পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विडौग्न गर्थे । ] কানের সহিত মিল আছে, প্রথমটির তেমন নাই । ‘ক’সম্বন্ধে যাহা বলিলাম, ‘গ’ ব্যতীত, চিত্রে প্রদশিত সকল অক্ষরের সম্বন্ধেই ঐ কথা প্রযোজ্য। তন্ত্রের অক্ষরবর্ণনার প্রতি ত আদে লক্ষ্য করা চলে না। কারণ তন্ত্রের অক্ষরবর্ণনা থাটি-বঙ্গাক্ষর-স্থষ্টির পরবর্তী। এ কথা তন্ত্রসমালোচনায় কিয়ৎপরিমাণে সাহিত্যপত্রে লিখিয়াছি। প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি বিকশিত হইবার ও পূৰ্ণে ঐ ব্রাহ্মী লিপির জনকস্বরূপ অক্ষরগুলির অবয়ব কিরূপ ছিল, তাহ জানিতে পারা যায় । এরূপ স্থলে ভারতবর্ষের আদিম অক্ষরের Gj উৎপত্ত্বি কি প্রকার চিত্র হইতে হইয়াছিল, ত!হ }র বিচার করা অসম্ভব । একালের সকল অক্ষ রই যখন অতি প্রাচীন অক্ষরের ক্রমবিকাশে উৎপন্ন, তখন একালের অক্ষর লষ্টয়া কোন কল্পনা করা চলে না । এই প্রকার কল্পনার ফলেক্ট অশোকের সময়ের কয়েকটি অক্ষরের সহিত আসরিয় অক্ষরের কিঞ্চিং মিল দেখিয়া, ওয়েবস্থসাহেব ভারতলিপির অত্যাশ্চর্য্য আবিষ্কার করিয়া ফেলিয়াছিলেন । সুবুদ্ধি বুলা যখন ႏိခs সালে ওয়েবরের ঐ আসার কথার অনুবৰ্ত্তন *rfagn Indische Paleographie feifestছিলেন, তখন সত্যসত্যই ক্লেশ অমুভব করিয়াছিলাম। আর্য্যের যে ইউফ্রেট নদীর উপত্যকাভূমি হইতে খৃষ্টপূৰ্ব্ব ৭ম বা ৮ম শতাব্দীৰে অক্ষর সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, তাহার যুক্তি কি, তাহ বলিতেছি। ১৮৯৮ সালের রয়াল এশিয়াটিক সোসাইটির পত্রে কেনেডি, সাহেব ঐ মৃত বিশেষভাবে মান “যুক্তিদ্বারা ७sीब्र कब्रिड्रांटाइन । অক্ষরের উৎপত্তি। 44 ১ম যুক্তি। - খৃঃ পূঃ ৭ম শতাব্দীর পূৰ্ব্বে • ভারতবর্ষে যে লিপি প্রচলিত ছিল, তাহ জানা. যায় না। নিরুক্ত কিন্তু অন্তত ষষ্ঠ শতাব্দীর, এবং সে সময়ে গ্রন্থ পৰ্য্যন্ত রচিত হইত ; উপরন্থ, এখনো ঐ নিরুক্তের সময় যথার্থভাবে নিরূপিত হয় নাই । @ ২য় যুক্তি –দেখিতে পাওয়া যায় যে, খৃষ্টপূৰ্ব্ব সপ্তমশতাব্দীতে ভারতের পশ্চিম উপকূলে বাবিলন প্রভৃতি দেশের সহিত বাণিজ্য চলিতেছিল। এই প্রসঙ্গুে এ কথাও উল্লেখযোগ্য যে, এই বাণিজ্য আর্য্যদিগের সহিত इळैड नः । l)ravidians and not Aryans.” পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরাই বলিতেছেন যে, তখন আর্ঘ্যের দক্ষিণাপথে রাজ্যবিস্তার করেন নাই, এবং মলবর প্রভৃতি উপকূলে দ্রাবিড়ীয় জাতির বিদেশীয়দিগের সহিত বাণিজ্য করিত । আর্য্যের যে দক্ষিণপ্রদেশের এই দ্রবিড়জাতীয় লোকদিগের সহিত অশোকের সময়ের পূৰ্ব্বে কোন সংস্রবে আসেন নাই,তাহাও ইউরোপীয় পণ্ডিতদিগের কথা। কথাটি যে ঠিক, তাহ বৌদ্ধদিগের প্রাচীন প্রাকৃতভাষায় রচিত গ্রন্থের সাহায্যে স্পষ্ট জানিতে পারা যায়। এখন দেখা যাউক যে, বাবিলন বাণিজ্যে দ্রাবিড়ী লোকের বিদেশের অক্ষর জানিয়া আর্য্যের হাটে বেচিয়াছিল কি না। অনার্য্য দ্রাবিড়ী লোকদিগের যে সকল অক্ষর আছে ( কানাড়ী, তেলেগু, তামিল প্রভৃতি), তাহু আৰ্য্যদিগের অক্ষর হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। অনার্য্যের নিজ ব্যবহারের জন্ত স্তন অক্ষর আবিষ্কার করিয়া ব্যবহার করিয়াছিল এবং অপরিচিত উত্তরপ্রদেশবাসী জাৰ্য্যদ্বিগের জম্ভ “These merchants were