পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8brb" না, পরকে আপনার করিয়া জানা, আপনাকে পরের করিয়া জানা । যখন তেমন করিয়া জানি, তখন কোনো প্রশ্ন থাকে না। এ কথা আমরা কখনো জিজ্ঞাসা করি না যে, আমি আমাকে কেন ভালবাসি, আমার আপনার অমৃভূতিতেই যে আনন্দ । সেই আমার অনুভূতিকে অন্তের মধ্যেও যখন পাই, তখন এ কথা আর জিজ্ঞাসা করিবার কোনো શઃজনই হয় না যে, তাহাকে আমার কেন তাল লাগিতেছে। ፄ যাজ্ঞবল্ক্য গাগীকে বলিয়াছিলেন – “নবা অয়ে পুত্রস্ত কামার পুত্র: প্রিয়ে৷ ভবতি আত্ম নন্ত কামায় পুত্র: প্রিয়েী ভবতি । নবী অরে বিত্তস্ত কামায় বিত্তং প্ৰিয়ং ভবতি আত্মনন্ত কামায় বিত্তং প্রিয়ং ভবতি ॥* পুত্রকে চাহি বলিয়াই যে পুত্র প্রিয় হয়, তাহা নহে, আত্মাকে চাহি বলিয়াই পুত্র প্রিয় হয়। বিত্তকে চাহি বলিয়াই যে বিত্ত প্রিয় হয় তাহা নহে, আত্মাকে চাহি বলিয়াই বিত্ত প্রিয় হয়। ইত্যাদি। • এ কথার অর্থ এই, যাহার মধ্যে আমি নিজেকেই পুর্ণতর বলিয়া বুঝিতে পারি, আমি তাহাকেই চাই। পুত্র আমার অভাব দুর করে—তাহার মানে, আমি পুত্রের মধ্যে আমাকে আরো পাই । তাহার মধ্যে আমি যেন আমির্তর হইয়া উঠি । এইজন্ত সে আমার আত্মীয় , আমার আত্মাকে আমার বাহিরেও সে সত্য করিয়া তুলিয়াছে। নিজের ধ্য যে সত্যকে অত্যন্ত নিশ্চিতরূপে অমুভৰ করিয়া প্ৰেম অমুভব করি, পুত্রের মধ্যেও সেই সত্যকে সেইমতই অত্যন্ত অনুভব ধয়াতে খামার সেই প্রেম বাড়িয়া উঠে। बछल-नि । [ ॐ बं, भषि । সেইজন্ত একজন মানুষ যে কি, তাই জানিতে গেলে সে কি ভালবাসে, তাহণ জানিতে হয় । ইহাতেই বুঝা যায়, এই বিশ্বজগতে কিসের মধ্যে সে আপনাকে লাভ করিয়াছে, কতদূর পর্য্যন্ত সে আপনাকে ছড়াইয়া দিয়াছে। যেখানে আমার প্রীতি নাই, সেখানেই আমার আত্মা তাহার গণ্ডির সীমারেখায় আসিয়া পৌছিয়াছে । শিশু বাহিরে আলো দেখিলে বা কিছুএকটা চলাফেরা করিতেছে দেখিলে আনন্দে হাসিয়া উঠে, কলরব করে। সে এই আলোকে, এই চাঞ্চল্যে আপনারই চেতনাকে অধিকতর করিয়া পায়—এইজন্তই তাহার আননা । কিন্তু ইন্দ্ৰিয়বোধ ছাড়াও ক্রমে যখন তাহার চেতন হদয়মনের নানা স্তরে ব্যাপ্ত হইতে থাকে, তখন শুধু এতটুকু আন্দোলনে তাহার আনন্দ হয় না। একেবারে হয় না, তাহা নহে, অল্প হয় । এমনি করিয়া মানুষের বিকাশ যতই বড় হয়, সে ততক্ট বড়-রকম করিয়া আপনার সত্যকে অনুভব করিতে চায়। এই যে নিজের অন্তরাত্মাকে বাহিরে অনুভব করা, এটা প্রথমে মানুষের মধ্যেই মানুষ অতি সহজে এবং সম্পূর্ণরকমে করিতে পারে। চোখের দেখায়, কানের শোনায়, মনের ভাবায়, কল্পমার খেলায়, হৃদয়ের নানান টানে মামুষের মধ্যে সে স্বভাবতই নিজেকে পুরাপুরি আদায় করে। এইজন্ত মানুষকে জানিয়া, মানুষকে টানিয়া, মামুষের কাজ করিয়া সে এমন কানায়-কানায় ভরিয়া ਦੋਂ ! . এইজন্তই দেশে এবং কালে যে মায়ুব;ষত' বেশি মানুষের মধ্যে আপনার আত্মাকৈ