দশম সংখ্যা । ] , দেবোপহারের ক্রমোৎকর্ষ। & eసి করিতে করিতে তাহার নিকট উপস্থিত ” “হে স্বতিকারিন, বিশ্বনায়ক ইন্দ্র তোমার হইতেছে।” ১০-৪৭-৭ । প্রভূত অল্প (সোম ) দেখিয়া আনন্দিত হুইতে ইন্দ্র স্বয়ং বলিতেছেন— “আমি ধনের অসাধারণ স্বামী, আমি চির- b কাল ( শত্রুর ) ধন জয় কুরিয়া লই। প্রাণিগ: পিতার হার আমাকে আহ্বান করে। আমি দাতাকে (অর্থাৎ সোমদাতা যজমানকে ) ভোগ প্রদান করি।” ১০-৪৮-১ । * “যখন যজমানেরা সোম ও স্তোত্র দ্বারা আমাকে তৃপ্ত করে, তখন আমি যজমানের জন্য ( শক্রগণের ) প্রচুর গো-অশ্ব-যুক্ত, সুবর্ণালঙ্কত ক্ষীরশালী পশুসংঘকে জয় করি, ও সহস্ৰ সহক্স শল্পকে সংস্কৃত করি।” ঐ ৪ । “আমি ইন্দ্র, আমার ধন কখন পরাভূত হয় না, মৃত্যুর নিকটে আমি অবনত হই না। হে পুরুগণ, তোমরা সোমাভিষন করিয়া আমার নিকট ধন প্রার্থনা কর । আমার সহিত যে সখ্য আছে, তাহা বিনাশ করি ৪ नां !” ? ७ ।। “দুইজনের মধ্যে একজনের নিকট সোম দেখা গেল- রক্ষক ইন্দ্র বজ্ৰধারণ করিয়া তাহাকে প্রকাশিত (অর্থাৎ প্রসিদ্ধ ) করিলেন। আর তাহার সেই দ্রোহকারী তীক্ষাযুদ্ধ বাণবৰ্ষণকারী তাহার সহিত যুদ্ধেস্থ হইয়া অন্ধকার মধ্যে বদ্ধ হইয়া থাকিল!” ঐ ১• । “যে আমার স্তুতি করে, আমি তাহাকে মুখ্য ধন প্রদান করি। স্তুতির নিমিত্ত ধনু প্রদান করিয়া আমি নিজেকেই বন্ধিত করি । যে আমার উদ্দেশে যাগ করে, আমি তাহার প্রতি ধন প্রেরণ করি ; আর যে যাগ করে না, তাহাকে সমস্ত সংগ্রামে অভিভৰ করি।” لامه 8 - ه لا ছেন । লী কাল নেতৃর্ণ !" | لا – ه 6 - ه لا “হে মেধাবিন্ ইন্দ্র, প্রভূত ধন ও নিবাসস্থানরূপ ধন-প্রদানের জন্ত যে স্তোতৃগণ সমবেত • হইয়া ও • সোমাভিযব করিয়া তোমার পরিচর্য্যা করে, এবং যখন অভিযুত সোমরূপ অন্নজনিত কোলাহল উপস্থিত হয়, তখন যেন তাহারা তোমার স্তোত্ররূপ পথের দ্বারা সুখ লাভে সমর্থ হয় ।” ১০-৫০-৭ । এই উদাহৃত মন্ত্রগুলি আলোচনা করিলে স্পষ্টরূপে বুঝা যাইবে যে, বৈদিককালে দেবতার অনুগ্রহলাভের জন্ত স্তুতি, ও সোমাদি উপহার দান—এই উভয়ই প্রচলিত ছিল। দেবতাকে স্তুতি না করিলে, বা উপহার প্রদান না করিলে কেবল যে তাহার অনুগ্রহলাভে বঞ্চিত হওয়া যায়, তাহা নহে, তজ্জন্ত কষ্টও পাইতে হইত।—এ ধারণাও বৈদিক সময়ে ছিল, এবং ঐ মন্ত্র সমুহের মধ্যেই ইহার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে দেবতাকে উপহার প্রদান করিবার রীতুি প্রচলিত ছিল ;"উপহার প্রদান না করিলে কেবল স্তুতি দ্বারা দেবারাধনা সম্পূর্ণ বলিয়া বিবেচিত হইত না । গ্রীসীয়, রোমীয়, মিশরীয় ও আরবীয় প্রভৃতি সমস্ত প্রাচীন জাতিরাই কোন না কোন প্রকারে উপহার প্রদান করিতেন। লাটিন ভাষায় Sacrificium ets ( tel &rs:tät Sacrifice হইয়াছে )। রোমীণের দেবোপহার-দান, ৰখার স্বচনা করিয়া দিতেছে। Sacrificium