পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৪৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b° পরিমাণ ম্যাগনেসিয়ম্ আছে তাহাতে ৭৬•••; ষে পরিমাণ সল্ফর আছে তাহাতে ২,১• • বৎসর এবং যে পরিমাণ পোটাসিয়ম্ আছে তাহাতে ২,৪০০ বৎসর চলিতে পারে। কিন্তু ষে পরিমাণ ফসফোরাস আছে তাহাতে সুধু ১২• বৎসর মাত্র · চলিবে. কৰ্ষিত মাটিতে যে পরিমাণ নাইট্রোজেন আছে, এইভাবে কোনো রূপ সারপ্রয়োগ না করিয়া প্রতিবৎসর বিঘপ্রতি ২৩ মণ করিয়া ভুট্টা উৎপাদন করিয়া গেলে, পঞ্চাশ বৎসরেই তাহার সমস্ত নিঃশেষ झंझेब्र शाहेटन् । – — ইহা হইতে আর কিছু না হৌক, স্পষ্টই দেখা যায়, অন্তান্ত উদ্ভিদখাদ্যের তুলনায়, মাটিতে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পোটাসিয়মের পরিমাণ কতই অল্প !—বস্তুত এই তিনটিকে লইয়াই যত গোলোযোগ। অধিকাংশ “নিস্তেজ”বা অনু বর্বর জমি, এই তিনটির দুটি কি একটির অভাৰেই অনুৰ্ব্বর হইয়া আছে । পরীক্ষায় দেখা গিয়াছে, এই দ্বশটি উদ্ভিদ-খাদ্যের মধ্যে জমিতে যেটির পরিমাণ সৰ্ব্বাপেক্ষা কম, তাহারই প্রভাব উৎপন্ন শস্তের পরিমাণের উপর সর্বাপেক্ষা অধিক। কোন জমিতে দুইলক্ষ মণ গোধুম উৎপাদন করিবার মত নয়টি খাদ্য যথেষ্ট পরিমাণে আছে, কিন্তু বাকী একটি যে পরিমাণ আছে তাহা স্বধু দুই শত মণ গোধূমের পক্ষে প্রচুর। এ ক্ষেত্রে স্বধু দুইশত মণ শস্ত পাওয়া. যাইবে, হইলক্ষ মণ নহে। ' g তাহার পর স্বযু দশ প্রকার খাষ্ঠের সকল গুলিরই প্রচুর পরিমাণে মাটিতে থাকাই कथडे नररु-७खणि ' ययन অবস্থায় থাকা আবগুক, যাহাতে গাছ ইহাদের গ্রহণ করিতে পারে। এঁটেল মাটিতে প্রচুর পরিমাণুে বঙ্গদর্শন। [ ৭ম বর্ষ, মাখ, ১৩১৪ { নাইট্রোজেন আছে এবং গাছের জন্ত যে সকল খাদ্যের প্রয়োজন তাহার সমস্তই পাথরে পাওয়া যায়। তথাপি পাথর ও এটেল মাটি মিশাইলে যে পদার্থের স্বষ্টি হয়, তাহাতে গাছ বঁাচে ন—সে মাটি “উৰ্ব্বর” নহে। কারণ খাদ্য এখানে যে ভাবে আছে তাহ জলে দ্রব হয় না, এবং তরল আকারে শিকড়ের আশে পাশে না থাকিলে গাছ মাটি হইতে কোনও আহাৰ্য্যই গ্রহণ করিতে পারে না। জলের সহিত গাছের জীবনের সম্পর্ক এই জন্যই এত ঘনিষ্ঠ । মাটির যে অংশটুকু জলের সংস্পর্শে আসে, তাহাতে যতটুকু দ্রবণীয় আহাৰ্য্য আছে তাহারই তরল আকার ধারণের সুযোগ ঘটে। সুতরাং জমাট চাপ বাধা জমিকে গুড়া করিয়া যত অসংখ্য কণায় পরিণত করা যায়, জল ততই ঘনিষ্ঠ ভাবে খাদ্যের সহিত যুক্ত হইবার অবকাশ পায় এবং গাছও সেই পরিমাণে অধিক আহাৰ্য্য সংগ্ৰহ করিতে পারে । লাঙ্গল দেওয়া প্রভৃতিতে ইহাই সিদ্ধ হয়। জগতে নানাবিধ পরীক্ষা চুলিতেছে। এইরূপ পরীক্ষা সাধারণত “রাসায়নিক ধিশ্লেষণ” ও **asts of two (culture experiment) এই দুই উপায়ে হইয়া থাকে । প্রথমোক্ত উপায়ে রাসায়নিক প্রক্রিয়া মতে মাটিতে কোন কোন আহাৰ্য্য কি পরিমাণে আছে তাহা স্থির করা হয়। তাহার পর সাধারণত যে সকল মাটি উর্বর বলিয়া বিবেচিত হয় তাহাতে যে পরিমাণ এই সকল পদার্থ আছে, তাহার সহিত তুলনা করিলে কোন বিষয়ের অসম্পূর্ণতার জন্ত মাটি জয়র্কর