পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] -প্রবাসের পাঠশালা । 8e S) পণ্ডিত্ব মহাশয় সকলকে একটু একটু পড়। বলিয়া দিতেন, বোর্ডে অঁাক কসাইতেন ও ছুটির অব্যবহিত পূৰ্ব্বেই ঘরগুদ্ধ সকলকে নামূতা পড়াইতেন । আমাকে পণ্ডিত মহtশয় বড়ই তাচ্ছিল্য করিতেন—কোন দিন ২১টা পড়া লইলেন, cज्ञानमिन কিছু না জিজ্ঞাসা করিয়াই “এইখান থেকে এই পৰ্য্যস্ত পড়া করে আনিস্ট” বলিয়া বিদায় দিতেন । আমার দুই বৎসর বয়সের সময় হইতে বাবা একখানা, বর্ণপরিচয় লইয়া আমাকে বিস্তাশিক্ষা দিতে আরম্ভ করেন ; আমার চার বৎসর বয়সের সময় অল্পে অল্পে অামি বর্ণপরিচয় দ্বিতীয়ভাগ ‘সায়’ করিয়াছিলাম, 'বোধোদয়’ ধরিয়া স্কুলে ভৰ্ত্তি হইলাম। বাস্তবিক ‘বোধোদয়’ পড়িবার মতন তখন আমায় বোধোদয় ইহুয়াছিল কিনা জানি না, কিন্তু বাব সকলের কাছে গল্প করিতেন বে ‘মুকুমারীর অগাধ বুদ্ধি ও এর মধ্যে ‘বোধোদয়’ পড়ে । স্কুলে ভর্তি হুইবার ২৪ দিন পরেই কি একটা পড়। বলিতে ন পারায়, পণ্ডিত মহাশয় আমার গালে একটা প্রকাও চড় মারিলেন- সে কি চড় ! আমি চক্ষে অন্ধকায় দেখিলাম ! লজ্জায় মুখ তুলিতে পারিলাম না! ইহার পূৰ্ব্বে আমি কখনও कौशब७ कारह मांब्र थाझे नाहे । दूरू ফাটিয়া কান্না আদিতেছিল কিন্তু কাদিলাম ন, চুপ করিয়া বলিয়া রছিলাম ; সমস্ত দিন আমার গাল জাল করিতে লাগিল। ছুটির পর বাড়ী আসিয়া ঠোঁট ফুলাই একেবারে আরে কোলে আছড়াই পড়ির বলিলাম, “পণ্ডিত মশায় আমাকে মেয়েছে। মা জামার

  • মেয়ে পড় বল'তে পারুক আর ন৷

মুখ তুলিয়া ধরিয়া বলিলেন, “আহা হা আহা হা ! হওভাগ। পণ্ডিত বাছাকে একেবারে মেরে ফেলেছে, এমন চড় মেরেছে যে পাচ “আঙ্গুলের দাগ পড়েছে! মরে বাই, ময়ে যাছ, বাছারে আমার !", বাব তখন বাড়ী ছিলেন না, মা একেলাই বকিতে লাগিলেন ও জামাকে শাস্ত করিলেন। পরদিন কিছুতেই আর স্কুলে যাইতে দিবেন না, বাবা অনেক বলা কহায় স্কুলে পাঠাইলেন, কিন্তু বাবা পণ্ডিত মহাশয়কে একখানা কড়া’ করিয়া চিঠি লিখিয়া দিলেন যে, “আমার পারুক খবরদার আমার মেয়েকে মারিবেন না।” চিঠিখানা আমিই হাতে করিয়া লইয়৷ গিয়াছিলাম-পণ্ডিত মহাশয় পড়িয়া আমার দিকে এমন কট্‌মটু করিয়া তাকাইলেন যে আমার গায়ের রক্ত যেন শুকাইয়া , গেল । পণ্ডিত মহাশয় বলিলেন, “তোর পড়াশুনা কিছু হবে না, কাল পাচটা পয়সা আনিস একখান বর্ণপরিচয় দ্বিতীয়ভাগ দিব, তাই তুই প’ড়বি। না মারলে কখনও লেখাপড়া হয় ?” বলিয়া আমার কাণ ধরিয়া নীচু ক্লাশে বলাইয়া দিলেন এবং অধিকতর আগ্রহের সহিত পরে পরে লালমোহন ও প্যারীমোহনকে শিক্ষাদান করিতে লাগিলেন। প্যারীমোহনের সে দিনের কান্নার স্বয় এখনো আমার কাণে যেন লাগিয়া রহিয়াছে ! : লালমোহন ও প্যারীমোহন এত যে মার থাইত তবু কোন দিন স্কুল কামাই করিত না । একদিন তাম্বার স্কুলে আসিল না—পণ্ডিত মহাশয় আস্ফালন , করিতে লাগিলেন যে, ‘र्मांश्क ठांब्र कूरण, शफ ७क #हे मांग