পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদর্শন। মঙ্গলশক্তি । مبتکای شیعه و حتیجه মঙ্গলশক্তি বা ধৰ্ম্মবলের দ্বারা মনুষ্যসমাজ চালিত-রক্ষিত হ’তে পারে কি না, সে সম্বন্ধে অনেকেরই সংশয় আছে। অনেকের ধারণ, ধৰ্ম্মচর্চার ফলে মনে একটি সুন্দর ও. শাস্থির ভাব উদয় হয় মাত্র,—তাতে কোন শক্তিলাভ হয় না, অতএব অধিক মাত্রায় ধৰ্ম্মভাব বৰ্দ্ধিত হ’লে লোকে শাস্তিপ্রিয় হ’য়ে নিবীৰ্য্য হ’য়ে পড়বে এবং এর দ্বারা মঙ্গুষ্যসমাজ ক্রমে ক্রমে অকৰ্ম্মণ্য হ’য়ে যাবে। এই ধারণার কারণ, ইতাদের সংস্কার অাছে যে, শক্তিকে নষ্ট করাই ধর্শ্বের পথ, কিন্তু ধাতুর সামঞ্জস্ত যেমন শারীরিক স্বাস্থ্যের মূল, মানসিক বা আভাস্বরিক শক্তি ও প্রবৃত্তির সামঞ্জস্তই সেইরূপ অস্তরের উন্নতি বা স্বাস্থ্যের মুল । শক্তিকে অবাধে ছুটিয়ে দেওয়াও যেমন ভুল, শক্তিকে সম্পূর্ণ রোধ করাও তেমনি ভুল, শক্তির সামাই প্রকৃত ধৰ্ম্মের পথ । চাঞ্চল্যবিনাশ হ’লে শক্তি প্রকৃতিস্থ হ’য়ে মঙ্গলশক্তিতে পরিণত হয়,—এই মঙ্গলশক্তির তেজই ব্ৰহ্মতেজ বা ধৰ্ম্মবল। শক্তির উদ্বোধন যে মামুষের উন্নতির উপায়, সকলেই জানেন, বোঝেন ও স্বীকার করেন এবং শক্তিচালনাই ৰে শক্তি-উদ্বোধনের উপায়, এও সকলেই জানেন— কিন্তু এই মঙ্গলশক্তির উদ্বোধনই যে মন্বষাম্বলাভের একমাত্র উপায়, এ কথাটি বোধ হয় অনেকেই জানেন না অথবা বিশ্বাস করেন না । যথার্থ মঙ্গল মানুষের লক্ষ্য হ’লে, শক্তির বিশুদ্ধ অবস্থা বা মঙ্গলের শক্তি মনুষ্যের মধ্যে জাগ্রত হ’লে তার সফলতা ধ্রুব । র্যার মধ্যে এই শক্তি জাগ্রত হয়েছে, তিনি নিজের কাৰ্য্যসম্বন্ধে নিঃসংশয় । তিনি জানেন যে, এই শক্তি বর্তমানে আমার মধ্যে স্থল-হাতপামুখবোগে কাৰ্য্য করছেন, কিন্তু হাতপায়ের অর্থাৎ শরীরের পরিবর্তনে পরিবর্তিত হবেন না ; আমার শরীর ধবংস হ’লেও, બરે শক্তি ও তার কার্য্য অবিনাশী,—পরমাত্মা অনাদিকাল এই শক্তিরূপে আকাশে প্রকাশমান থেকে স্বষ্টিরক্ষা করছেন । বৰ্ত্তমান সভ্যজগৎ যে জ্ঞানের উপর চলছে, তাতে এ ভাব সহজে বিশ্বাস হবে না, —এ অবস্থাকে সত্য বলে’ বোধ হবে না । বর্তমানকালে ইউরোপীয় সভ্যতাই জাদশ, এ ভাব, এ শিক্ষা, এর ফল ইউরোপীয়ের ধারণাই করতে পারে না এবং সেইজন্তে আমাদের দেশের অনেক ইংরেজিশিক্ষিত লোকেরাও একে বিশ্বাস করেন না । ইউরোপীয়ের জানে, তাবের রাজ্য জালাল, কাজের রাজ্য আলাদা—কিন্তু অন্তরে ধিনি বা যাহা ভাবরূপে প্রকাশমান, তিনি বা তাছাই ৰে বাহিরে পূর্ণশক্তিৰোগে কার্ধ্যে পরিণত হয়ে