পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] মনীষা । \రీ4వ ছোক বিশ্বকোণে দিব্য নব মহাঁ অগ্নির সঞ্চার নারীর উদ্যম। তাহে হোক যথা সমিধ্বসম্ভার নারীর অপুৰ্ব্ব কীৰ্ত্তি, দিকে দিকে পরিব্যাপ্ত হোকঃ পুণ্যগন্ধ-ধুপসম হিল্লোলে প্লাবিয়া বিশ্বলোক যুগান্তর আনন্দে ভরিয়া।” এ আত্ৰেীতপোবনে” নিকুঞ্জ কহিল, “লভিস্থ আতিথ্য তব বরাঙ্গনে !. যে অমৃতময়,—এ জীবনে ভুলিতে কি পারি আর ? তোমা-হেন তপস্বিনী মোদের আশ্রমে একবার পাই যদি সুহাসিনী—ঢালি ঢালি হৃদয়ের ঝারি এ প্রাণদানের যোগ্য কৃতজ্ঞতা দেখাইতে পারি। প্রাণত দিয়েছ তুমি প্রাণদাত্রি । কি অমূল্য নিধি তাহা ছাড়া দেছ আর—জানেন তা’ অস্তৰ্যামী বিধি ।” চন্দ্রী কহে, “এস তবে –রেখো মুখ ঘোমটায় ঢাকা হেথায় দর্শনছাত্রী যারা—বস্ত্রে মুখ ঢেকে রাখা { চিত্তের সমাধিতরে ) তাদের আচার। কবে কখা নিতান্ত অল্পই—অন্ত কারো নাহি লইবে বীরত— ভুলে না প্রতিজ্ঞাবাণী—মন্দ কিছু না-ও হতে পারে।” হইনু গমনোন্মুখ - কোলে নিল নিকুঞ্জ কণারে বিশ্ব-রাগ গণ্ডদুটি যুগল-অঙ্গুলী-মাঝে ধরি চক্ষে ধীরে হানিল ফুৎকার-চন্দ্র নিরীক্ষণ করি মৃদ্ধহস্ত হাসিল মধুর। ফিরিয়া মোরা তখন ভ্ৰমিলাম সবে মেলি একে একে সব আয়তন আসনে সজ্জিত। ক্ষণকাল ধরি বসি প্রতিঘরে শিক্ষয়িত্রীমুখ হতে শুনিলাম ধরুত্বর করে বাক্যধারা—শশিমুখ হ’তে স্বধাসম স্বনশ্বৰ ফুরিছে মধুর ভাষা-শুভ্ৰমূৰ্ত্তি জীয়ৰী যেমন রজতনিঃসারে—তীক্ষু উচ্চকণ্ঠে মাঝে মাঝে তা’র খণ্ড-খণ্ড-মহামূল্য-পুরাণেতিহাসু-বাক্যোদ্ধার— •