পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সংখ্যা । ] শিবাজীউৎসব। ২৬৯ সকলেরই এইটিই বিশেষরূপে চিস্তার বিষয় হইয়াছে । আমাদের মধ্যে যতপ্রকারের বত ভেদ থাকুক না কেন, একটি বিষয়ে বোধ হয় কাহারও মতদ্বৈধ নাই। সেটি এই যে, আমাদের ধৰ্ম্মগত, জাতিগত, বর্ণগত, শিক্ষা এবং সংস্কারগত যত প্রকারের বৈষম্য থাকিতে পুরে এবং আছে, डाशंद्रहे भशा निद्रा একটি বৈধভাববর্জিত একতার স্বত্র অবলম্বন করিয়া জামাদিগকে জাতীয়জীবনের সফলতা লাভ করিতে হইযে। এ জাতীয়জীবন হিন্দুর একার সম্পত্তি নহে, ইহা মুসলমানের ও নষ্ঠে, ইছ বাঙালীর বা মারাঠীর নহে, পরস্তু ইহা সমগ্র হিন্দুস্থানের জাতীয়জীবন। এই জাতীয়জীবনকে প্রকৃত জীবনী শক্তি প্রদান কলিতে হুইলে যে শিক্ষা, যে উপদেশ, ৰে দীক্ষার প্রয়োজন, আমাদিগকে এক্ষণে তাহারই ব্যবস্থা করিতে হুইবে । এইরূপ শিক্ষণ এবং উপদেশের অভাব বোধ হইয়াছে বলিয়াচ জাতীয়বিস্কালয়ের স্বষ্টি হইল। নতুবা এতবড় একটা বিশ্ববিদ্যালয় থাকিতে পুনরায় আমাদের নূতন একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করিবার কি প্রয়োজন ছিল ? এই শিক্ষা এবং উপদেশ জনসাধারণকে দিবার জন্ত কথকতা, বন্ধু তা প্রভৃতির প্রয়োজন এবং ধাহাতে আমাদের छाडौंब खोक्नौ भखिब्र वृकि श्हेप्ड नाप्रु, তাহার অমুকুল উৎসবাদিরও অনুষ্ঠান অবিশুক । শিবাজী-উৎসব ধাহtat প্রথমে প্রবর্তিত করেন, অম্বুমান · করি, এই উদ্বেগু লইয়াই উহার অনুপ্রাণিত হইয়াছিলেন। শিৰাজী-উৎসবের অষ্ট কোন *ीर्षकठी भांरश् वा षोकिटङ •ारब्र, ठाश * *रीस दूकि मांहे, ॐदूरू बिनिनदादूद्र প্রবন্ধ পাঠ করিয়াও বুঝিতে পারিলাম নী । - বিপিনবাৰু বলিতেছেন—“শিবাজীর বীরচরিত্র ও স্বদেশপ্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত জনমণ্ডলীর মধ্যে প্রচার ও প্রতিষ্ঠা কয় এবং শিক্ষিতসাধারণকে যথাসম্ভব শিবাজীচরিত্রলাভে সাহায্য করা, ইহাই শিৰাজী-উৎসবের মূল উদ্দেশু ”, যদি ইহাই মূল উদেণ্ড হয়, তবে ভবানীমূৰ্ত্তির প্রতিষ্ঠাদ্ধার সেই উদ্দেশুসিদ্ধির কতকটা সাহায্য হইল কিংবা তৎপক্ষে কোন ব্যাঘাত ঘটিল, ইহাই বিচাৰ্য্য .বিষয় । মূর্ব এবং অমূর্বের উপাসনা লইয়া স্মরণাতীত কাল হইতে মতভেদ এবং দ্বন্ধ চলিয়া আদিতেছে। উভয় মতের পোষকতায় প্রচুর গ্রন্থাদি ও লিখিত হইয়াছে। কিন্তু এ পৰ্য্যস্ত সাকারবাদী ও নিরাকারবাদীর কলহের মীমাংসা হয় নাই, কথন হুইবে এরূপ দুরাশা ও অতি অল্প লোকেই করিয়া থাকেন। যিনি সকারোপাসনায় রত, তিনি নিরাকারবাদীকে উপহ্রাস করেন ; আবার যিনি নিরাকারের উপাসনা করিয়া থাকেন, তিনি সাকারোপাসককে একটু অবজ্ঞার চক্ষে দেখেন । পরস্পরের প্রতি এইরূপ ভাব যে কেবল অশিক্ষিতের মধ্যেই নিবন্ধ, তাহা নহে । যাহারা পণ্ডিত, যাহার শাস্ত্ৰাধ্যয়ন করিয়াছেন, তাহদের মধ্যেও এই ভাবটি বিলক্ষণ রহিয়াছে এবং বোধ হয় পৃথিবীতে যতদিন ভগবানের উপাসনা প্রচলিত থাকিবে, ততদিন এ বিরোধ অবশ্নভাবী। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম এ দেশে যখন প্রথম প্রবর্তিত হয়, তখন হইতেই আমাদের দেশের শিক্ষিত্তসমাজেই এই • বিরোধের