পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(kts. बघचस्पत्रि । রাশিরাশি ভাঙচুর জিনিষের মধ্যে গোলকধাধার মত পরস্পরের সহিত যেন জড়াইয়াপাকাইয়া রহিয়াছে। ইহার মধ্যে কতকগুলি সমাধিমন্দির এখনো ভক্তিসহকারে বহুব্যয়ে সংরক্ষিত ; আবার কতকগুলি একেবারেই প্রচ্ছন্ন —ধসিয়া-পড়া পরিত্যক্ত আরো অসংখ্য সমাধিমন্দিরের পিছনে যেন ডুবিয়া রহিয়াছে। প্রস্তররাশির মধ্য দিয়া, গর্তসমূহের মধ্য দিয়া, "ই-করা” প্রাচীন গুহাগহবরের মধ্য দিয়া যে সকল পথ গিয়াছে এবং যে সকল পথ ঐ গোরস্থানে আসিয়া মিলিয়াছে, ঐ সকল পথ চেমা দুষ্কর হইত, যদি ভিক্ষুকের দল, খঞ্জ কিংবা কুণ্ঠরোগী লোক খোটাচিত্ত্বের মত উহার চারিধারে না থাকিত। উহারা তীর্থযাত্রীদের নিকট ভিক্ষা পাইবার আশায় ঐখানে বসিয়া থাকে। এই সকল ধূলিসমাচ্ছন্ন পথ অতিক্রম কবিবার পর হঠাৎ একএকটা চমৎকার মসজিদ দেখিয়া বিস্থিত হইতে হয় ;—জালিকাটা মাৰ্ব্বেলের দেয়াল, লাল রেশমের কাপড়ে যেন সোনালি পাড়, বসান, জমৃকালো কার্পেট—যাহার উপর । টাটুক gardenia s tubereuse "frrrr মজ্জিত রহিয়াছে । ইহার মধ্যে-প্রাচীন ফকীরদৰ্ব্বেশের বাসগৃহগুলিই সৰ্ব্বপেক্ষ বিভবময়। উছার নিজে ইচ্ছা করিয়াই দৈন্তের মধ্যে বাস ও পরম সন্ন্যাসত্রত অবলম্বন করিজ , কিন্তু কোন কোন রাজা উদ্ধাদের স্থতিরক্ষার জন্য এইরূপ মুক্তহস্তে অর্থব্যয় করিতে কুষ্ঠিত হইতেন না। " প্রাকারাবলী ও খোদিত প্রাসাদদির রহপূর্কেই গোলাপী পাথর্মের মিনারটি এই মৃত্যুর-দেশের গিছে, বছর হইতে নেত্র [७%'बई, कांख्न। সমক্ষে প্রকাশ পায়। শুষ্ক পাথুরে জমির তরঙ্গায়িত ক্ষেত্রের উপর দিয়া এই প্রাকারপ্রাসাদাদি মিনারের পাদদেশ পর্য্যস্ত প্রসারিত রহিয়াছে। এই সমস্ত শুষ্ক পাথুরে ভূমিখণ্ডের উপর এখন শুধু রাখালরা ছাগল চরাইয় থাকে। " এখন প্রায় মধ্যাহ্ল ; দুঃসহ প্রখর উত্তাপ ; এই সময়ে আমি কোণালু-খিলান-বিশিষ্ট যুগলদ্বার পার হইয়া এই ছায়ামূৰ্ত্তি নগরীর মধ্যে প্রবেশ করিলাম। একটা শ্মশানের মত ভূমিখও–বড় বড় দস্তুর প্রাকারে বেষ্টত এবং এত । বিশাল যে, সেই ঘেরের সমস্ত আয়তন সম্পূর্ণরূপে দৃষ্টিগোচর হয় না। উহার ভিতরে কতকগুলা গাছ, যাহা জলাভাবে মরিয়া যাইতেছে এবং উষ্ণবায়ু যাহার স্বর্ণ-গীত পত্রপুঞ্জ চারিদিকে উড়াই ফেলিতেছে ; আকারগঠনহীন কতকগুলা প্রস্তরস্তপ ; ইতস্তত দৃশুমান কতকগুলা গম্বুজ, কতকগুলা মিনার— এতটা ক্ষয়গ্রস্ত হইয়াছে যে, উহাদিগকে শৈলখণ্ড বলিয়া ভ্রম হয় ; কেবল ঐ আশ্চৰ্য্যজনক মিনারের সন্নিকটে যে সকল গুরুভার বৃহদাকার ইমারতের অবশেষগুলি আছে, তাহ রাজকীয় মহল বলিয়া বেশ বুঝা যায়। কিন্তু এই গৌরবান্বিত ভগ্নাবশেষগুলির গঠনরীতি একপ্রকার নছে—বিভিন্ন গঠনরীতি একত্র মিশিয়া গিয়াছে ; এত যুদ্ধবিগ্রহ, এত আক্রমণ এই প্রাচীন ভূমির উপর দিয়া গিয়াছে, এতবার ধ্বংস হইয়াছে, আবার অমামুষিকভাবে এতবার नूङन कब्रिब्रा भट्ठेिऊ श्हेब्रांप्छ् যে, ইং কোন ঠিক-ঠিকানা পাওয়া যায় না । পৃথিবীর এই কোণটির ইতিহাস ঘোর তিমিরা.ে সমাচ্ছন্ন ।