দশম সংখ্যা । ] বেদান্ত দর্শন। 8ఫి) ছিলেন। বিবরণ প্রমেয়সংগ্রহে বিবরণ প্রতিপাদিত বিষয়গুলি বর্ণিত হইয়াছে। উহ বিবরণের সংগ্ৰন্থ পুস্তক-সাধারণ টীকা নহে। প্রকাশাত্মবতি কবে বিবরণ লিখিয়াছেন, তাহা জানা যায় না । অখণ্ডানন্দমুনি কৃত ‘ “তৰদীপন” বিতরণের সাধারণ টীকা । নৃসিংহাশ্রম ভাবপ্রকাশিকা’ নামে বিবরণের এক টীকা লিখিয়াছেন । উহাতে তত্ত্বদীপনের মত উদ্ভূত হইয়াছে। এতদ্ভিন্ন শারীরক মীমাংসাভায্যের আরও অনেক টীকা আছে। তন্মধ্যে আনন্দজ্ঞানকৃত স্তায়নির্ণ, গোবিনানন্দকৃত রত্নপ্রভা এবং অদ্বৈতামন্ত্বত ব্রহ্মবিদ্যাভরণ নামে তিনট টাকা ছাপা হইয়াছে। অনেকে শঙ্করের শিষ্য ও জীবনীলেখক অনন্তীনন্দগিরি আর ভাষাটীকাকার আনন্দজ্ঞান উভয়কে অভিন্ন বলিয়। উল্লেখ করেন । ইহা ঠিক নহে ; কেন না, আনন্দজ্ঞান বা আনন্দগিরি স্বপ্রণীত টীকা সমূহে আপনাকে স্পষ্ট ভাষায় শুদ্ধানন্দের শিষ্য বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন । বিশেষত মাও ক্যকারিকার ভায্যের টাকার আনন্দ বলিয়াছেন যে পূৰ্ব্ববর্তী পণ্ডিতেরা ভায্যের অনেক টীকা লিখিয়া গিয়াছেন । আনন্দগিরি বা জানন্দজ্ঞান দশোপনিষদ্ভাস্থ্যের,গীতাভাষ্যের এবং ব্ৰহ্মস্বত্রভায্যের টীকা করিয়াছেন । রত্নপ্রভাব প্রণেতা গোৰিদানন্দ । এক গোবিনানদের শিষ্য নারায়ণ সরস্বতী ১৫৯২ খৃঃ অঃ শারীরক ভাষ্যবাৰ্ত্তিক লিখিয়াছেন। * ইহার পর অসংখ্য প্রকরণ গ্রন্থের উল্লেখ করিতে হয়। অধুনা পঞ্চদশ, বেদাস্তসার, বোস্তপরিভাষা, অবৈতসিদ্ধি, বেদান্তসিদ্ধান্তস্বতশবলী অদ্বৈতৱক্ষসিদ্ধি, বেদাস্তসিদ্ধান্তলেশ সংগ্ৰহ প্রভৃতি গ্রন্থের অধ্যাপনা হইয়া থাকে। ইহাদের পৌর্য্যাপৰ্য্য এবং কালনির্ণয়াদি এ ক্ষুদ্র প্রবন্ধে অসম্ভব । এখানে এই মাত্র বলা উচিত যে পঞ্চদশী গ্ৰন্থখানি দুই হাতের লেখা । ভারতীতীর্থ এবং বিদ্যারণ্য একত্রে গ্রন্থ লিথিয়াছেন । গ্রন্থখানি বেদান্তদর্শনের অতি উপাদেয় পুস্তক। দুঃখের বিষয় এই যে, এই গ্রন্থখানি ছাত্রেরা অতি অল্প বয়সে এবং বেদান্তশাস্ত্রের ভূমিকারূপে সৰ্ব্বপ্রথমেই পড়িয়া থাকেন । কিন্তু এখানিকে বেদান্তের শেষ গ্রন্থ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । ইহার দার্শনিক তত্ত্বগুলি ভালরূপে বুঝিলে, বেদান্তের কোনও তত্ত্বই অজ্ঞাত থাকে মা । পঞ্চদশী মোটামুটি তিনভাগে বিভক্ত। প্রথম পাচ প্রকরণ বিবেক, দ্বিতীয় পাচ প্রকরণ দীপ, এবং তৃতীয় পাচ প্রকরণ আনন্দ নামে পরিচিত। ইহার কোন কোন অধ্যায় বিস্তারণ্য প্রণীত, কোন কোন অধ্যায় ভারতীতীর্থ প্রণীত, আবার কোন কোন অধ্যায় দুইজনে মিলিয়া প্রণয়ন করিয়াছেন । যেমন তত্ত্ববিবেক, অদ্বৈতানন্দ প্রভৃতি বিস্কারণ্যের, তৃপ্তিদীপ ভারতীতীর্থের, এবং দ্বৈত্তৰিবেক, যোগানন্দপ্রকরণ প্রভৃতি উভয়ের । এই পঞ্চদশী সৰ্ব্ববাদিসম্মতে ,মাধবাচার্য্যের সমসাময়িক । বেদান্তসারে পঞ্চদশী প্রমাণরূপে গৃহীত হইয়াছে। বেদান্তসারের স্ববোধিনী টকা খৃষ্টীয় ১৫৮৮ অন্ধে লিখিত হইয়াছিল। বোস্তসিদ্ধান্ত মুক্তবীপ্রণেতা ঐচৈতন্যদেবের সমসাময়িক । so प्वास्त्रअप्इब्र खेल्न५ कब्रिन्ड ब्रि খওনথওখাগু, স্বারাজ্যসিদ্ধি, শঙ্কর দিগ্বিজয়, দীবন্মুক্তি বিবেক প্রভৃতির উল্লেখ মা করিলে