পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা। ] इश । Ge Y খামিয়া যায় -দেহ বিকল হইলেও আত্মার অবস্থা সেইরূপ হইয়া থাকে। তাহারও অস্তিত্ব সঙ্গে সঙ্গেই লোপ পায় । শেষোক্ত মতটি সচরাচর বিশ্বাস হয় না, এমন কি, মনে আনিতেও কষ্ট হয় । সে বিগত অস্তিত্বের স্মৃতিটুকু যে তখনও আমাদের মনে জাগিয়া থাকে —দেহরূপ তাহার আধুনিক আধার খসিয়া গেলেও তাছাকে এক অজানা অনিশ্চিত স্থানে রাখিয়া আমরা আশ্বস্ত থাকি। স্মৃতিলোপ সম্ভব নয়, ভেম্নি আত্মালোপও অসম্ভব। সেই কারণেই পরে দেহান্তরে বিশ্বাস আসিল । আত্মা জন্মের পর জন্ম পরিগ্রহ করিয়া চলিয়া যান । কৰ্ম্ম অনুসারে ভালমন্দ জন্ম লইয়া আত্মা অনন্তপথে চলিতে থাকেন। যেমন স্মৃতিটুকু অনিবাৰ্য্য, তেমনি *অনস্ত” কথাটিও অননুমেয় । তারও অবসান চাই। সুতরাং "নিৰ্ব্বাণ”, “পরব্রহ্মেলীন” ইত্যাদি বিশ্বাস আপনিষ্ট আসিয়া পড়ে। সবই অমর বিশ্বাস, সবই মনের ভাব, সবই শিক্ষারই রূপাস্তর। দেখাইয়া বুঝাইবার, এর মধ্যে किहूद्दे नोहे। তবে এটুকুমাত্র দেথান যায়। যখন একটি কোষ ভাগ হইয়া দুটি হয়, তখন কোষটির অস্তিত্ব এক হিসাবে লীন হইল—Reproduction by “fission” fog sigtsä দেহসমষ্টি লইয়া—নূতন ছটি কোষেয় অস্তিত্ব। কেহই মরিল না, কিছুই বাদ গেল না, বা श्डीर्रश्त्र भउ अश्वघ्ब्र श्हेण न । किरू এটি ছাড়াও একটি কোষ হইতে কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি হওয়ায় আরও কয়টি প্রণালী আছে । ইহার মধ্যে একটিতে—প্রথম কোষের গ৷ হইতে একটি ক্ষুদ্র অংশ খসিয়া *Ry, Reproduction by “budding” পরে আরএকটি ও আবার একটি, এইরূপ হইয়৷ এই প্রতি ক্ষুদ্র অংশগুলি আবার আয়তনে বৃদ্ধি পাইয়া প্রথম কোষটির আকৃতি পায় ও সেইরূপই ব্যবহার করিতে থাকে। কিন্তু প্রথম কোষটি যদিও মোটের উপর বজায় থাকে বটে তবু বারবার সন্তান-উৎপাদনের ক্লাস্তিতে ক্রমে নিশ্চেষ্ট হইয়া পড়ে।—এইখানে মৃত্যু আসিল । জীবগু দেহের পরিশিষ্ট খানিকটা এখানে লোকসান হইল। প্রথমটিতে মাতার অস্তিত্ব কস্তাদ্বয়ে বিলীন হয়—দ্বিতীয়টিতে কিন্তু তা ছাড়াও এক অংশ জীব হইতে জড়ে পরিণত হয়। মৃত্যুর পর অস্তিত্ত্বের এই সকল ছাড়া আর কিছুই ইন্দ্রিয়গোচর নহে। te এই গেল এক কোষবিশিষ্ট জীবদেহের কথা। পক্ষী, গে, মানুষ প্রভৃতি উচ্চশ্রেণীর জীবের দেহ বহু কোষে গঠিত। তার পক্ষেও এ নিয়ম সমান। কতক অংশ অপত্যরূপে থাকিয়া যায়—অপর অংশ মৃতদেহে পরিণত হয় । কিন্তু এতক্ষণ দেহের এই শেষোক্ত অংশটুকুকে যে শক্তিতে সজীব রাখিয়াছিল, সেই শক্তি গেল কোথায়। সে শক্তিটুকুর আর বিকাশ নাই কেন—ডাকূলে সে সাড়া আর পাওয়া যায় না কেন—তার, কি বিশেষত্ব হইয়াছে ? 2 3 o এই প্রশ্ন অনুসন্ধান করিলে জানা যায় । যে, যদিও সমগ্ৰ দেহটির সাড়া দিবার শক্তি নাই, দেহের সজীব পরমাণু বা কোষগুলি এখনও সায় দেয়, এখনও সজীব আছে। প্রাণবায়ু বহির্গত হইয়া গিয়াছে—তবুও