পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిఏe দেউড়িতে দাড়াইয়া অপ্ৰমত্তভাবে পাহা, দ্বিত ; জার, যদি তোমার সেই চিরাবহিত নয়নের সম্মুখে জলস্থল-আকাশ-অন্তরীক্ষ श्रउ, ठटेशव शंदज्ञ-छक्रय, निबॅर-नखैौरु, চেতনাচেতন সমস্ত পদুধের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এবং বসনভূষণ হইতে ক্রমাগতষ্ট হ্রাসবৃদ্ধিবিহীন, ছায়াবিহীন, বৈচিত্র্যবিহীন একরঙ আলোক বাহির হইত, তাহা, হইলে তোমার এখনকার এ অবস্থায় তুমি এই যে বলিতেছ— “যেমন চোক তেীয় জলো জুড়ি মিলিয়াছে ভালো - তাহা তো তুমি বলিবেই ; কিন্তু তোমার তখনকার সে অবস্থায় তুমি দেখিতে যে কিরূপ দৃশু—সেইটিই জিজ্ঞান্ত। অন্ধের নিকটে যেমন দিবা-রাত্রি দুইই সমান, তোমার সেঅবস্থায় তোমার নিকটে তেজি আলোকঅন্ধকার দুইই সমান হইত। কোনো পাগল যদি চুনকাম-করা ধবধবে প্রাচীরের গায়ে শাদ খড়ি দিয়া বাড়ীর নম্বর দাগে, তাহ হইল,কেৰু শাদা’য় শাদা চুবিয়া মরে, তেন্নি তোমার সে-অবস্থার চক্ষের সামূনে আলো’য় আলো ডুবিয়া মরিত—তাহার কণামাত্রও তোমার চক্ষুরিন্দ্রিয়ের ভোগে আসিত না । তাহা হইলে ফলে দাড়াইত এই যে, তুমি চক্ষু থাকিতেও অন্ধ, আর, জগৎসংসার আলোকের মাঝখানে থাকিয়া ও অন্ধকারণ। অতএব এটা স্থির যে, প্রকাশের সঙ্গে কোনোনা-কোনো অংশে অপ্রকাশের অঞ্চন বা বিপ্রকাশের রঞ্চন লাগিয়া থাকা চাই-ই-চাই, ত নহিলে প্রকাশের প্রকাশ রক্ষা পাইতে পারে না । দ্বিতীয় দ্রষ্টব্য এই যে, বিহিত প্রকরণ বঙ্গদর্শন । { ৭ম বর্ষ, আশ্বিন, ১৩১৪ পদ্ধতির সোপান না মাড়াইয় কোনো বিষয়ই অপ্রকাশ হইতে প্রকাশে সমুখীন করিতে পারে না। তুমি যদি কিলাইয় কাঠাল পাকাইতে যাও, তবে কিছুতেই তাহ তুমি পারিয়া উঠিবে, না। কিরূপ প্রক্রিয়ার যোগ-সাযোগে কাঠালপাকাইতে হয়—কাঠাল গাছই তাহ জানে, আর, সেইজড় তাহারই তাহা কাজ। সব গুণই যেমন ক্রিয়া’র ফল ( সংক্ষেপে-কৰ্ম্মফল ), প্রকাশ এবং অপ্রকাশ গুণও তাই। যাহা প্রকাশ হয়, তাহ ক্রিয়াযোগেই প্রকাশ হয় ; যাহা অপ্রকাশ হয়, তাহা কুৰ্ম্মাস্তম গুটাইয়াই অপ্রকাশ হয় । প্রকাশিতবা বিষয়ের আপাদমস্তক সৰ’টাই যদি এক উপ্তমেই প্রকাশ পাইয়া চোকে, তাছা হইলে অপ্রকাশ একাই যে কেবল ঘুচিয়া যায় তাহা নহে, অপ্রকাশের প্রতিযোগিতার অভাবে প্রকাশের প্রকাণত্বও সেইসঙ্গে ঘুচিয়া যায়। ঘোড়সোয়ার যদি ঘোড়া’র রাশ একেবারেই ছাড়িয়া স্থায়, তবে ঘোড় উচ্ছ স্থলবেগে ছুটিতে আরম্ভ করিয়া মুহূর্বের মধ্যে সমস্ত শক্তি ব্যয় কবিয়া ফেলিয়া অবসর হইয়া পড়ে ; আবার, ঘোড়সোল্লার যদি মাত্রাতীত বলের সহিত রাশ টানিয়া ধরিয়া থাকে, তাহ হইলে ঘোড়া চলংশক্তিবহিত হইয়া যায়। এইজন্ত ঘোড়সোয়ার পরিমাণসঙ্গত বলের সহিত রাশ টানিয়া-ধরিয়া উগুমের পিছনে সংযমের এবং সংযমের পিছনে উস্তমের তার লাগাইতে থাকে ; আর, সেইরূপ যথাসঙ্গত উত্তম এবং সংযমের পর্যাবর্তনের প্রভাৰে ঘোড়া ঠিক পথে চলিতে থাকে। এইরূপ লাগমাফিক পৰ্যায়ক্রমে উচ্চম এবং সংযম খাটাই প্রকাশকে অপ্রকাশের ব্যাড়া দিয়া সীমা