পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

at eచి বঙ্গদর্শন। , [ ৭ম বর্ষ, মাঘ, ১৩১৪ हेशज डेडग्न ७१ cए, अङाड नावांबर्ग কংরেও যখন জীবনের বিশেষ অবস্থার বিশেষ উপলব্ধি হয় তখন তাহ আমাদিগকে হঠাৎ একটা আলোকের মত চমৎকৃত করিয়া দেয়। বাহ সাধারণ তাহাকেই বিশেষ করিয়া ৰখন জানিতে পাই তখন তাহার বিস্ময় বড় বেশি করিয়া আঘাত, করে। মৃত্যুর মত অত্যন্ত বিশ্বব্যাপী, নিশ্চিত ও পুরাতন পদার্থেরও বিশেষ পরিচয় আমাদিগকে একটা সদ্যো নূতন আবির্ভাবের মত চমক লাগাইয়া দেয়। এইজন্য বিশেয অবস্থার সাধারণ কথাকেও বিশেষ করিয়া বলিবার আকাঙ্ক্ষা মনে উদয় হইয়া থাকে । বস্তুত সাহিত্যের বা*ে আন কথাই নিতান্ত জানা কথাকেই নিজের মধ্যে নূতন করিয়া জানিয়া নিজের মত নূতন করিয়া বলা । সম্প্রতি অধ্যাপক কেয়ার্ডের একটি গ্রন্থে পড়িতেছিলাম — “Though man is cssentially self-conscious, he always is 1:...ore than he thinks or knows ; and his thinking and knowing are ruled by unaware, but which, revcrtheless, ideas of which he is at first affect everything he says or does. Of these ideas we may, therefore, expect to find some indication ಟ್ವೇn in the earliest stage of his develop. ment ; but we cannot expect that in that stage they will appear in their proper form or be known for what they'really are.” @ যে আইডিয়া সম্বন্ধে আমরা প্রথমে মচেতন ছিলাম তাঁহাই যে আমাদিগকে বলাইয়াছে ও করাইয়াছে এবং আমাদের অপরিণত অব. স্থারও কথা ও কাজকে আমাদের অজ্ঞাতসারে সেই আইডিয়ারই শক্তি প্ৰবৰ্ত্তিত করিয়াছে— আমার ক্ষুদ্র আত্মজীবনীতে এই কথাটার উপলব্ধিকে আমি কোনো একরকম করিয়া বলিবার চেষ্টা করিয়াছি। কথাটা সত্য কি মিথ্যা সে কথা স্বতন্ত্র কিন্তু ইহা অহঙ্কার নহে, কারণ, ইহা কাহারো একলার সামগ্ৰী নহে । তবে কিনা যখন নানা কারণে নিজের জীবন বিকাশের মধ্যে এই আইডিয়াকে স্পষ্ট করিয়! প্রত্যক্ষ করা যায় তখন তাহাকে নিতান্থ সাধারণ কথা ও জানা কথা বলিয়া আর উপেক্ষ করিতে পারি না । কিন্তু অহঙ্কার করিব বলিয়া কোমর বাধিয়া বসি নাই তবু অহঙ্কার আপনি প্রকাশ হইয় পড়িয়াছে ইহা কিছুই অসম্ভব নহে। মাতাল নিজেকে অপ্ৰমত্ত মনে করিলেও তাহার মাংলামি ধরা পড়িয়া যায় । অংস্কার আমার মনেও নাই এত বড় অহঙ্কার ত স্বীকার করিতে পারি না। সেই সকল অহঙ্কার সমূলে উচ্ছিন্ন হইয়া গেলেই আমার মঙ্গল ইহা নিশ্চয় । সেই হুৰ্বল প্রকৃতির অন্তর্নিহিত অহঙ্কার যদি অসঙ্গত ও অন্যায় আকারে অজ্ঞাতসারেও প্রকাশ হইয়া পড়ে তবে দর্পহারীর কাছে মার্জনা দাবী করা যায় না। বিশেষত অজ্ঞানকৃত অহঙ্কারেই এমন স্বেচ্ছাকৃত স্পৰ্দ্ধাতে নহে। আমার সেই রূপ বিকৃতি যদি লক্ষিত হইয়া থাকে তবে দ্বিজেন্দ্রবাবু তাহার শাস্তি দিতে কিছুমাত্র অলিত করেন নাই ইহা নিশ্চিত । তিনি প্রবন্ধে ও