীর্ণ। কিন্তু এখানকার ভারত যেন একটু বহুভাবাপন্ন ; —বিদেশীকে দেখিলে এখনো যেন বিক্ষিত হয় ;—বিদেশীকে দেখিবার জন্য পথপরিবর্তন করে, শিশুরা পিছনে-পিছনে চলিতে থাকে । নগ্ন লোকগুলা, সমুদ্রবায়ুর প্রভাবে একটু কালো হইয়! গিয়াছে ; মলমল-ওড়নায় আচ্ছাদিত রমণীগণের পায়ে এত অধিক মল-নুপুর যে, তাহার ভারে তাইাদের গমন মন্থর হইয়া পড়িয়াছে ; হস্তের প্রকোষ্ঠ হইতে স্কন্ধ পর্য্যন্ত এত অধিক বলয়-যাজুবন্ধ যে, দেখিলে মনে হয়, যেন তাঙ্গাদের সমস্ত হাত আগাগোড় একটা রৌপ্য কিংবা তাম্রকোষের মধ্যে আবন্ধ। এখানকার কোন ক্ষুদ্র গৃহই রঙের চিত্রে একেবারে আচ্ছন্ন নহে ; গুহের চুনকাম-করা শুধু মুখভাগের উপর দেবদেবীর মূৰ্ত্তি অঙ্কিত ; কাহারও দেহ নীল, কাহারও দেহু লাল, কাহারও মুখে নিষ্ঠুরভাব— এইরূপ সারি-সারি বরাবর চলিয়াছে ; Thebes f(x Memphis-): “ফ্রেস্কো” চিত্রে যেরূপ মূৰ্ত্তিগুলি সজ্জিত, ইহা কতকটা সেই ধরণের । তা ছাড়া, গৃহের গঠনীতি মিশরকে স্মরণ করাইয়া দেয়—সেই রূপ অনুচ্চ ও স্থল ধরণের, সেইরূপ পোস্তার & @ গাথুনি, সেইরূপ থাম, সেইরূপ গুরুভার দেয়াল—যাহা ভারাতিশয্যে পশ্চাতে ঝুকিয়া রহিয়াছে। মন্দিরটি একটি বিশাল ভীষণ দুর্গবিশেষ ; চতুষ্পার্শ্বে উচ্চ দস্তুর - চতুষ্কোণ প্রাকার ; প্রত্যেক পাশ্বের মধ্যস্থলে একএকটি দ্বার । যে রাস্তা দিয়া আমরা এখন পদব্রজে চলিতেছি, মন্দিরের প্রধান দ্বারটি সেই রাস্তার ঠিক সোজাসুজি। দ্বারের দুই পাশ্বে তুইটা প্রকাও প্রস্তরময়। পঞ্চমূৰ্ত্তি ; পশুর চোখদুটা গোলাকার, নাক , থ্যাবড়া ও মুখের ‘হ’ ভীষণ। এই দুই পশুমূৰ্ত্তির মাঝখান দিয়া একটি বৃহৎ শুভ্ৰ সোপান মন্দিরের উপর উঠিয়াছে ; সোপানের ধাপগুলা তামবৰ্ণ নগ্নকায় লোকদিগের যাতায়াতে ভারাক্রান্ত । বলা বাহুল্য, এই মন্দিরে আমার প্রবেশাধিকার নাই। মন্দিরের সন্মুখস্থ সানের উপর যেই আমি খৃষ্টতাসহকারে পদার্পণ করিয়াছি, অমনি কতকগুলি পুরোচিত আমাকে একটু পিছনে হটিয়া যাইতে—একটু দূরে গিয়া য়েই বালির উপর দাড়াইতে অনুনয় করিল ;–যাহার উপর সকলেরই অধিকার আছে, সমুদ্রের সেই বেলাভূমি,—সমুদ্রের সেই বালুকারাশি, ' যাহাতে করিয়া জগন্নাথপুরীর সমস্ত রাস্তা তুলাভরা গদির মত থস্থসে বলিয়া মনে হয় । * * কিন্তু এই চতুষ্কোণ ভীষণ প্রাকৃারটি লঙ্ঘন করিয়া ভিতরে যাইতে ন পারিলেও উহা প্রদক্ষিণ করিবার আমারু ’অধিকার আছে। ঐ প্রাকারের প্রত্যেক দিকে বরাবর একএকটা বীথি চলিয়া গিয়াছে ; তাহার જે ধারে শুষ্ক মৃত্তিকানিৰ্ম্মিত গৃহাবলী। બરે