পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । ] না থাকলে জীবন দুৰ্ব্বহ হয়ে উঠতো। এত সুখ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে, যে তার ইত্ব করা যায় না । প্রতি tragedyর মধ্যেই একটা অসহ মুখ আছে । বাপ মা ছেলের প্রতি কাব্যের উপভোগ । 8 సిఫి. সাস্তুন দিয়েই ক্ষান্ত নন, তিনি নিৰ্য্যাতিতকে ছেড়ে নিৰ্য্যাতনকারীর সঙ্গে দ্বন্দ্বযুদ্ধে প্রবৃত্ত্ব হন। যেমন একজনকে কৰি ভালোবার্লন তিনি কিন্তু ভালোবাসা পান নাই, /এ সময়ে স্নেহের প্রতিদান পায় না বটে। কিন্তু তথাপি * অন্ত কবি হয় ত আপনাকে সাস্বনা দিবেন ষে বাপ মায়ের সেই অকুষ্ঠিত ভালোবাসা কি পবিত্র কি আশাপ্রদ! উপকারীর কৃতোপকারের নিৰ্য্যাতন ঘাড় পেতে নেওয়া কি মহিমান্বিত, বালিকার স্নেহ কোমলতা, কৃতজ্ঞের কৃতজ্ঞতা, fação was martyros martyrdom এও তসব এ পৃথিবীতে আছে। ররীন্দ্রবাবু স্বয়ং এইরূপ একটা সৌন্দৰ্য্য “পুরাতন ভূত্য” নামক কবিতায় দেখিয়েছেন। Woodcutter নামক কবিতাটিও এই ধরণের। বিশ্বসৌন্দৰ্য্য কেবল গোলাপ ফুলে, সন্ধ্যার মেঘে, নারীর বিম্বাধরে নুই। মানুষের হৃদয়ে যে সৌন্দৰ্য্য আছে, বাহিরে তার সিকির সিকিও নাই। এই সব সৌন্দর্য্যের দ্বার উদঘাটন করে দেখানোই কবির মহত্তর কাজ। এমন কি আমার সময়ে সময়ে মনে হয় যে যিনি tragedyই দেখান, তার চেয়ে যিনি মানুষকে আনন্দ, সাৰ্বন, আশা দেন, তিনি মহত্তর কবি । Tragedian destructive of fro gots of constructive of . প্রথমোক্ত কবি সেই ক্ষতগুলো খুঁচিয়ে দেখান। শেষোক্ত কবি সে ক্ষতগুলো আরাম করেন। “Rosa pessimist with goa optimist. সেই জন্ত বোধ হয় সমালোচকের বাইরণের CECH Shelleytę gqe ShelleyH CEIgs Wordsworthকে উচ্চতর আসন দেন। আর Browning® spirit of sist ਕਿੰਤੂ বুঝে থাকি, ত সে এই, ৰে তিনি কেবল আতুরকে Wordsworth of আমীয় ভালোবাসে না, না বামুক, আমি তাকে ভালেবেসেই মুখী। কিন্তু Browning বলে’ I have founằ thee, you have lost i.e. নৃত্যুর সঙ্গে তিনি দ্বন্দ্বযুদ্ধে নামেন ; বলেন—“আয় না তোকে একবার মুখোমুখী দেখি ।” Browningeg: otrs মাত্রই জানেন যে Browning দুৰ্ব্বোধ্য। তার রসাস্বাদন কবীর আগে প্রথমত তাতে দীত বসানোই শক্ত। এর জন্ত তাকে ব্যাখ্যা কৰ্কার জন্ত বিলতে এক সমিতি স্থাপিত হয়েছে ; তার নাম Wößl Browni :ক সিদ্ধ করে একটু নরম করে? দিচ্ছেন। কিন্তু এই আগ্রহেই প্রমাণ হয় ৰে তার মধ্যে রস আছে। একবার দীত বসাতে পালে হয় ! আমি স্বয়ং ব্রাউনিংবিৎ একটি বন্ধুর কাছে তার কবিতা পড়ে নিয়ে তাতে যথেষ্ট রস পেয়েছি। কিন্তু Browningএর ভাষা এত কর্কশ, এত বন্ধুর, এত শুষ্ক,—ৰে লিত বসাতেই ইচ্ছা হয় না। তিনি ভাষা- , সম্বন্ধে প্রায় উদাসীন। (আজকালকার পাঠu"rরা যেন স্মরণ রাখেন, ষে দাত বসাতে পালে,”বৃহৎ ভাবের”জন্য কোন কবির কোন কবিতার অর্থ গ্রহণ কৰ্ত্তে অণুমাত্র কষ্ট হয় না!) এইটে বলাই আম্পদ্ধ, ধে পৃথিবীতে কোন কবির কোন কবিতার ভাব এত বৃহৎ ৰে মানুষের ভাষায় তা প্রকাশ করা যায় না, বা Browning Society.