মানবিকতা । গ্রীমদ্ভগবদগীতার একাদশ অধ্যায়ে শ্ৰীকৃষ্ণ যেখানে অর্জুনকে আপনার বিশ্বরূপ দেখাইতেছেন,—নানা বিধানি দ্বিব্যানি নানাবর্ণীকৃতীনিচ, –নানাবিধ, দিবা, নানা বর্ণাকৃতিবিশিষ্ট,—পশু মে পার্থ রূপাণি শতশোহথ সহস্রশঃ—হে পার্থ, সেই আমার শতশত সহস্ৰ সহস্র রূপ দেখ, —নতু মাং শক্যসে अहे,बप्नटेनब স্বচক্ষুষা, দিব্যং দদামি তে চক্ষুঃ—স্বচক্ষু দ্বারা তুমি আমাকে দেখিতে শক্য নও, তোমাকে দিলা চক্ষু দিতেছি —সেইখানে একটি শ্লোক অৰ্জুনেব মুখে গীতাকার দিয়াছেন, যাহা বিশেষরূপে প্রণিধানযোগ্য। অর্জন অন্তরক্ষম্পর্শী প্রদীপ্ত সেই ঘোর রূপ দর্শন করিয়া এমনি ভীত হইলেন যে বলিলেন— अन्डेशूली शविरडाश्खि वृहे। उcइन झ ययाबिउ बनाष्ट्रय তৰে মে শৰ দেৰ ! কৃপং প্ৰসীদ ৰেৰেশ জগন্ধিলাস । किओनिः भक्निर ध्ङ्गरुषविव्हॉबि चार जहे बझ्श्डtषय cष्tन्तः ब्रट्शश् छङ्कं(tझन जश्वरींश् छष विषमूर्ड ॥ হে দেব, অদৃষ্টপুৰ্ব্ব মূৰ্ত্তি দেখিয়া হৃষ্ট হইতেছি, সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে আমার মন প্রবাথিত হইতেছে, অতএব আমাকে তোমার সেইরূপইদেখা ও-হে নেবেশ! হে জগন্নিবাস। প্রসন্ন ছও। আমি পূৰ্ব্ববং তোমাকে কিরীট গদাধর ও চক্রপাণি দেখিতে ইচ্ছা করি ; হে সহস্ৰবাহে, হে বিশ্বযুৰ্বে, পূৰ্ব্ব বং চতুভূজ রূপে প্রকাশিত হও । • পরে ভগবান সেইৰূপে ৰখন দর্শন দিলেন, তখন অর্জন বলিলেন,— সৃষ্টি,দং মাম্ববং স্থাপং জুsঙ্গীমাং জনাৰ্বৰ । ইদানীমস্মি সংবৃত্ত: সচেতাঃ প্রকৃতিংগতঃ । হে জনাৰ্দ্দন ! তোমার এই সৌম্য মানুষরূপ দর্শন করিয়া আমি ইদানীং সচেত, সংবৃত্ত ও প্রকৃতিগত তই লাম । গীতায় যেখানে—ত্রিভিগুণময়ৈৰ্ভাবৈঃ– তিন প্রকার গুণময় ভাবদ্বারা—মোহিতং— মোহাচ্ছন্ন –নাভিজানাতি মামেভ্য: পরমব্যয়মআমাকে পরম অব্যয়রূপে কেহ জানিতে পারে না ;–দৈবীহ্যেষা গুণময়ী মম মায়া দুরত্যয়—এই আমার গুণময়ী অলৌকিক মায়া দুরতিক্রমণীয়া —মামেব যে প্ৰপদ্যন্তে মায়ামেতাং তরস্তি তে —আমাকে যিনি আশ্রয় করেন, মায়া তিনি অতিক্রম করেন—এই নিগুণ ব্ৰহ্মবাদ বলা হইতেছে তাহারি এক অধ্যায়ে অর্জুনের এই ষে প্রার্থন, এই যে বাক্য—ইদানীমস্মি সংবৃত্ত: সচেতা: প্রকৃতিংগতঃ,—ইহা আমার কাছে পরম বিস্ময়কর বোধ হয় । কৰ্ম্মকুর, ফলস্পৃহা করিও ন, সৰ্ব্বকৰ্ম্ম ত্রন্ধে সমৰ্পণ করিয়া নিশ্চিন্ত হও, এইরূপে কৰ্ম্মেই কৰ্ম্মের বন্ধন ছেদন করিবে, সমত্ববুদ্ধি চিত্তে প্রকাশিত হইলে তবে ফলপৃহা ত্যাগ করা সম্ভব,—প্রভূতি যে কথা গীতায় উল্লিখিত আছে--তাহা এমনি সমস্ত মানুষের অন্তরতম কথা যে তাহার দ্বিরুক্তি কাহারও কর্তৃক সস্তবে না। কিন্তু সেই কৰ্ম্মবাদের মধ্যে যখন জ্ঞানের কথা আসিয়া পড়িল, তখনই যে তত্ব গীতাকার প্রচার করিতেছেন