পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• - করিতেন। डिनि ' चऽब्र রাজকুমারবার কাহিনী সকলই শুনিয়াছিলেন এবং বুঝিয়াছিলেন, তেমন সমৃদ্ধি ও আদরে ললিতপালিত বধূকে কখন তাহার আদর্শের ওজনে মুী করিতে পারিবেন না। এইজন্য তিনি লীলাঁর সকল ইচ্ছ। যথাসাধ্য পূর্ণ করিতে । চেষ্টা করিতেন, কখন তাহার প্রতিরোধ করিতেন না । তাহার - পছন্দ , বুঝিয়া গৃহপ্রাচীরের বাহিরে বাগানের জন একখণ্ড জমি বিরিয়া লইয়াছিলেন। বালিকা প্রাতে এবং অপরাঃে সেখানে একটু একটু বেড়াইয়া বাচিত এবং দাইয়ের কন্যাদের সহায়তায় স্বহস্তে তাহাতে শাকশবজি ও মরসুমীফুলের গাছ রোপণ করিত। তা ছাড়া, রোজ দুইবার পথে একদৃষ্টি যাত্রীদের দেখা তাহার একটা কাজ ছিল । . নবীনমাধব দেখিতেন, লীলা সাধারণত বাঙালী ভদ্রলোকের মেয়েদের মত ঘোমটা টানিয়া লজ্জা করিতে পারে না। ট্রেনের गभग्न अना অন্তঃপুরিকুর যেমন গবাক্ষের কপাট অৰ্দ্ধমুক্ত করিয়া কৌতুহলোদ্দীপ্ত কালো কালো চক্ষুগুলি নির্নিমেষে অপরিচিত স্ত্রী পুরুষদের প্রতি স্থাপিত করে, সে তাহ পারে না । অতএব তিনি পর্দার ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছিলেন। লীলা কখন তাহার অন্তরালে থাকিত, কখন বা মুক্তবাতায়নতৃলে দাড়াইয়-দাড়াইয় তাহার নিত্য বাষ্পীয়রথ- , দর্শনের আনন্দটুকু ভোগ করিত। ইহাতে ঐ রেলওয়ে-লাইনের স্বরু হইতে শেষ পৰ্য্যস্ত বাবুমহলে তাহার বড় নিন্দারটন হইল এবং নীলমাধবৰাৰু, দ্বিতীয়পক্ষের পরিবারশাসিত दन्ननुन। [ ৭ম বর্ষ, বৈশাখ, ১৩১৪ হওয়াতে একেবারে মানুষের বাহির হইয়া গিয়াছেন, এই পরম সত্যতত্ত্বটুকুও তাহাদের রসনাগ্রে পরিস্ফুট হইয়া উঠিল। - 姓 বৎসরের শেষভাগে রেলওয়ে-লাইম পরিদর্শন জন্য কর্তৃপক্ষীয়দের স্পেশিয়াল ট্রেন যখন মহতপুরে আসে, তখন সেখানে বড় ধুম । সচরাচর এজেণ্টসাহেব অন্যান্য-বড়-কৰ্ম্মচারিপরিবৃত হইয়া পাশ্ববৰ্ত্তী নিবিড় 'বন ও শৈলউপত্যকায় শিকার খেলিবার জন্য একদিন সেখানে অবস্থিতি করেন। এডগারসাহেব অফিশিএটিং এজেণ্ট হইয়াছেন এবং সম্ভবত সপরিবারে মাসবেন, স্বামীর মুখে শুনিতে পাইয়া লাল৷ ক্ষুদ্র একটি দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিল। কতদিনের কত স্থস্থতি তাহার হৃদয়ে জাগিয়া উঠিল। মাতার নিষেধমতে। সে সাহেবদের সঞ্ছিত ঘনিষ্ঠতার কথা কাহাকেও •বলিত না--স্বামীকেও নছে । তিনি বাহিরে গেলে অস্তরালে সে দুইফোটা চোখের জল ফেলিল । , নিৰ্দ্দষ্টদিনে স্পেশিয়াল ট্রেন যখন আসিল, তথন প্রভাতসূর্য্যের কনকাকরণ অসমতলবনানHশরে এবং দিগন্তবিস্তৃত শৈলমালার শৃঙ্গে শৃঙ্গে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছে। লীলা . • ঔৎসুক্যের সহিত চিত্রবিচিত্র গাড়িগুলির পানে তাকাইয়া ছিল । এজেণ্টসাহেব অবতীর্ণ হইয়। কিশোর কন্যা জুলিয়াকে নামাইয়া লইলেন। তাহার সেই মেহের জুলিয়,লম্বিতবেণী পররাণী ! কেন না , সে অৰ্দ্ধস্কট প্রভাতকমলের মতই সুন্দরী । চারিবৎসরে সে একটু দীর্ঘাঙ্গী হইয়াছে মাত্র, আর কোন ৷ পরিবর্ভল লীলা লক্ষ্য করতে পারিল না। ’