পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 e 8 কিন্তু স্তাবকত কাহাকে বলে ? যেখানে কটা দোকানদারি। যেখানে স্তবের বিনিময়ে হয় স্তৎ নয় অন্ত কোনো উপকার কেহ প্রত্যাশ করে সেইখানেই সেটা স্তাবকতা— কিন্তু ভাললাগার আনন্দের স্বাভাবিক প্রকাশকে স্তাবকতা বলেন—এমন কি, আনন্দের আবেগে অত্যুক্তি ঘটিলেও তাহ স্তাবকত হয় না । এই আনন্দের অত্যুক্তি ত কোনো চারিত্রনৈতিক অপরাধ নহে । অপর পক্ষে কোনো কবির গদ্যে বা পদ্যে পীড়াজনক ও অনিষ্টজনক কোনো বিকার যখন আমাদিগকে অতিমাত্র আঘাত করে তখন যতই তীবতাব সহিত তাহার প্রতিঘাত করি না কেন তাহাতে ত কেহ দোষ দিতে পারে না । প্রকৃতির চাঞ্চল্যবশত এই নিন্দ প্রকাশে ও সকল সময় পরিমাণ রক্ষা হয় না-বিশেষত অন্তমতাবলম্বীর বিরুদ্ধে বলিতে গেলে কথার মধ্যে অনাবশুক উত্তেজনাও আসিয়া পড়ে—এমন হষ্টয়াই থাকে । ভাল না লাগিলে ভাল লাগিল না অথবা না বুঝিলে বুঝিলাম না এ কথাটুকু বলিবার জন্য র্তাহাকে যদি কেত দোষী করে তবে ভাললাগার যোগ্য একটা কোনো কবিতা বাছিয়া লইয়া তাঙ্গর প্রশংসার পশ্চাতে কৈফিয়ৎ জুড়িয়া দেওয়া কি দ্বিজেন্দ্রবাবুর মত লোকের পক্ষে “শোভন হইয়াছে ? - এরূপ সাফাই চেষ্টার কি প্রয়োজনু ছিল ? : , বিশেষত এই অংশে তিনি বিচলিত চিত্তের পরিচয় দিয়াছেন। তাঙ্গর প্রমাণ, আমার তুহার মতের অনৈক্য ইয়াছে তাহাদিগকে তিনি আমার “চেলা” বলিয়াছেন। তিনি বঙ্গদর্শন। [ ৭ম বর্ষ, মাঘ ১৩১৪ যে কাব্যকে ভালবাসেন না অন্তে যদি সেই কাব্য হইতে রস পাইয়া থাকেন তবে দ্বিজেন্দ্রবাবু তাহাকে অপ্রবুদ্ধ উপভোগ বলিয়া তৃপ্তিলাভ করিতে পারেন কিন্তু অন্ত পক্ষকে * যদি স্তাবক বা চেলা, বলিতে তিনি কোনো সঙ্কোচ বোধ না করেন তবে তাহাকে বিদ্বেষক বলিলে তিনি বিরক্ত হন কেন ? 蠍 • র্যাহাদিগকে তিনি আমার চেলা বলিয়া অবজ্ঞা প্রকাশ করিতেছেন তাঙ্গরা হয়ত দ্বিজেন্দ্রবাবব মনের চাঞ্চল্য লক্ষ্য করিয়া এই সকল উত্তেজনা বাক্যে কান না দিতেও পূরেন কিন্তু আমার পক্ষে ইহা সহ কব কঠিন কণবণ দ্বিজেন্দ্র বাবকে আমি উপেক্ষা কবিতে পারিন । একতাতে তালি বাজে-নী তেমনি চেল; একপক্ষ হইতেও হয় না । চেলার সঙ্গে গুরুর যোগ আছে & যাহার গুরুর অন্নগত কইয়া পশ্চাতে পশ্চাতে তাহার তল্লি লষ্টয়া ফেরে তাহারাষ্টত চেলা-দূর হইতে যাহারা গুরুকে অল্প বা অত্যন্ত ভক্তি ও করে তাঙ্গাদিগকে তে চেলা বলা যায় না । দ্বিজেন্দ্রবাবু কেন অকারণে কল্পনা করিতেছেন যে আমি একদল চেলা আমার চারিপাশে তৈরি করিয়া তুলিয়াছি।’ যদিচ তাহারও অনুরক্ত বন্ধুবর্গের অভাব নাই তথাপি আমি রাগ করিয়া ও এরূপ অপবাদ তাহাকে পালট ফিরাইয়া দিতে পারি না। আমাৰ যে কবিতা দ্বিজেন্দ্রবাবুর কোনোমতেই ভাল লাগে নাই তাহা যে আর কাহারো ভাল লাগিতে পারে আমার এই অপরাধ তিনি কিছুতেই ক্ষমা করিতে পারিতেছেন না। রসএাহিতায় সকলে দ্বিজেন্দ্রবাবুর সমকক্ষ নহেন । আনন্দরসভোগের স্বাভাবিক কতজ