পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ઠેકરે ৭ম বর্ষ, আশ্বিন-১৩১৪ চারিদিক্ রুদ্ধ চত্বরের মত একটা স্থান— তাহার উপর রাণীকৃত প্রাচীর ও ভগ্নাবশেষ স্থাপিত ; ইছাই বলিতে গেলে স্বর্ণমন্দিরের अणन अर्थव श्रांथांब्रशै? ? क्रूि झेश ठिक মন্দিরের সন্মুখে. অবস্থিত নছে ; মন্দিরের দ্বারদেশে যাইতে হইলে আবার একটা সঙ্কীর্ণ অন্ধকেরে গলির ভিতর দিয়া যাইতে হয় । এই স্থানটি অতীব পবিত্র, সাধুসন্ন্যাসীরা এখানে নিয়ত বাস করে । এখানকার কোন জিনিষ স্পর্শের দ্বারা কলুষিত না হয়, এইজন্ত বিদেশীকে সৰ্ব্বদাই বিশেষরূপে সতর্ক থাকিতে হয় । এখানে-ওখানে, দেয়ালের মধ্যে খোদিত কুলুঙ্গি রহিয়াছে –কুলুঙ্গি গুলা জালিকাটা পিতলের কপাটে বদ্ধ —তাহার মধ্যে মসৃণ শিলাখণ্ডসকল সারি সারি অধিক্টিভ ; এই শিলাখণ্ডগুল, জন্ম ও মৃত্যু, এই দুই মহরিহস্তের সাঙ্কেতিকমূৰ্ত্তি। বড়-বড় বস্তুপগুকে যেরূপ পিঞ্জরে বদ্ধ করিয়া রাখা হয়, সেইরূপ ধাতুময়-স্থল-গরাদে-বিশিষ্ট পিঙ্গরক্ষণ-ভীষণদর্শন বিগ্রন্থে পরিপূর্ণ; এবং এক একটা ছায়াময় কোণে,—হাকুড়াকালি ও হলদে ফুলের মালায় পরিবেষ্টিত ভাঙাচোরা ভীষণ গণেশমূৰ্ত্তি,—ভক্তবৃন্দের ভক্তিপূর্ণ হস্তের বর্ষণে ক্ষয় হইয়া গিয়াছে। শুষ্ক ফুলের মালা মাটীর উপর ছড়ান রহিয়াছে ; তাহার সৰিত বহুবর্ষপঞ্চিত খুলারাশি মিশিয়াছে। মধ্যে-মধ্যে পবিত্র গরুদের গোময়ের উপর পী পড়িয়া যায় ; এই গাভীবৃন্ম সমস্তদিন ইতস্তত জনতার মধ্যে বিচরণ করিয়া সন্ধ্যায় नभइ जांबांब्र ७देवाप्न शिब्रिब्र आहे८म । uहे স্থানটি তীর্থবাৰীদিগেরও একটা আড্ডা। চতুপার্থৰ উপোনের ধর্শনিঃ তপস্বী, দিব্যভাৰ दअनर्थन । • পরিব্যক্ত সুন্দর মুখশ্ৰী, অরুণবস্ত্রধারী, শুদ্ধচিত্ত যোগী,—রুদ্রাক্ষ ও কড়ির মালায় সৰ্ব্বাঙ্গ - সমাচ্ছন্ন-ইহারা একটা প্রস্তরময় চতুষ্কমণ্ডপের মধ্যে আশ্রয় লইয়াছে । পুরাকালে, ইহাদেরই জন্ত এই সকল মণ্ডপ নিৰ্ম্মিত হয় । ইহাদের চতুষ্পার্থে এখানকার নিত্যনিবাসী ভিক্ষু সন্ন্যাসী, মৃগীরোগগ্ৰস্ত সন্ন্যাসী, জৱবিকারীর স্তায় রক্তনেত্র ধরালুষ্ঠিত কঙ্কালমূর্তি, যাহারা ভিক্ষার জন্ত লুপ্ত-অঙ্গুলী হস্ত বাড়াইয়া দেয়, সেই সৰ কুণ্ঠরোগী...এই সকল জড়বৎ আচল ভস্মলিপ্ত ছদ্মবেশী লোক—যtহাদের সমস্ত জীবন যেৰ চোখের তারার মধ্যেই সংকেঞ্জিত, —ইsারাই মন্দিরের আশপাশে যেন একটা অস্পষ্ট বিভীষিকার ছায় বিস্তার করিয়া রহিয়াছে ; কতকগুলা বৃদ্ধ সন্ন্যাসী, যাহাদের জটাকলাপ স্ত্রীলোকের খোপার মত মস্তকের চুড়াদেশে উচু করিয়া বাধা ;–ইহাদের দৃষ্টিপথে একবার যে পতিত হয়, ঐ ভীষণ মূর্তি উপচ্ছায়ার স্তায় তাহাকে নিয়ত অমুসরণ করে—সে কখনই তাহ। ভুলিতে পারে না । স্বর্ণমন্দিরের মধ্যে কোন বিধৰ্ম্মী প্রবেশ করিতে পায় না। কিন্তু দ্বারদেশের সম্মুখে, পুরোহিতদিগের একটি সেকেলে-ধরণের গৃহ আছে; এই গৃহ ও স্বর্ণমন্দির—এই উভয়ের মধ্যে একট। সরু গলি-পথ। এই পুরোহিতগৃহের উপরে সকলেই অবাধে উঠিতে পারে। এখানে প্রতিদিন প্রাতে ও সন্ধ্যায় মৃত্যুদেবতার নিকট শোকসঙ্গীত হইয়া থাকে ; তাহার সঙ্গে প্রকাও-প্রকাও ঢাকঢোল বাজিতে থাকে । এবং যেখানে বসিয়া তুরীবাদকের তুরনোদ করে, সেই গবাক্ষবারগুটি এমন জায়গায় অবস্থিত ষে, সেখান