পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজতপস্বিনী । ఛ్:*SH<su: [ জীবনীপ্রসঙ্গ ] মহারাণীমাতার চরিত্রে অনন্যসাধারণ একটা সামঞ্জস্ত ছিল। একাধারে তিনি জ্ঞানযোগিনী প্রবীণার প্রগাঢ় ধৰ্ম্মভাব এবং নিতান্ত সরল বালিকার বিমল রহস্তপ্রিয়তার সমন্বয় করিতে পারিয়াছিলেন। শিশুদের প্রতি তার আচরণ কিরূপ মধুর স্নেহময় ছিল, তাহার পরিচয় কিছু কিছু ইতিপূৰ্ব্বে দিয়াছি। শৈলেশচক্র যখন নিতান্ত বালক, পুটিয়া-বঙ্গবিদ্যালয়ের ছাত্রদের লইয়া প্রতিবৎসর সরস্বতীপূজা,করা তাহার একটি কাজ ছিল। মহারাণী ইহাদের তখনকার উৎসাহ দেখিয়া,ভারি আনন্মলাভ করিতেন। শৈলেশ চাদা-আদায়ের জন্য তাহার কাছে গেলে “শৈলেশের কন্যাদায় উপস্থিত” বলিয়া হাস্তপরিহাস করিতেন এবং কুইতিনদিন পরে ৰখন আর ছেলেদের সাধ্যে কুলাইত না, তখন প্রয়োজনীয় সমস্ত খরচপত্র দিতেন । কাজো-ময়দাওয়ালীর সঙ্গেই র্তাহার আমোদট। সচরাচর জমিত ভাল"। কাদে অনেকদিন হইতে বাবুর বাড়ীতে ও রাজবাটীতে ময়দা সরবরাহ করিত। মহারাণীর চেয়ে সে दब्रहण याब्र रि७१ बंड़ । ' औदछख्द्र भएश *ৰণভাইচকে (শতপদী বা শতপাদিক, -অঞ্চলে ইহাকে “কেল্ল্যা” বলে ) তাহার বড় ভয়,-চক্ষে দেখkদুরে থাৰু, কেছ જે সেই কর্ণজলেীকার প্রসঙ্গ করিলেও সে “ আতঙ্কে পাগলের মত হইত। তখন সে কি বলিত, কি করিত, তাহার কিছুই ঠিকানা থাকিত না। পুরাতন দাসীরা ইহাতে মহা বিরক্ত হইত, তাহাদের বিশ্বাস যে, মাকে দেখাইবার জন্য সে সেরূপ নকল করিতেছে । কিন্তু বাস্তবিকই সে ভয়ে জ্ঞান হারাইত । মহারাণী তাহাকে বড় দয়া করিতেন এবং চিরদিন সে রাজসংসারে রীতিমত প্রতিপালিত হইত। ভয় পাইলে অথবা কোনরূপ রহস্ত করিলে তাহার "মূৰ্ত্তি কেমন-একটা হাস্যকর কিভূত-কিমাকার ধারণ করিত, তিনি তাহাতে আনন্দামুভব করিতেন। কোথাও একটা “কাত্তাই” দেখিতে পাইলে কাদোকে আদর করিয়া কাছে ডাকিতেন এবং আশ্চৰ্য্য-কিছু দেখাইবার ছলে সেখানে লইয়। যাইতেন । বেচারী কতকটা কৌতুহলবশে কতক বা সন্দেহান্দোলিত চিত্তে র্তাহার অনুবর্তন করিত, তার পর “কেপ্ল্যা"র উপর চক্ষু পড়িবামাত্র চীৎকার করিয়া উঠিত। মা বড় সহজে কাহারও সেবাগ্রহণ করিতেন না, কিন্তু সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে বা পরে কাদে রাজবাটতে আসিলে সহসা পদে বেদন অনুভব করিতেন এবং কাতরভাবে তাছাকে একটু • পদসেবা করিতে বলিতেন। পা টিপিতে টিপিতে