পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o মৃত্যু। مهایی که ناحیه هخچه আচাৰ্য্য রম্বর তাবিষ্কার । “মৃত্যু”—কোন লোকেরই ঐ কথাটির যথার্থ অর্থবোধ নাই, তবুও কে জানে, শুনিলে কেন মনে এত ভয় আসে। একজন মহাবিজ্ঞ ভাবুক লিখে গেছেন—“যেমন ছেলেরা অন্ধকারে যাইতে স্বভাবতই ভয় পায়, মানুষের মৃত্যুভয়ও সেইরূপ।” কিন্তু আমার তা মনে হয় না। অন্ধকারে ভাবি-বিপদ-আশঙ্কার যে ভয় হয়, সে ভল এখানে তত নাই । প্রিয়জন ও প্রিয়বস্ত হইতে বিচ্ছিন্ন হইতেছি, এই ভয়ই এস্থলে আসল বলিয়া মনে হয়। , '.এই বিষম অবস্থাটির তত্ত্বজিজ্ঞাসা সকলের মনেই একদিন-ন-একদিন উঠিয়াছে। আমার -নিজের কথা তো অতি শিশু-অবস্থাতেই মনে পড়ে। যখন আমার জানিত একটি ছেলে মারা যাওয়াতে তা’র মা কাতর হয়ে কাদছিলেন--কি যে হইল, তা বিশেষ কিছু উপলব্ধি করিতে না পারিয়াও মনে হচ্ছিল, যে গিয়াছে, সে আর আসিবে না। ’ কোথায় ও কিভাবে সে থাকৃবে, তা অনও মীমাংসা করি নাই। থাকিবে, এ . এ বসত্য বলিয়া জানা ছিল। পরে যখন পরলোক ভূতপ্রেত ইত্যাদির কথা শিখিলাম, .'তখন যে সে সেইরূপ কোনও অবস্থাতেই থাকিবে-এই সংস্কারই ছিল, কখনও কোন সঙ্গেৰু জালে নাই। . ক্রমে শিখিলাম, কৰ্ম্মফলে পরলোকে সুখ ও ছঃখ, সদগতি ও অধোগতি হয় —স্বৰ্গ ও নরকের কথা। পরলোকে মিলনের কথা । —আরও কল্পনাপ্রস্থত কত কথা—যাহা এখন আর ভাবিয়া দেখিলে তত মনে লাগে না । আমার মনের ধারণাগুলি ক্রমে ক্রমে স্তরে স্তরে যেমন বদলাইয়াছে—সকলেরই একসময় না একসময় তেমনি হইয়া থাকে—সমগ্র মানব জাতিরও তাঁহাই হইয়াছে। এইরূপ সাধারণ কথায় একেবারে বিশ্বস্ত না হইয়। --মানব যে এই সকল জ্ঞানের আরও উচ্চ সোপানে উঠিতে প্রয়াসী হইয়াছেন সেই প্লয়াসেরই একটু ইতিবৃত্ত এখানে দিতেছি। এ প্রবন্ধে পুরাণ মতের কিছু আলোচনা করিয়া আজকাল নুতন প্ৰবৰ্ত্তিত মতের কিছু আভাস দিব। এক সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, খাচায় যেমন পার্থী থাকে, দেহে তেমুনি আত্মার অধিষ্ঠান —মৃত্যুকালে আত্মা দেহ ছাড়িয়া স্থানান্তরে উড়িয়া যায়। দেহটি জড় অবস্থায় পতিত, থাকে ও ধ্বংস হয়, কিন্তু অমর আস্থা, স্থানাস্তরে বিদ্যমান থাকেন। . . আর এক সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, এদিন যেমন ঠিক থাকিলেই তবে তাহার" কাৰ্য্য চলে, বিকল হইলে তাহার সকল কাৰ্য্য