পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.44% बनेन । f ༢་ཨཱ་ বর্ষ, আধাঢ়, ১৬১৪ রামায়ণকথার যে ধারা আমরা অনুসরণ করিয়া আসিয়াছি, তাহারই একটি অত্যন্ত আধুনিক শাখা মেঘনাদবধকাব্যের মধ্যে রহিয়াছে। এই কাব্য সেই পুরাতন কথা অবলম্বন করিয়াও বাল্মীকি ও কৃত্তিবাস হইতে একটি বিপরীত প্রকৃতি ধরিয়াছে। আমরা অনেক সময়ে বলিয়া থাকি যে, -ইংরেজি শিখিয়া যে সাহিত্য আমরা রচনা . করিতেছি, তাহ খাটজিনিষ নহে-অতএব এ সাহিত্য যেন দেশের সাহিত্য বলিয়াই গণ্য হইবার যোগ্য নয় । -- যে জিনিষটা একটা-কোনো স্থায়ী বিশেষত্ব লাভ করিয়াছে, যাহার আর কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নাই, তাহাকেই যদি খাটিজিনিষ বলা হয়, তবে লজীৰ প্রকৃতির মধ্যে সে জিনিষটা কোথাও নাই। মানুষের , সমাজে ভাবের সঙ্গে ভাবের মিলনহয় এবং সে মিলনে নূতন নূতন বৈচিত্র্যের কৃষ্টি হইতে থাকে । ভারতবর্ষে এমন মিলন কত ঘটাছে, আমাদের মন কত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়া আসিয়াছে, তাহার কি সীমা আছে! অল্পনি হইল, মুসলমানের যখন আমাদের দেশের রাজসিংহাসনে চড়িয়া বসিয়াছিল, তাহারা কি আমাদের মনকে স্পর্শ করে নাই ? তাহাঁদের সেমেটিক্-ভাবের সঙ্গে হিন্দুভাবের কোনো স্বাভাবিক সম্মিশ্রণ কি ঘটিতে পায় নাই ? আমাদের শিল্পসাহিত্য, বেশভূষা, রাগরাগিণী, ধৰ্ম্মকশ্বের মধ্যে মুসলমানের সামগ্ৰী মিশিয়াছে। মনের সঙ্গে মনের এ মিলন না হইয়া থাকিতে পারে না। যদি এমন হয় যে, কেবল चांबां८षब्रदे 茹 এরণ ও সম্ভব নয় তবে সে আমাদের পক্ষে নিতান্ত লজ্জার कथंीं । & যুরোপ হইতে একটা ভাবের প্রবাহ আসিয়াছে এবং স্বভাবতই তাহ আমাদের মনকে আঘাত করিতেছে । এইরূপ ঘাতপ্রতিঘাতে আমাদের চিত্ত জাগ্রত হইয়া উঠিয়াছে, সে কথা অস্বীকার করিলে নিজের চিত্তবৃত্তির প্রতি অন্যায় অপবাদ দেওয়া হইবে। এইরূপ ভাবের মিলনে যে একটা ব্যাপার উৎপন্ন হইয়া উঠিতেছে—কিছুকাল পরে তাহার মূৰ্ত্তিটা স্পষ্ট করিয়া দেখিতে পাইবার সময় আসিবে। - যুরোপ হইতে নূতন ভাবের সংঘাত আমাদের হৃদয়কে চেতাইয়া তুলিয়াছে, এ কথা যখন সত্য, তখন আমরা হাজার খাটি হইবার চেষ্টা করি না কেন, আমাদের সাহিত্য কিছু-নাকিছু মূতন মূৰ্ত্তি ধরিয়া এই সত্যকে প্রকাশ • না করিয়া থাকিতে পরিবে না। ঠিক সেই সাবেক জিনিষের পুনরাবৃত্তি আর কোনোমতেই হইতে পারে না—যদি হয়, তবেই এ সাহিত্যকে মিথ্যা ও কৃত্রিম বলিব । * মেঘনাদবধকাব্যে কেবল ছন্দোবন্ধে ও রচনাপ্রণালীতে নহে, তাহার ভিতরকার ভাব ও রসের মধ্যে একটা অপূৰ্ব্ব পরিবর্তম দেখিতে পাই । এ পরিবর্তন আত্মবিশ্বত নৰে। ইহার মধ্যে একটা বিদ্ৰোহ আছে। কৰি পয়ারের ৰেড়ি ভাণ্ডিয়াছেন এবং রামরাবণের সম্বন্ধে অনেকদিন হইতে আমাদের মনের মধ্যে ৰে একটা বাধাবধি ভাৰ চলিয়া জাসিয়াছে, স্পৰ্ব্বাপূর্বক তাহারও শাসন ভাণ্ডিয়াছেন। এই কাব্যে রামলক্ষণের চেয়ে রাবণ-ইঙ্গজিৎ वफ़ रहेब फेÉब्रांप्इ । cत पदंडक्क गर्फबारे