পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६fर्मपं.जश्शा । ] কোনোট বাদ দিব না । সফলতাসম্বন্ধে আধাআধি রফানিস্পত্তি করা কোনোমতেই চলিবে না। বহরমপুরের ডাকে আজ আমরা সাহিত্যপরিষদ অত্যন্ত লোভ করিয়াই এখানে আসিয়া জুটিয়াছি—শুধু আহার দিয়া বিদায় করিলে নিন্দার বিষয় হইবে--দক্ষিণ চাই। সেই দক্ষিণার প্রস্তাবটাই আজ আপনাদের কাছে পাড়িব । আমার দেশকে তুমি যত ভালবাসি, তার • দশগুণ বেশি ভালবাসা ইংরেজের কৰ্ত্তব্য, এ কথা আমরা মুথে বলি না, আমাদের ব্যবহারে তাহাই প্রকাশ পায়। এইজন্ত ভারতবর্ষের হিতসাধনে বিদেশীর যত-কিছু ক্রটি, তাহা ঘোষণা করিয়া আমাদের প্লান্তি হয় না, আর দেশীলোকের যে ঔদাসীন্ত, সে সম্বন্ধে আমর একেবারেই চুপ। কিন্তু এ কথাটার আলোচনা বিস্তর হইয়া গেছে, এমন কি, আমার আশঙ্কা হয়, কথাটা আপনার অধিকারের মর্যাদা লঙ্ঘন করিয়া চুটিয়াছে বা ! কথা-জিনিষটার দোষই ঐ—সেটা হাওয়ার জিনিষ কিনা, তাই উক্তি দেখিতে দেখিতে অতুক্তি হইয় উঠে। এখন যেন আমরা একটু বেশি তারস্বরে বলিতেছি, ইংরেজের কাছ হইতে আমরা কিছুই লইব না। কেন লইব না? দেশের হিতের জন্ত যেখানে যাহা পারি, স্বমস্ত আদায় করিব। কেবল এইটুকু পণ করিব, সেই লওয়ার পরিবর্তে নিজেকে বিকাইয়া দিব না। যাহা বিশেষভাবে ইংরেজগবমেন্টের কাছ হইতেই পাইবার, তাহা ষোলো-আনাই সেইখান হইতেই আদায় করিবার পুর চেষ্টাই করিতে হইবে—ন করিলে সে ত নিতান্তই ঠক। নিৰ্বদ্ধিতাই शैत्रस् ब्रहरु । * * সাহিত্যপরিষদ। ¢X‰ፋ কিন্তু এই আদায় করিবার কোনো জোর থাকে না,—আমরা যদি নিজের দায় নিজে স্বীকার না করি। দেশের যে সকল কাল্প আমরা নিজে করিতে পারি, তাহ নিজেরা সাধ্যমত করিলে তবেই আদায়-করাটা যথার্থ আদায় করা হয়, ভিক্ষা করা হয় না । এ নহিলে * অন্তের কাছে দাবি করার আক্রই থাকে না । কিছুকাল হইতে আমাদের সেই আক্ৰ একেবারে ঘুচিয়া গিয়াছিল—সেইজন্যই লজ্জাবোধটাকে এত জোর করিয়া জাগাইবার একটা একান্ত, চেষ্টা চলিতেছে । সকলেই জানেন, জামেকায় ভূমিকম্পের উৎপাতের পর সেখানকার কিংষ্টন্‌সহরে ভারি একটা সঙ্কট উপস্থিত হইয়াছিল। সেই সঙ্কটের সময় আমেরিকার রণতরীর কাপ্তেন ডেভিস তাহার মুনোয়ারি গোরার দল লইয়া উপকার করিবার উৎসাহবশত কিছু অতিশয়পরিমাণে সাহায্য করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন—ইহা সেখানকার ঘোরতুর দুর্যোগেও জামেকাদ্বীপের ইংরেজ অধ্যক্ষ সহ করিতে • পারেন নাই। ইহার ভাবখানা এই যে, অত্যন্ত দুঃসময়েও পরের কাছে সাহায্য লইবার কালে নিজের ক্ষমতার অপমান করা চলে না--তা যদি করি, তবে যাহা পাই, তাহার চেয়ে দিই অনেক বেশি। পরের কাছে আমুকুল্য লওয়া নিতান্ত নিশ্চিন্তমনে করিবার নহে। এইরূপ, দান পাইয়া,যদি ক্ষমতা ক্রিয় করি, আমার দেশের কাজ আমি করিবই এবং আমিই করিতে পারি এই পুরুষোচিত অভিমান যদি অনর্গল আবেদনের অজস্র অশ্ৰুজলধারায় বিসর্জন নিই, তবে তেমন করিয়া পাওয়ারধিক্কার হইতে ঈশ্বর যেন আমাদিগকে নৈরাপ্তদ্বারাই রক্ষা করেন। -