পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা। ] . . ‘. . সৌন্দর্ঘ্য ও সাহিত্য, * গড় —এইজন্ত বাহিরের যে-কোৰে জিনিষকে সে জ্বামীদের কাছে আনিয়া দেয়, সেটাকে যেন শিৰ কৰিয়া মানুষের লিনি করিয়া তোলে। ভাষা ছবি অঁাকে, সে ছৰি যে যথাযথ ছৰি বলি আমাৰুৈ কাছে আদর পায়, তাহ নছে-ভাষা যেন তাহার মধ্যে একটা মানবরস মিশাইয়া দেয়, এইজন্ত সে ছবি আমাদের জ্বদয়ের কাছে একটা বিশেষ আত্মীয়তা লাভ করে। বিশ্বজগৎকে ভাষা দিয়া মানুষের ভিতর দিয়া চোলাইয়া লইলে সে আমাদের অত্যন্ত কাছে আসিয়া পড়ে।” * শুধু তাই নয়, ভাষার মধ্য দিয়া"যে ছবি আমাদের কাছে আসে, সে সমস্ত খুঁটিনটি লইয়া আসে না । সে কেবল ততটুকুই আসে, যতটুকুতে সে একটি বিশেষ সমগ্রতা লাভ করে। এইজন্ত তাহাকে একটি অখণ্ডরসের সঙ্গে দেখিতে পাই—কোনে অনাবশ্বক বাহুল্য সেই রস ভঙ্গ করে না । সেই সুসম্পূর্ণ রম্বের ভিতর দিয়া দেখাতেই সে ছুবি আমাদের অন্তঃকরণের কাছে এত অধিক, করিয়া " গোচর श्हेम्नां ॐ । of কবিকঙ্কণ-চণ্ডীতে ভাড়ম্বত্তের যে বর্ণনা আছে, সে বর্ণনায় মাহুষের চন্ধুিত্রর যে একটা • বড় দিক দেখানো হইয়াছে, তাহা নহে—এইরকম চতুর স্বার্থপর এবং গায়ে পড়িয়া মোড়ল, করিতে মজবুৎ লোক আমরা অনেক দেখিস্বাছি। তাহাদের সঙ্গ যে সুখকর, তাহাও বলিতে পারি না। কিন্তু কবিকঙ্কণ এই ছাদের মায়ূধটিকে আমাদের কাছে যে মুর্তিমান করিতে পারিয়াছেন, তাহার একটি বিশেষ কারণ আছে। ভাষা এমন একটু কৌতুকরস লইয় সে জাগিয়া উঠিয়াছে যে, সে শুধু কালকেতুর সভায় নয়, আমাদেরও হৃদয়ের দরৰায়ে স্বামী । স্বাসে স্থান পাইয়াছে। ভাড়ম্বৰ প্ৰভক্ষ সংসারে ঠিক এমন করিয়া আমাদের গোচর হইত না। আমাদের মনের কাছে স্থলছ করিবার পক্ষে ভঙ্গ দত্তের যতুটুকু আৱশ্বৰ, কবি তাহার চেয়ে বেশি কিছুই দেন নুই+ কিন্তু প্রত্যক্ষ-সংসারের-ভাড়া ঠিক ঐটুকু भांज नग्न-4हेबनाई cन त्रैर्माषब्र कांस्कू অমন ক্লরিয়া গোচর হইবার অবকাশ পাৱ মা ! কোনো-একটা সমগ্রভাবে সে আমাদের কাছে গোচর হয় না বলিয়াই আমরা তাহতে আনন্দ পাই না। কবিকঙ্কণ-চওঁতে-টাজু . দত্ত তাহার সমস্ত অনাত্নক বাহুল্য বর্জন করিয়া কেবল একটি সমগ্র রসের মূৰ্ত্তিতে আমাদের কাছে প্রকাশ পাইয়াছে। ভাড় দত্ত যেমন, চরিত্রুমাত্রই সেইৰূপ। "রামায়ণের রাম যে কেবল মহান বলিয়াই আমা দূিৰ্গকে আনন্দ দিতেছেন, তাহ নহে, তিনি আমাদের স্বগোচর, সেও একটা কারণ। রামকে টুেকু দেখিলে একটি সমগ্ররসে তিনি আমা দের কাছে জাগিয় উঠেন, সমস্ত বিক্ষিপ্ততা বাদ দিয়া রামায়ণ কেবল সেইটুকুই আমাদের কাছে আনিয়াছে ;–এইজন এত স্পষ্ট তাহাকে দেখিতে পাইতেছি-এবং-স্পষ্ট দেখিতে পাওয়াই , মানুষের একটি “ বিশেষ আনন্দ, স্পষ্ট দেখিতে পাওয়া মানেই একটা- . কোনাে সমগ্রভাবে দেখিতে পাওন্স যেন শুরু, রাত্মাকে.দেখিতে পাওয়া। সাহিত্যু তেমনি করিয়া একটা সামঞ্জস্তের স্বযমার মধ্যে সমস্ত . R # ಗಗನ್ ಗೆ) હરે সুষম সৌন্দর্ঘ্য • iు আর একটা কথা মনে রাখতে হইৰে,