পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৩8 বঙ্গদর্শন। [ ৭ম-বর্ষ, ফাঙ্কন, ১৩১৪ আসিয়াছে—আরামকে নহে। জগতের ইতি

  • হাসে মানুষের গরমপূজ্যগণ দুঃখেরই অবতার,

আরামে লালিত লক্ষ্মীর ক্রীতদাস নহে। অতএব ং দুঃখকে আমরা দুৰ্ব্বলতাবশত আপনাকে দিয়া পূর্ণ করিয়া দেন-নহিলে তিনি আনন্দ ঢালিবেন কোনখানে ? আমাদের এই আপন ঘরের পাত্ৰট'ন থাকিলে তাহার স্বধা তিনি দান করিতেন কি করিয়া ? এই খৰ্ব্ব করিব না, অস্বীকার করিব না, দুঃখের কথাই আমরা গৌরব করিয়া বলিতে পারি। দ্বারাই আনন্দকে আমর, বড় করিয়া এবং মঙ্গলকে আমরা সত্য করিয়া জানিব । এ কথা আমাদিগকে মনে রাখিতে হইবে অপূর্ণতার গৌরবই দুঃখ ; দুঃখই এই অপূর্ণতার সম্পৎ, দুঃখই তাহার একমাত্র মূলধন। মানুষ সত্যপদার্থ যাহা কিছু পায় তাহা দুঃখের দ্বারাই পায় বলিয়াই তাহার মনুষ্যত্ব। তাহার ক্ষমতা অল্প বটে কিন্তু ঈশ্বর তাহাকে ভিক্ষুক করেন নাই। সে শুধু চাহিয়াই কিছু পায় না, দুঃখ করিয়া পায়। আর যত কিছু ধন সে ত তাহার নছে—সে সমস্তই বিশ্বেশ্বরের—কিন্তু দুঃখ যে তাহার নিতান্তই আপনার । সেই দুঃখের ঐশ্বৰ্য্যেই অপূর্ণজীব পূর্ণস্বরূপের সহিত আপনার গর্কের সম্বন্ধ রক্ষা করিয়াছে, তাহাকে লজ্জা পাইতে হয় নাই। সাধনার দ্বারা আমরা ঈশ্বরকে পাই, তপস্তার দ্বারা আমরা ব্ৰহ্মকে লাভ করি—তাহার অর্থই এই, ঈশ্বরের মধ্যে যেমন পূর্ণতা আছে আমাদের মধ্যে তেমনি পূর্ণতার মূল্য আছে—তাহাই দুঃখ। সেই দুঃখই সাধন, সেই দুঃখই তপস্ত,সেই দুঃখেরই পরিণাম আনন্দ, মুক্তি, ঈশ্বর r আমাদের পক্ষ হইতে, ঈশ্বরকে যদি কিছু দিতে হয় তবে কি দিব, কি দিতে পারি ? তাহারই ধন তাহাকে দিয়া ত তৃপ্তি নাই— আমাদের একটিমাত্র যে আপনার ধন দুঃখধন -আছে তাঁহাই তাহাকে,সমর্পণ করিতে হয়। ‘यरे झःथएकहे उिनि श्रांनक क्ब्रि, डिनेि দানেই ঐশ্বৰ্য্যের পূর্ণতা । হে ভগবানু, আনন্দকে দান করিবার, বর্ষণ করিবার, প্রবাহিত করিবার এই যে তোমার শক্তি ইহা তোমার পূর্ণতারই অঙ্গ। আনন্দ আপনাতে বদ্ধ হইয়া সম্পূর্ণ হয় না, আনন্দ আপনাকে ত্যাগ করিয়াই” সার্থক —তোমার সেই আপনাকে দান" করিবার পরিপূর্ণতৃ আমরাই বহন করিতেছি, আমাদের দুঃখের দ্বারা বহন করিতেছি, এই আমাদের বড় অভিমান ; এইপানেই তোমাতে আমাতে মিলিয়াছি, এইখানেই তোমার ঐশ্বৰ্য্যে , আমার ঐশ্বৰ্য্যে যোগ—এইখানে তুমি আমাদের অতীত নহ, এইখানেই তুমি আমাদের মধ্যে নামিয়া আসিয়াছ ; তুমি তোমার অগণ্য গ্রন্থস্বৰ্য্যনক্ষত্রখচিত মহা সিংহাসন হইতে আমাদের এই দুঃখের জীবনে তোমার লীলা সম্পূর্ণ করিতে আসিয়াছ। হে প্লাজ, তুমি, আমাদের দুঃখের রাজা ; হঠাৎ যখন অৰ্দ্ধরাত্রে তোমার রথচক্রের বজ্রগর্জনে মেদিনী বলির পশুর হৃৎপিণ্ডের মত কঁাপিয় উঠে—তখন জীবনে তোমার সেই প্রচণ্ড আবির্ভাবের মহাক্ষণে যেন তোমার জয়ধ্বনি করিতে পারি,—হে দুঃখের ধন, তোমাকে চাহি না এমন কথা সেদিন যেন ভয়ে না বলি –সেদিন যেন দ্বার ভাঙির ফেলিয়া তোমাকে ঘরে প্রবেশ করিতে না হয়যেন সম্পূর্ণ জাগ্রত হইয়া সিংহদ্বার খুলির দিয়া তোমার উদ্দীপ্ত ললাটের দিকে দুই চকু