পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ সংখ্যা । ] রাজতপস্বিনী। ¢ሆጎ» মৃত্যুর পথ ও বন্ধনের পথ, অপর মুক্তির পথ ও অমৃতের পথ। বরিশালে দেখা যাইবে, এবারে আমাদের প্রাদেশিক রাজনীতি কোন পথ অবলম্বন করে। ঐবিপিনচন্দ্র পাল। রাজতপস্বিনী । ماهیتیهای تج جهت . [ জীবনীপ্রসঙ্গ ] శి কুমারের পলায়নঘটনা—সে আজ ২৮২৯ বছরের কথা, কিন্তু যেন কাল বলিয়া মনে হইতেছে। সেদিন পুটিয়ায় বড় দুৰ্দ্দৈল উপস্থিত। চারি-আনির রাজা পরেশনারায়ণ অস্তিমশয্যায় অজ্ঞান--তাহাকে • গোবিন্দজীর বাটীতে লইয়া যাওয়া হইয়াছে। তথায় প্রাঙ্গণস্থ নাটমন্দিরে চিকিৎসক ও কৰ্ম্মচারিগণে পরিবৃত হইয়া সমস্ত রাত্রি কোনরূপে তাহার কাটিয়াছে। নাটমন্দিরের দুইদিকে রাজমাত ও বধূরাণীর পটাবাস পড়িয়াছে, তাহার বিভিন্ন প্রকোষ্ঠে থাকিয়া বাজার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করিতেছেন। প্রত্যুষে পিতৃদেবমহাশয়ের সঙ্গে সেখানে গেলাম স্বৰ্গীয় পিতামহ পরেশ নারায়ণের নাবালকী অবস্থায় কোর্ট অব ওয়ার্ডসের অধীনে তাহার অছি-ম্যানেজার নিযুক্ত হন—এবং তিনি দেহত্যাগ করিলে পিতাঠাকুরস্থাশয় প্রথমে সেই কাৰ্য গ্রহণ করিয়াছিলেন। পরে পাচ-আনির ষ্টেটুও তাহার হস্তে অর্পিত হইয়াছিল। অতএব রাজা যোগেন্দ্রনারায়ণের মত রাজা পরেশনারায়ণ রায়ও আবাল্য তদীয় স্নেহপ্রতির পাত্র ছিলেন। পরেশ নারায়ণের জ্যেষ্ঠভ্রাতা বালো স্বৰ্গারোহণ করিয়াছিলেন, পিতৃদেবের নামে তাহার নাম। রাজমাতা সেইজন্য তাহাকে পুত্ৰসম্বোধন করিতেন এবং চিরদিন সন্তানবৎ তাহার হিতাকাজিণী ছিলেন। রাজার পীড়াবৃদ্ধি হইলে পিতৃদেবমহাশয়কে অধিকাংশসময় কয়দিন চারি-আনির বাটতে কাটাইতে হইয়ছে।— এই প্রভাতে রাজার শয্যাপার্শ্বে দাড়াইয়া তিনি অশ্রমোচন করিতেছিলেন। রাজমাত পর্দার অন্তরালে থাকিয় তাহাকে মৰ্ম্মভেদী করুণকণ্ঠে বারংবার বলিতেছিলেন— “বাবা, পরেশকে বাচাও !” এই শোকের দৃশু আমি সহ করিতে পারিতেছিলাম না। সহসা পাচ-আনির বাড়ীর বক্সীমহাশয় দ্রুতপদে আসিয়া পিতাঠাকুরমহাশয়ের . সঙ্গে আমাকেও একটু কাস্তে ইয়া গেলেন এবং সংবাদ দিলেন কুমার রাত্রে কোথায় পলায়ন করিয়াছেন। আমরা তাড়াতাড়ি রাজবাটাতে গিয়া দেথি, হুলুস্কুল পড়িয়া গিয়াছে, একটু অমুচরমাত্র সঙ্গে তিনি কোথায় চলিয়, ৱািছেন । যাহারা সৰ্ব্বদা কাছে-কাছে থাকিত,