পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা। ] অভাবনীয় । రీసి এজেণ্টসাহেব ཨ་ཇོག་འོ”“ན་ সদলবলে শিকারে চুলিয়া গেলেন । জুলিয়া গেল না— সে তাহার দাসীর সঙ্গে গাড়িতে রহিল— ইহাতে মৃগয়াপ্রিয় সাহেবমহলে, একটু কানাকানি পড়িয়া গেল। বুঝিরা এডগার হাসিয়া উঠিলেন এবং কন্যাকে লক্ষ্য করিয়া স্থিতমুখে বলিলেন—“ও আমার হিন্দুভাবাপন্ন মেয়ে, রক্তপাতু দেখিতে পারে না। উহার হিন্দু সখী লিলি’র প্রভাব এখনও উহার উপর সম্পূর্ণ। আমি ষে রবিবারে শিকারে যাই, ইহাও আমার কুসংস্কারাপর ক্ষুদ্র মাতাটির অসহ!” প্রায় সকল সাহেবই Nonsense বলিয়া হাসিয়া উঠিলেন এবং ' কেহ অশ্বপুষ্ঠে কেহ কেহ বা সাইকেলে ভর কবিয়া মুহুর্তে অদৃষ্ঠ হইলেন। ওদিকে মিস এডগার খানিকক্ষণ কুকুর য়া ছুটাছুটি করিল এবং ভর পর প্রবীণা সঙ্গে করিয়া বেড়াইতে বাহির হইল। • কতক অবস্থাবিপর্যায়ে • কতক বা পূজনোচিত লজ্জায় এ পর্য্যন্ত আত্মসংবরণ বিয়া ছিল, কিন্তু• আর পারিল না। পুষ্পোপ্তানের নিকটবর্তিনী হইবামাত্র রচিতকণ্ঠে “জুলিয়া” ডাক শুনিয় মিস্ ডগার চমকিয়া উঠিল। দেখিল, সেখানে র “লিলি” বাঙালীবধুর বেশে জড়সড় দাড়াইয়া আছে। তখন আর ভ্রম না। জুলিয়া ছুটয় আসিয়া বাল্যখীকে জড়াইয়া ধরিল এবং ছেলেবেলারই মত চুম্বনের উপর চুম্বন করিল। e এই মিলনের আনন্দ অনুভব করা যায়, কিন্তু বর্ণনা করা যায় না। কিন্তু একটুতে জুলিয়া বুঝিল, তাহার সে “লিলি” আর নাই ! তখন লীলার মুখে তাহদের দুরবস্থার কথা একে একে বাহির করিয়া লইয়া য়ে মৰ্ম্মাহত হুইল । -> সন্ধ্যার প্রাক্কালে এডগারসাহেব একটা বাঘ ও গোটাই হরিণ শিকার করিযু স্পেশিয়াল ট্রনে ফিরিলেন। জুলিয় তাহাকে দেখিয়া অন্তদিনের মত ছটিয়া আসিল না, এবং হত ব্যাঘ্ৰাদি দেখিবার জন্য কোন ঔৎসুক্যও প্রকাশ করিল না। কয়ঘণ্টার ভিতর সে বালিকাস্থলভ নিশ্চিন্ত আনন্দভাব ভুলিয়া যুবতীর মত গম্ভীর হইয়াছে ! আহারাদিশেষে পিতার কাছে বাহিরের লোক কেহ রহিল না"। তখন সে পলিলি’র সঙ্গে সাক্ষাতের গল্প করিল . লিলি স্বামীর সঙ্গে ঘোড়ার ঘরের মত কুৎসিত গৃহে বাস করে, ইহা জুলিয়া সহিতে পারিতেছিল না । তীর মন্তব্য প্রকাশ করিতে করিতে বাপকে বলিতেছিল যে, এমন ছোট্ট ছোট্ট কারাগার নিশ্চয়ই তাহাদের মস্তিষ্ক বিকৃতু এবং ইহা বলিতে তাহার একটুও দ্বিধাবোধ হয় জ:", এডগারসাহেক ইহাতে উচ্চহাস্ত করিয়া উঠিলেন। অতঃপর তিনি নবীনমাধবকে ভাল একটু কাজ দিয়া কলিকাতার সন্নিকটে বদ্‌ৰী, করিয়াছিলেন। সেখানে জুলিয়া মাঝে মাঝে তাহার আদরের লিলি”কে দেখিতে আলিত।