পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}.e : সাহিত্যের একটা বৃহৎ অংশ আছে, যাহা তাহার উপকরণবিভাগ। পূর্ববিভাগে কেবল যে ইমরং তৈরি হয়,তাহনহে,তাহার দ্বারা ইটের লাজাও পোড়ান হয় । ইটগুলি ইমারৎ নয়। বলিয়া সাধারণ লোক অজ্ঞা করিতে পারে, বাহ উপকরণ, সাহিত্যরাজ্যে তাহার' মূল্য वैज्ज हम मद्र । `७ईबनाई जानकनमब cरूदन সাহিত্যে সমাদর পাষ্টয়াছে। Tন হৃদয়ের ভাব প্রকাশ করিবার জন্য মানুষ যে কত ব্যাকুল,তাহ বলিয়া শেষ করা যায় না । হৃদয়ের ধৰ্ম্মই এই, সে নিজের ভাধটিকে অন্যের । তাব করিয়া তুলিতে পারলে তবে বাচিয়া যায়। অথচ কাজটি "অত্যন্ত কঠিন বলিয়া তাহার ব্যাকুলতাও অত্যন্ত বেশি।' সেইজন্য যখন আমরা দেখি, একটা কুঞ্জ কেহ অত্যন্ত চমৎকার করিয়া প্রকাশ করিয়াছে, তখন আমাদের এত আনন্দ হয়। প্রকাশের বাধা দূর হওয়াটাই আমাদের কাছে একটা ছপাল্য ব্যাপার বন্ধিয়া, বােধ হয়। ইহাতে আমাদের শক্তি বাড়িয়া যায়। ষে কথাটা প্রকাশ্ব হইতেছে,তাহা বিশেষ মূল্যবান একটা কিছু না হইলেও সেই প্রকাশব্যারেকর্মধ্যেই দিকোনাে অসামান্যত দেখা যায়, তবে মানুষ তাহাকে সমাদর করিয়া রাখে। .সেইজন্য যাহ-তাহ অবলম্বন করিয়kকেবল সাহিত্যে অনাদৃত হয় নাই। - তাহাতে মাহুৰ যে কেৱল আপনার ক্ষমতাকুে বাক্ত করিয়া আনন্দদান করে, জ্বাহী নহে— ৰঙ্গদর্শন। [ ৭ম বর্ষ, বৈশাখ, ১৩১৪ কিন্তু যে-কোনো উপলক্ষ্য ধরিয়া শুদ্ধমাত্র আপনার প্রকাটােকে খেলাতেই আহা যে আনন্দ-—সেই নিতান্ত বাহুল্য আনন্দকে সে আমাদের মধ্যেও সঞ্চার করিয়া-য়ে v যখন লেখকের নাম এক্টি কৰ অবলীলাক্রমে করিতেছে, তখন তাহাতে আমাদের আনন্দ হয়—কিন্তু মখন দেখি, কোনো কাজ নয়, কিন্তু যে-কোনো “ তুচ্ছ উপলক্ষ্য লইয়া কোনো মানুষ আপনার সমস্ত শরীরকে নিপুণভাবে চালনা করিতেছে—তখন সেই তুচ্ছ উপলক্ষের গতিভঙ্গীতেই সেই লোকটার যে প্রাণের বেগ, যে উদ্যমের উৎসাহ প্রকাশ পায়,তাহ আমাদের ভিতরকার প্রাণকে চঞ্চল করিয়া মুখ দেয় । সাহিত্যের মধ্যেও হৃদয়ের প্রকাশধর্মের লক্ষ্যহীন নৃত্যচাঞ্চল্য যথেষ্ট স্থান পাইয়াছে। স্বাস্থ্য শ্রাস্তিহীন কৰ্ম্মনৈপুণ্যেও আপনাকে প্রকাশ করে, আবার, স্বাস্থ্য ষে কেবলমাত্র স্বাস্থ্য, ইহাই সে বিন কারণেও প্রকাশ করিয়া থাকে। সাহিত্যে তেমনি মানুষ কেবল ষে আপনার ভাবের প্রাচুর্যমেই প্রকাশ করিয়া থাকে, তাহা নহে, সে আপনার প্রকাশশক্তির উৎসাহমাত্রকেট ব্যক্ত করিয়া আনন্দ করিতে থাকে। কারণ প্রকাশই আনন্দ—এইজন্যই উপনিষদ বলিয়াছেন, আনন্দরূপমমৃতং যদ্বিভাতি—যাহা-কিছু প্রকাশ পাইতেছে, তাহাই তাহার আনন্দরূপ, অমৃতরূপ। সাহিত্যেও মানুষ কত বিচিত্রভাবে নিয়ত আপনার আননারূপকে, অমৃতরূপকেই ব্যক্ত করিতেছে, তাহাই আমাদের দেখিবার বিষয়। ঐয়ৰীন্দ্রনাথ ঠাকুর।