পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@@ बन्नवत्रवि । [ ७é बर्ष, टेण्ज । তাহারাও ঘূণাক্ষরে জানিতে পারে নাই। অন্দরমহলে প্রবেশ করিয়া দেখি, মাতা শোকেকুঃখে ম্রিয়মাণ হইয়াছেন। তিনি বলিতে —নহিলে কোকা এভাবে যাইবে কেন ?” তৎক্ষণাৎ আদেশ হইয়া গেল, চারিদিকে লোকজন পাঠাও, অর্থের মায়া করিও না । দেখিতে দেখিতে নানা যানে কর্মচারীরা ও ভৃত্যবৰ্গ চতুর্দিকে বাহির হইয়া গেল। মহারাণীমাতার ইচ্ছামত আমি মাটােরাষ্টশনে গিয়া যেখানে যেখানে কুমারের গমন সম্ভব, সৰ্ব্বত্র তার দিলাম। তার পর অপরাঙ্কের ট্রেণে কলিকাতায় গিয়া পরদিন সেখানে অনুসন্ধান আরম্ভ করিলাম। দুইদিনের পর তারযোগে খবর পাওয়া গেল, অত্রাক্টষ্টেশনের নিকটে ফুমারকে পাওয়া গিয়াছে। আবার তার দিবার ও সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করিবার পালা আমারই । উত্তরে দাৰ্জিলিং, পশ্চিমে বেনারস পর্য্যন্ত প্রায় প্রত্যেক ষ্টেশনে রাজবাটীর লোক –থলরের জষ্ঠ , অপেক্ষা করিতেছিল। রাজধানীর ইংরেজী-বাঙলা সংবাদপত্রের আপিসে-আপিসে ঘুরিয়া-ঘুরিয়া বিজ্ঞাপন তুলিয়া লইলাম—কিন্তু মফস্বলে তারযোগে সে কাজটা ভাল সম্পন্ন হইল না। তাহার ফলে, ২৩থানি প্রাদেশিক কাগজে পরদিন পলায়নের খবরটা বাহির হইয়া পড়িল । , , কুমার ফিরিয়া আসিলে, মহারাণীমাত বুঝিতে পারিলেন, কি উদ্দেশ্যে এবং কাহাদের পরামর্শে তিনি গৃহত্যাগ করিয়াছিলেন। কিন্তু চক্ষুলজ্জায় তিনি কাহাকেও কিছু বলিতে পারিলেন, মা ; কুমার অধিকতর আছরে হইয়া উঠিলেন–র্তাহার সঙ্গীদেরও সাহস বাড়িয়া গেল। প্রধান কৰ্ম্মচারীরা কঠোর শাসনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিলে কি হয়, মাতার স্নেহাতিশয্যে কেহ কিছু করিতে পারিলেন না । অন্ত এক সরিকের প্রবীণা রাণীঠাকুরাণী বলিয়া পাঠাইয়াছিলেন, “পোষ্যপুত্র বিগুড়াইতে বসিয়াছে, তার জন্ত অত মায়া কেন ?" মহারাণী উত্তর করিলেন, “যদি গর্ভজাত ছেলে হইত—কি করিতাম ?” মহারাণী এই সময়ে যে ভ্রম করিয়াছিলেন, পরে তাহার আর অপনোদন হইল না এবং চিরদিন সেজন্ত তাহাকে ভুগিতে হইয়াছিল। সেই অবধি কুমারের ভয় একেবারে ভাঙিয়া গেল। যখন-তখন তিনি মহারাণীমাতাকে নামমাত্র জানাইয়া সদলবলে লাহির হইয়া পড়িতেন, এবং এরূপ নিষিদ্ধ কাজে হাত দিতেন, যাহাতে মাতার মৰ্ম্মপীড়া অবশুস্তাব হইয়া উঠিত। একদিন খবর পাওয়া গেল, নিকটবত্তী কোন গ্রামের বারোয়ারিতলায় রাজবাটীর তাবু খাড়া হইয়াছে। স্থানটার তেমন সুনাম ছিল না। কুমারের সহচরদের ভিতর দুইএকজন বয়োবৃদ্ধও ছিল । একজন রাজার আমলের লোক, রাজান্তঃপুরে তাহার প্রবেশাধিকার ছিল, এবং মহারাণীমাতা তাহাকে লজ্জা করিলেও সে সম্মুখে আসিতে পাইত। শিবিরসংস্থাপনের জনরব প্রচারিত হইতে না হইতে সেই ক্ষুদ্রকায় প্রবীণ ব্রাহ্মণ মাতাকে জানাইল, তাহারা সকলে ** "গ্রামে যাইবে । মা জিজ্ঞাসা করাইলেন, কুমারসুদ্ধ নাকি ? সে বলিল, না। ’ মা আবার বলাইলেন, সেখানে কোকনের গিয়াই কাজ নাই, গেলে লোকে নিন্দ করিবে।