পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সংখ্যা । ] বাঙলার চিত্র। ዓቆ দেরি কোরে এলে কেন ? বাবুদের মাছের হুলস্থল পড়িয়া গেল। তাহার ক্ষে যেখানে ঝোল কখন বেঁধে দেব• বল দেখি ?” ঝিও ক্ৰোধভরে বলিল-“মিন্‌সে বলে কি ? আমি কি বজারে গিয়ে গুয়ে ঘুমুচ্ছিলুম ? রাস্ত। যেমন পিছিল হয়েছে-চলা ধীয় না। একবার পী ফসকে পড়ে গিয়ে দ্যাকে আমার কি দশ হয়েছে।” এই বলিয়। ঝি বামুনঠাকুরের কারুণ্যলাভের প্রত্যাশায় তাহার কাদামাখা কাপড় দেখাইল। বামুনঠাকুর কিন্তু কিছুমাত্র সমবেদন প্রকাশ না করিয়া একটু হাসিল। কারণ কিট স্থলাঙ্গী বলিয়া ঠাকুর তাহাকে অনেকসময়ে উপহাস করিয়া থাকে। উত্তপ্ত কড়াতে তেলের ছিটা পড়ার হ্যায় ঝি অমনি রাগে জলিয়া-উঠিয়া বলিল – “ড্যাকুর — অলপ্লেয়ে-আবার দাত বের কোরে হাসে !” এই বলিয় তাহাকে অধঃপাতে পাঠাইল । • এই সময়ে বীরেন্দ্রনামক মস্তকের লামপার্শ্বে টেবিকাটা, শাটপরা, চসমাধারী একটি ছেলে বামহস্তে হামলেট খুলিয় পড়িতে পড়িতে নীচে নামিয়া আসিল এবং "আমার ল-ক্লাসের বেলা হোলো—বামনঠাকুর, বাড়ো—ঝি, জায়গা কর” বলিয়া আদেশপ্রচার করিল। সেই বুদ্ধ ঝি বলিল, “বাবা, একটু দেরি করু। ঠাকুর, বীরেনবাবুর মাছখান চট্ট কোরে ভেজে দাও। উনি শুধু ডালভাত খেয়ে কি কোরে কলেজে যাবেন ।” fH ঝি তাড়াতাড়ি মাছ কুটিয়া দিল এবং ঠাকুর উন্থনে কড়া চড়াইল। . ঠিক এই সময়ে ডাকপিয়ন্‌মহাশয় “বাৰু, চিঠি” বলিয়া সিড়ির নাচৈ আসিয়া fাড়াইলেণ। অমনি ছেলের দলে এক মহা ভাত ছিল, সকলে জাসিয়া পিয়নকে ঘিরিয়া দাড়াইল । পূৰ্ব্বে মেসে পিয়নের আগমন একটি বিশেষ উত্তেজনাজনক ঘটনা ছিল । এখন ঘণ্টায়-ঘণ্টায় চিঠি বিলি করার নিয়ম হওয়ায় ডাক ওয়াল কখন্‌ চোরের মত আসিয়৷ এক আধখানা চিঠি জানা দিয়া ছুড়িয় ফে লয় যায়, তাইরে কেহ গোজ ও রাখে না । কিন্তু পূৰ্ব্বে প্রাতঃকালে যখন একবারমাত্র চিঠিবিলির ব্যবস্থা ছিল,তখন পিয়ন্‌মহাশয়ের wifrãrai, Review of Reviews offs দৈনিক ঘটনালিপিতে উল্লিখিত ঘটনাবলীর দ্যায় একটি গুরুতর ঘটনা বুলিয়। পরিগণিত ੱਲੁ | বীরেন সর্বাগ্রে অসিয়া চিঠিগুলি হস্তুগত কৰিয়ছিল। সে এক এক জনের নামপড়িয়া চিঠিগুলি বিলি করিতে লাগিল।. একখানা চিঠির খামের উপর “শ্ৰীযুক্ত বাৰু বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সমীপেষু” এইরূপ লেখ ছিল। বীরেন সে চিঠিখনি অমনি পকেটে পুরিল । তাহার সহপাঠী রাখাল বলিল—“কি হে বীরেন, তোমার ‘সমীপের’ চিঠি বুঝি ?” ইহা বলিতে বলিতে বীরেন অবশিষ্ট চিঠিগুলি অন্তের হাতে দিয়া এক লক্ষে উপরে উঠয় গেল। রাখালুসেই চিঠি কাড়িয়া লইবার জন্ত তাহার পশ্চাৎ ধাবমান হইল। বলা বাহুল্য, এ চিঠিখানি বীরেনের প্রণয়িনীর করকমলান্তি । , 婚》 শরৎ একখান পোষ্টকার্ড পড়িয়া হাসিতে হাসিতে বলিল—“উপেনের বিয়ে !—উপেনের বিয়ে ! এই ২৫শে শ্রাবণ।” • . এই কথা শুনিয়া দুইতিনজনে তাহার