পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o সে রস আহারের তৃপ্তিকে ছাপাইয়া উছলিয়৷ উঠে না। পেটটি পুরাইয়া একটি জলদগম্ভীর “আঃ—” বলিয়াই তাহাকে হাতে-হাতেই नशा-निशि नििश। দিই। সাহিত্যের রাজভারে তাহাকে দক্ষিণার জন্য নিমন্ত্রণপত্র দিই না। কিন্তু যাহা আমাদের ভাড়ারম্বরের উাড়ের মধ্যে কিছুতেই কুলায় না, সেই সকল রসের বন্যাই সাহিত্যের মধ্যে ঢেউ তুলিয়া কলধ্বনি করিতে করিতে বহিয়া যায়। মানুষ তাহাকে কাজের মধ্যেই নিঃশেষ করিয়া দিতে পারে না বলিয়াই ভরা-হৃদয়ের বেগে সাহিত্যের মধ্যে তাহাকে প্রকাশ করিয়া তবে বীচে। এইরূপ প্রাচুর্য্যেই মানুষের যথার্থ প্রকাশ। মাহুষ যে ভোজনপ্রিয়, তাহা সত্য বটে, কিন্তু মানুষ যে বীর, ইহাই সত্যতম। মানুষের এই সত্যের জোর সাম্‌লাইবে কে ? তাছা ভাগীরথীর মত পাথর গুড়াইয়া, ঐরাবতকে তারাইল, গ্রাম-নগর-শস্তক্ষেত্রের তৃষ্ণ মিটাইয়া একেবারে সমুদ্রে গিয়া পড়িয়াছে। মামুযের বীরত্ব মানুষের সংসারের সমস্ত কাজ সারিয়া-দিয়া সংসারকে ছাপাইয়া উঠিয়াছে। এমনি করিয়া স্বভাবতই মানুষের যাহাকিছু বড়, যাহা কিছু নিত্য, যাহা সে কাজেকৰ্ম্মে ফুরাইয়া ফেলিতে পারে না, তাহাই মাজুষের সাহিত্য ধরা পড়িয়া আপনা-আপনি মানুষের বিরাটুরূপুকেই গড়িয়া তুলে। সারে একটি কারণ আছে। সংসারে বাহাকে আমরা দেখি, তাহাকে ছড়াইয়া দেখি —তাহাকে এখন একটু তখন একটু, এখানে • একটু সেখানে একটু দেখি—তাহাকে আবে। আগস্ট্রার সঙ্গে-মিশাইরা দেখি। কিন্তু সাহিভ্যে दछत्रभfब ।। [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, মাৰ । সেই সকল ফাক, সেই সকল মিশাল থাকে না । সেখানে যাহাকে প্রকাশ করা হয়, তাহার উপরেই সমস্ত আলো ফেলা হয় । তখনকার মত আর-কিছুকেই দেখিতে দেওয়া হয় না। তাহার জন্য নানা কৌশলে এমন একটি স্থান তৈরি করিয়া দেওয়া হয়, যেখানে সে-ই কেবল দীপ্যমান। এমন অবস্থায় এমন জমাট স্বাতন্ত্র্যে, এমন প্রখর আলোকে যাহাকে মানাইবে না, তাহাকে আমরা স্বভাবতই এ জায়গায়াড় করাই না । কারণ, এমন স্থানে অযোগ্যকে দাড় করাইলে তাহাকে লজ্জিত করা হয় । সংসারের নানা আচ্ছাদনের মধ্যে পেটুক তেমন করিয়া চোখে পড়ে না –কিন্তু সাহিত্যমঞ্চের উপর তুাহাকে একাগ্র আলোকে ধরিয়া দেখাইলে সে হাস্যকর হইয়া উঠে। এইজন্ত মানুষের যে প্রকাশটি তুচ্ছ নর - মানবহৃদয় যাহাকে করুণায় বা বীৰ্য্যে, রুদ্রতায় বা শাস্তিতে আপনার উপযুক্ত প্রতিনিধি বলিয়া স্বীকার করিতে কুষ্ঠিত না হয়, যাহা কলুনৈপুণ্যের বেষ্টনীর মধ্যে দাড়াইয়া নিত্যকালের অনিমেষ দৃষ্টিপাত মাথা তুলিয়া সহ করিতে পারে, স্বভাবতই মানুষ তাহাকেই সাহিত্যে স্থান দেয় ; নহিলে তাহার অসঙ্গতি আমাদের কাছে পীড়াজনক হইয় উঠে। রাজা ছাড়া আর , কাহাকেও সিংহাসনের উপর দেখিলে আমাদের মনে বিদ্রোহ উপস্থিত হয় । কিন্তু সকল মামুষের বিচারবুদ্ধি বড় ময়, সকল সমাজও বড় নয়, এবং একএকটা गर्भब्र আসে, যখন ক্ষণিক ও ক্ষুদ্র মোহে মানুষকে • 就 & 季 ছোট করিয়া দেয়। তখন সেই দুঃসময়ের