পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্তৃতীয় সংখ্যা ! সাহিত্যস্থা? l. $ $ à করিয়া চিঠি লিখিতে পারি না। আমার ভাবট বিশেষবন্ধুর কাছে সম্পূর্ণতালাত কলিবার গুঢ় চেষ্টায় বিশেষমনের প্রকৃতির সঙ্গে কতকটা-পরিমাণে আপোৰ করিয়া লয়। বস্তুত আমাদের কথা শ্রোতা • ও বক্তা দুইজনের যোগেই তৈরি হইয়া উঠে । এইজন্য সাহিত্যে লেখক যাহার কাছে নিজের লেখাটি ধরিতেছে - মনে মনে নিজের অজ্ঞাতসারেও তাহার প্রকৃতির সঙ্গে নিজের লেখাটি মিলাইয়া লইতেছে। দাওরায়ের পাচালি দাশরর্থীর ঠিক একুলার নছে ;–ধে সমাজ সেই পাচলি শুনিতেছে, তাহাঁর সঙ্গে যোগে এই পাচালি রচিত । এইজন্য এই পাচালিতে কেবল দাশরর্থীর একূলার মনের কথা পাওয়া যায় না-ইহাতে একটি বিশেষ কালের বিশেষ মণ্ডলীর অনুরাগ-বিরাগ, শ্রদ্ধাবিশ্বাস-কুচি আপনি প্রকাশ পাইয়াছে। এমূলি করিয়া লেখকদের মধ্যে কেহ বা বন্ধুকে, কেহ বা কোন সম্প্রদায়কে, কেহ বা সমাজকে, কেহ বা সৰ্ব্বকালের মানবকে আপনার কথা শুনাইতে চাহিয়াছেন। যাহারা কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন, তাহদের লেখার মধ্যে বিশেষভাবে সেই বন্ধুর, সম্প্রদায়ের, সমাজের বা বিশ্বমানৰের কিছু-লা-কিছু পরিচয় পাওয়া যায় । এমুনি করিয়া সাহিত্য কেবল লেখকের নহে-যাহাদের জম্ভ লিখিত, তাহদেরও পরিচয় বহন করে। বস্তুজগতেও ঠিক জিনিষটি ঠিক জায়গায় ধখন আসর জমাইয়া বসে, তখন চারিদিকের আয়তুল্য পাইবা টিকিরা যায়—এও ঠিক তেননি। অতএব যে বস্তুটা টিকিয়া আছে, লে যে কেবল নিজের পরিচয় দেয়, তাহ নয়, সে তাহার চারিদিকের পরিচয় দেয়—কারণ, সে কেবল নিজের গুণে নহে, চারিদিকের Bওণে টিকিয়া থাকে। এখন সাহিত্যের সেই গোড়াকার কথা, সেই দানাবাধার কথাটা ভাবিয়া দেখ দুইএকটা দৃষ্টান্ত দেখান যাক। " _. কত নববর্ষার মেঘ, বলাকার শ্রেণী, তপ্ত ধরণীর পরে বারিসেচনের স্বগন্ধু—কত পৰ্ব্বতঅরণ্য, নদী-নিঝর, নগর-গ্রামের উপর দিয়া ঘনপুঞ্জগম্ভীর আষাঢ়ের স্নিগ্ধসঞ্চার, কবির মনে কতদিন ধরিয়া কত ভাবের ছায়া, সৌন্দর্যের পুলক, বেদনার আভাস রাখিয়া গেছে ! কাহার মনেই বা না রাখে । জগৎ ত দিনরাতই আমাদের মনকে স্পর্শ করিয়া চলিয়াছে —এবং সেই স্পর্শে আমাদের মনের তারে কিছু-না-কিছু ধ্বনি উঠতেছেই । একদা কালিদাসের মনে সেই তাহার বহুদিনের বহুতর ধ্বনিগুলি একটি স্বত্র অবলম্বন করিবামাত্র একটার পর আর একটা ভিড় করিয়া সম্পষ্ট হইয়৷ . উঠিয়া কি মুন্দর দানা বাধিয়া উঠিয়াছে। অনুেক দিনের অনেক ভাবের ছবি কালিদাসের মনে এই শুভক্ষণটির জষ্ঠ উমেদারি করিয়া বেড়াইয়াছে, আজ তাহারা যক্ষের ৰিয়হবাৰ্ত্তার ছুতাটুকু লইয়া বর্ণনার স্তরে স্তরে মন্দাক্রাস্তার’স্তবকে স্তবকে ঘনাইয়৷ উঠিল। আজ তাহার একটির যোগে অন্তটি এবং সমগ্রটির যোগে প্রত্যেকটি রক্ষা পাইয়া গেছে । সতীলক্ষ্মী বলিতে হিন্দুর মনে যে তাবটি । জাগিয়া ওঠে, লে ত আমরা সকলেই জানি । আমরা নিশ্চয়ই প্রত্যেকেই এমন কোনো-নাকোনো স্ত্রীলোককে দেখিয়াছি, যাহাকে