পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাদশ সংখ্যা । ] নিতান্ত অশ্রদ্ধেয় । মমুর অন্তরাত্মায় বুঝিয়াছিল যে, অহিংসা এবং সৰ্ব্বভূতহিতই ধৰ্ম্ম। এইটুকু ভগবদুপদেশ। তার পর, তিনি নিজের প্রতিভা অনুসারে তাৎকালিক সমাজের উপযোগী করিয়া এমন কতগুলি নিয়ম বাধিয়া দিয়াছিলেন, যাহা দ্বারা এই অহিংসা এবং হিত সাধিত হইতে পারে। মনু নিজে নিঃস্বার্থ ধাৰ্মিক ছিলেন, তাই তাহার প্রণীত নিয়মগুলি তৎকালীন সমাজের অবিমিশ্ৰ উপকার করিয়াছিল। এখন সমাজ বদলাইয়া গিয়াছে। ইদানীন্তন সমাজের জন্য মানবধৰ্ম্মশাস্ত্র প্রণীত হয় নাই। কিন্তু মন্বাদি ঋষিরা যে ঐশ আদেশ পাইয়াছিলেন, এখনও প্রত্যেক সাধুব্যক্তি সেই আদেশ পান। সে আদেশের স্থান মানুষের ब्राहैतर्नेौछूर्श। هذه عن অন্তরাত্মা এবং তাহার মূলমন্ত্র অহিংসা ও পরোপকার। যে সকল সামাজিক নিয়ম এই দুইএর অমুকুল, তাহারা ধৰ্ম্ম ; যাহারা প্রতিকুল, তাহারা সৰ্ব্বথা পরিহর্তব্য। এইরূপ করিলে, অনেকস্থলে শাস্ত্রের অক্ষরার্থ পরিত্যাগ করিতে হয় বটে, কিন্তু শাস্ত্রের মূল তাৎপৰ্য্য

  • বাহাল থাকে। একমাত্র এইরূপেই স্বাধীনচিন্তা

ও শাস্ত্রের সামুঞ্জস্ত সম্ভব। আমরা বহুশতাব্দী এখন ঐ অক্ষর ছাড়িয়া শাস্ত্রের তাৎপর্ঘ্য। গ্ৰহণ করিবার সফ্ট উপস্থিত হইয়াছে। थ#নির্ণয়ের জন্য অন্তরাত্মার আশ্রয় লইতে হইবে। ধৰ্ম্মকে স্বাধীন করিতে হইবে। কেন না— সৰ্ব্বং পরবশং দু:খং সৰ্ব্বমাত্মবশং মুখম্। ঐ বনমালী বেদান্ত তীর্থ। রাইবনীদুর্গ। চতুৰ্বিংশ পরিচ্ছেদ । ছেলেবেলায় যার সঙ্গে গলায়-গলায় ভাব— যার সঙ্গে নিত্য খেলাধুলা করিয়া নাম ধরিয়া . ডাকিয়া অহোরাত্র তুইমুই করিয়াছি, সে যদি কালে বড়লোক হয়, এই সভ্যতা-ভব্যতার দিনে সকলের সম্মুখে তাহাকে ক্লি বলিয়া সম্বোধন করিব ? ব্রজবিহারী বংশীধারীকে দুঠাৎ মথুরার সিংহাসনে উপবিষ্ট দেখিয়া ঐদামসুদামাদির মনোভাব যেরূপ হইয়াছিল, সে বেয়াদবি মনে স্থান দিলেও এখনকার দিনে &পনাকোডের আমলে আসিতে হয়। অধিক शिानब्र कृथ नग्न, चन्नेौग्न धांभकांनॉर्थ ?ॉकूब মহাশয় তাহার পাঠশালার সহর্তীর্থ * দাদা"কে প্রৌঢ়বয়সে চিনিয়া এবং তার কর্দমসিক্ত পা-দুখানির প্রতি লক্ষ্য না করিয়া যে সমাদরে তাহাকে আপনার পাশ্বে বসাইয়াছিলেন, বাঙলার আধুনিক আবহাওয়ায় সে সহৃদয়ত আর পরিপাক হয় না। . তুই একটু ভয়েভয়েই মহাশয়দিগকে জিজ্ঞাসা করিতেছি, স্বেরূপ বিপদে পড়িলে উদ্ধারের উপায় কি ? } রাধাচরণকে’বুলাকালে আমরা রাখাল: বেশে দেখিয়াছি। ধন্সকুঞ্জে তাঁহার কৈশোরের সেই “লে বেড়াঞ্চ নাম ইয়া ধাইতে ধল