পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(te বঙ্গদার্শন। বাঙালী যে বলের পরিচয় দিয়াছে, সেই বলের দৃষ্টান্তই তাহার, সন্মুখে স্থিরভাবে ধরিব বলিয়৷ এই সভাস্থলে; আমি অল্প উপস্থিত ছইয়াছি। সেদিনকার উপদ্রবে যাহার উপস্থিত ছিলেন, তাহারা সকলেই আমাদের ছাত্রদলের, যুবকগণের ও মায়কবর্গের অবিচলিত স্থৈৰ্য্য দেখিয়া বিস্ময়ান্বিত হইয়াছেন । ষে উৎপাত কোনোমতে আশা করা যায় না, তাহ সহস৷ মাথার উপরে ভাঙিয়া পড়িলে তখনি মানুষের গভীরতর প্রকৃতি আপনাকে অনাবৃতভাবে প্রকাশ করিয়া ফেলে। সেদিন বাঙালী নিজেকে যেরূপে ব্যক্ত করিয়াছে, তাহাতে আমাদের লজ্জার কোনো কারণ ঘটে নাই। আপনারা সকলেই জানেন, সেদিন সভাগতিকে লইয়া যখন প্রতিনিধি ও সংসদগণ মন্ত্রণাসভার পথে যাত্রা করিয়াছিলেন, তখন নায়কবর্গের আদেশ অনুসারে যাত্রিগণ কেহ • একটি যষ্টিও গ্রহণ করেন নাই। এবং পুলিস . যখন-নিরস্ত্র উহাদের উপর পড়িয় আঘাতবর্ষণ-করিতে আরম্ভ করিল, তখনো নায়কদের উপদেশ স্মরণ করিয়া তাহারা দৃঢ়তার সহিত সমস্ত সহ করিয়াছেন । আমি জানি, এ সম্বন্ধে অবিচারের আশঙ্কা আছে . . • "তেজস্তিৰভিত মুখত বক্তাশক্তি দ্বিরে তেজস্বিতাকে অহঙ্কার, বাগিতাকে মুখরতা এবং স্বৈর্ঘ্যকে অশক্তি বলিয়া নিকে নিল করে। সময়বিশেষে কুৈৰ্য্য অশক্তির লক্ষণরূপে প্রকাশপা বট কিন্তু যখন তা বীৰ্য [७é बá, tजाछै। অসংযমের দ্বারা কাস্থ্যকর কাপুরুষতা এবং আমরা স্বৈর্য্যর গয়া শুক্তির গাম্ভীৰ্য প্রকাশ করিয়াছি, এ বিষসে সন্দেহ মাই। - এই যে সাময়িক উৎপাতের দ্বারা আত্মবিষ্কৃত না হইয়। সাধারণের মঙ্গলের উদ্দেশে আমরা উদ্বেল প্রবৃত্তিকে সম্পূর্ণ শাসনে রাখিয়াছিলাম, ইহার দ্বারাই আশান্বিত হইয়া উত্তেজনাশান্তির পূৰ্ব্বেই অস্তকার সভায় আমি দুইএকটি কথা বলিতে প্রবৃত্ত হইলাম। দেশের হিতসাধন একটা বৃহৎ মঙ্গলের ব্যাপার, নিজের প্রবৃত্তির উপস্থিত চরিতার্থতাসাধন তাহার কাছে নিতান্তই তুচ্ছ । যদি এই বৃহৎ লক্ষ্যটাকে আমাদের হৃদয়ের সম্মুখে যথার্থভাবে ধরিয়া রাখিতে পারি, তবে ক্ষণিক উত্তেজনা,—জুত্র অন্তদাহ আমাদিগকে পথভ্রষ্ট করিতে পারে না। সৈন্যদল যখন রণক্ষেত্রে যাত্র করে, তখন গালি দেয় বা গায়ে ঢ়িল চুড়িয়া মারে, তবে তখনি ছত্রভঙ্গ হইয়া অপমানের প্রতিশোধ লইবার জন্য তাহারা পাশের গলিতে ছুটির যায় না। এ অপমান তাহাদিগকে স্পর্শও করিতে পারে না—কারণ, তাহাদের সম্মুখে বৃহৎ সংগ্রাম, তাহাদের সম্মুখে মহৎ মৃত্যু। তেম্নি যদি আমরা যথার্থভাবে আমাদের এই বৃহৎ দেশের কাজ করিবার দিকে যাত্রা করি, তবে তাহারই মাহাষ্ম্যে ছোট-বড় বহুতর বিক্ষোভ আমাদিগকে স্পৰ্শই পারে ল—তবে ক্ষণে.ক্ষণে একএকটা রাগারগির ছত গগৈ দুটাচুট করিয়া বৃথা ধাত্রাঙ্গ । হতে প্রস্তুত হয়, তখন তাহা বীৰ্যের শ্ৰে৮

  • * * করিতে প্রবৃত্তি হয় না।

লক্ষণুবলয় গণ্য হয়। বরিশালে কর্তৃপক্ষ

  • . আমাদের দেশে সম্প্রতি দ্ধে স*া