পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদর্শন। ولا ‘জ্ঞানরূপে পাওয়া, শক্তিরূপে পাওয়া o আনন্দরূপে পাওয়াকেই মানুষ হওয়া বলে। কিন্তু পাওয়া-না-পাওয়ার বিরোধের ভিতর দিয়া ছাড়া পাওয়া যদুতেই পারে না ; দ্বন্দ্বের ভিতর দিয়া ছাড়া বিকাশ হইতেই পারে না, হক্টর-গোড়াকার এই নিয়ম। একের ইই হওয়া এবং দুয়ের এক হইতে থাকাই ৰিকাশু । * : 射 বিজ্ঞানের দিক্ দিয়া দেখ। মুহুষের একদিন এমন অবস্থা ছিল, যখন সে গাছে, পাঞ্চর মান্বযে, মেধে চন্দ্রে, স্বর্ঘ্যে, নদীতে, পৰ্ব্বতে প্ৰণি-অপ্রাণীর ভেদ দেখিত্তে পাইত মা। তখন সবই তাহার কাছে যেন সমানধৰ্ম্মাবলম্বী ছিল। ক্রমে তাহার বৈজ্ঞানিকবুদ্ধিতে প্রাণী ও'অপ্রাণীর ভেদ একান্ত হইয়া" উঠতে লাগিল। এইরূপে ‘অভেদ হইতে প্রথমে দ্বন্ধের হুষ্টি হইল। তাহা যদি না হইত, তবে প্রাশের প্রকৃত লক্ষণগুলিকে সে কোনোদিন জানিতেই পারিত না। এদিকে লক্ষণগুলিকে যতই সে সত্য করিয়া জানিতে লাগিল, দ্বন্দ্ব ততই দূরে সরিয়া যাইতে থাকিল। প্রথমে প্রাণী-ও উদ্ভিদের মাঝখানের গণ্ডিটা ঝাপসা হইয়া আসিল ; কোথায় উদ্ভিদের শেষ ৪,গুণীর আরম্ভ, তাহ আর ঠচ্ছর করা যায় না। তাঁহার পরে আজ, ধাতুদ্রব্য -যাহাকে লুড় বলিয়া নিশ্চিন্ত আছি—তাহার মধ্যেও rঞ্জণের লক্ষণ- বিজ্ঞানের চক্ষে ধরা দিবার • উপক্রম করতেছে। অতএব যে ভেদবুদ্ধির সাহায্যে আমরা পুণজিনিষটাকে চিনিয়াছি, চেনার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গেই, স্ট্রে ড্ৰেটা ক্ৰমেই লুপ্ত হইতুে ঋকবে, অভেদ হইতে জন্ম এবং দ্বন্ধ হইতেই ঐক্য বাহির হইবে এবং [ ৭ম বর্ষ, বৈশাখ, ১৩১৪ বিজ্ঞান একদিন উপনিষদের ঋষিদের সঙ্গে সমান সুরে বলিবে—“সৰ্ব্বং প্রাণ এজতি”— সমস্তই প্রাণে কম্পিত হইতেছে। যেমন সমন্তই প্রাণে কঁাপিতেছে, তেমনি সমস্তই আনন, উপনিষদ একাত্ত বার্লাছেন। জগতের এই নিরবচ্ছিন্ন আনন্দরূপ দেখিবার পথে সুন্দর-অসুন্দরের ভেদটা প্রথমে একাত্ত হইয়া মাথা তোলে। নহিলে সুন্দরের পরিচয় ঘটা একেবারে তাসম্ভব । আমাদের সৌন্দর্য্যবোধের প্রথমাবস্থায় সৌন্দর্য্যের একান্ত স্বাতন্ত্র্য আমাদিগকে যেন ঘা মারিয়ী জাগাইতে চায়। এইজন্য বৈপরীত্য তাহার প্রথম অস্ত্র। খুব একটা টকৃটকে রং, খুব একটা গঠনের বৈচিত্র্য নিজের চারিদিকের স্নানতা হইতে যেন ফুড়িয়া-উঠিয়া আমাদিগকে হাক দিয়া ডাকে। সঙ্গীত কেবল উচ্চশব্দের . উত্তেজনা আশ্রয় করিয়া আকাশ মাৎ করিবার চেষ্টা করিতে থাকে। অবশেষে সৌন্দৰ্য্যবোধ যতই বিকাশ পায় জুতই স্বাতন্ত্র্য নহে সুসঙ্গতি, আঘাত নহে আকর্ষণ, আধিপত্য নহে সামঞ্জস্ত —আমাদিগকে আনন্দদান করে। এইরূপে সৌন্দৰ্য্যকে প্রথমে চারিদিক্ হইতে স্বতন্ত্র করিয়া লইয় সৌন্দৰ্য্যকে চিনিবার চর্চা করি, তাহার পরে সৌন্দৰ্য্যকে চারিদিকের সঙ্গে ক্তিলাইয়া-লইয়া চারিদিক্‌কেই সুন্দর বলিয়া, চিনিতে পারি। - একটুখানির মধ্যে দেখিলে আমরা অনিয়ম দেখি, চারিদিকের সঙ্গে অথও করিয়া মিলাইয়া দেখিলেই নিয়ম আমাদের কাছে ধরা পড়ে। তখন,—যদি-চ ধোয়া আকাশে উড়িয়া যায় ও ঢ়েলা মাটিতে প্লড়ে, সোলা জলে ভালে ওঁলোহাইলে ডোবে, তবু এই সমভ েৈতা