পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা । ] তপস্বিনী। ’ .५4 नांझे r. মহারাণী এইরূপ কমনীয় শিষ্টাচারে বৎসর ಕ್ಲ সাক্ষাৎ হইলে তিনি তাহাকে সৰ্ব্ববিধ অসৌজন্য পরাজিত এবং অমানীকে মান্তদান করিয়া লোকশিক্ষা দিতেন। পুটিয়াস্থযে নিরপেক্ষ কর্তব্যপরায়ণ পুলিস্কৰ্ম্মচারটির কথা ইতিপূৰ্ব্বে উল্লে\ করিয়াছি, তিনি এই নিমন্ত্রিতদলের একজন। এখনও তিনি জীবিত এবং ভগবানের রূপায় দীর্ঘকাল• পেনশন ভোগ করিতেছেন। সেদিনও গল্পটি তাহার মুখে নুতন করিয়া শুনিয়াছি। তিনি ৰলেন, একবার অন্নপূর্ণাপূজার দিন ওয়ারেন্টের আসামী মহারাণীর দেবসেবার নায়েবকে শিবের বড়মন্দির হইতে গ্রেপ্তার করিয়া আনিলাম। আর কেহ হইলে আমায় কথন ক্ষমা করিতেন না, কিন্তু মহারাণীমাতার ইহাতে কিছুমাত্র ক্রোধের সঞ্চার হয় নাই । আর একবার রাজবাটীর বরকন্দাজের একজন প্রজাকে ধরিয়া লইয়া যাক্টতেছিল। সংবাদ পাইয় তাহাদিগকে যথাবিহিত চালান দিলাম, তাহাতেও মহারাণীর কোন ভারান্তর হয় নাই । ষ্ঠায়পরতার দিকে তার এমনি তীক্ষদৃষ্টি क्लिटो । e * © মহারাণীমাতার পুত্রবৎ স্নেহভাজন এক তরুণ যুবকের বালিকা পত্নী বিবাহের কিছুদিন . পরে এক দুঃসাধ্য পীড়ায় কষ্ট পাইতেছিলেন। বন্ধুরা অনেকেই উপদেশ দিলেন, সবে বিবাহু হইয়াছে,—তোমার আত মাথাব্যথা কেন ? আর একটা বিবাহ কর । কিন্তু যুবাটি মহ অর্থঙ্কচ্ছ সহ করিয়াও স্ত্রীর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করিলেন। মাত সৰ্ব্বদা এই দম্পতির সংবাদ লইতেন এবং যুবার’বন্ধুবান্ধবদের বাচনিক সহধৰ্ম্মিণীর অমুখের সুময় তাহার বিষম পরীক্ষার কথা শুনিয়াছিলেন। প্রায় এক কাছে বসাইয়া অশ্রমোচন করিতে করিতে বলিলেন, “ছেলেমানুষ তুমি যে ধৰ্ম্মবুদ্ধির পরিচয় দিয়াছ, তাহাতে আমি বড় সস্তুষ্ট হইয়াছি। ভগবান অবগু তোমুর ভাল করিবেন।” মহারাণীমাতার অসাধারণ চক্ষুলক্ষ ছিল এবং • তাহার দুইএকটি পরিচয় ইতিপূৰ্ব্বে দিয়াছি। ১২৮৯ সালের আশ্বিনমাসে যে, প্রকাও ধুমকেতুর উদয় হইয়াছিল,একদিনশৈকরাত্রে মহারাণী তাহা দর্শন করিয়া প্রাতে আমাদের কাছে তাহার গল্প কঁরিতেছিলেন । কয়দিন পূৰ্ব্বে দেখিয়া আমি মাতাকে বুলিয়া.ছিলাম। তাই আমায় লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, —“আজ তোমার ধূমকেতু সুন্দর রূপে দেখিয়াছি—খুব বড়।” অন্যান্ত কথাবার্তা চলিতেছে, এমন সময়ে এক প্রৌঢ় ব্রাহ্মণকন্ত একবাটী *তৈল আনিয়া মহারাণীর কাছে বসিলেন এবং আমাদের সমক্ষে টুল খুলিয়া বেশ সপ্রতিভভাবে তাহাতে মৰ্দ্দন করিতে লাগিলেন । কেহ বলিল, এখনও হাজির দিবার লোক বাকী আছে,-ঠাকুরাণীটি তথাপি নিৰ্ব্বিকারভাবে তাহার কুন্তলদাম তৈলনিষিক্ত করিয়া চলিলেন । দুইচরিফোর্ট তৈল হাতলে পড়িতেছিল এবং তিনি মস্কেমাৰে হাতমুখ নাড়িয়ু গল্পও করিতেছিলেন মহারাণীমাতু তৈল স্পর্শ করিতেন না, দৃশুটাও তার ভাল লাগিতেছিল না, ইহা আমি বুঝিতে - পরিতেছিলাম। কিন্তু তিনি গভীর হইয়সংবাদপত্র পাঠ করিতেছিলেন। ঠাকুরাণীটির ব্যবহার আমার সহিষ্ণুতা অতিক্রম করিল। আমি হাসুিয় বললাম, রাজার সম্মুখে তেল মাখিতে கி. ব্ৰাহ্মণী ঠাচ্ছল্যের হালি