পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সখা পানা প্রদেশ সন্মিলনীর বক্তৃত। কোনে তিন ব্যবস্থাও গড়িয় উঠে না তখন সেইরূপ যুগান্তকালে, বহক্টর পুরাতন জাতি পৃথিবী হইত্ত্বে লুপ্ত হইয়া গিয়াছে। আমরাও . কি দিনে দিনে উয়াস বৃষ্টির সম্মুখে স্বজাতিকে লুপ্ত হইতে দেখিবু ? ম্যালেরিয়া, মারী, দুর্ভিক্ষ এগুলি কি আকস্মিক ? এগুলি কি আমাদের সারিপাতিকের মজ্জাগত ভুলক্ষণ নছে ? সকলের চেয়ে ভয়ঙ্কর দুলক্ষণ সমগ্র দেশের হৃদয়নিহিত হতাশ নিশ্চেষ্টত । কিছুরই যে প্রতিকার মামাদের নিজের হাতে আছে, কোন ব্যবস্থাই কোমরা নিজে, করিতে পারি সেই বিশ্বাস যখন চলিয়া ধায়, যখন কোনো জাতি কেবল করুণ ভাবে ললাটে করম্পর্শ করে ও দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া আকাশের দিকে তাকায় তখন কোনো সাম্বাদ্য আক্রমণ ও সে আর সহিতে পারে না, প্রত্যেক ক্ষুদ্র ক্ষত দেখিতে দেখিতে জাহার পক্ষে বিষক্ষত হুইয়া উঠে। তখন সে মরিলাম মনে করিয়াই মরিতে থাকে । কিন্তু কালরাত্রি বুঝি পোছাইল,—রোগর বাস্তান পথে প্রভাতের আলোক আশ বহন করিয়া আসিন্ধাছে ; আজ আমরা দেশের পিক্ষিক অত্রমণ্ডলী-বাহার একদিন মুখে ইখে সমস্ত জনসাধারণের সঙ্গী ও সহায় ছিলাম এবং আজ যাহারা ভদ্রতা ও শিক্ষার বিলাস বশতই চিন্তায় ভাষায় ভাবে আচারে কৰ্ম্মে সৰ্ব্বৰিয়েই সাধারণ হইতে কেবলি দূৰৈ চলিৱা ৰাইজেছি আমাদিগকে আর একবার উচ্চনীচ লঙ্কলের লঙ্গে মঙ্গল সম্বন্ধে একত্র निगिड ररेश नाबाबिक जनमबtअब उद्भक्त्र বিপদ হইতে দেশের ভবিষ্ককে রক্ষা করিতে ইন। আমামের শক্তিকে দেশের কল্যাণ (*పీ কর ও দেশের শক্তিকে আমাদের কর্ণের সহযোগী করিয়া তুলিবার সময় প্রত্যহ বহির যাইতেছে। যাহারা স্বভাবতই একু জল তাহাম্বের মাঝখানে বাধা পড়িয়া'যদি এক রক্ত একপ্রাণ অবাধে সঞ্চারিত হইতে না পারে তবে যে একটা সাংঘাতিক ব্যাধি জন্মে সেই ব্যাধিতেই আজ আমরা মরিতে বসিয়াছি। পৃথিবীতে সকলেই আজ ঐকরদ্ধ হইতেছে, আমরাই কেবল সকলদিকে বিশ্লিষ্ট হইয়া পড়িতেছি আমরা টিকিতে পারিব কেমন করিয়া ? আমাদের চেতনা জাতীয় অঙ্গের সর্বত্রই ঘে প্রসারিত হইতেছে না—আমাদের বেদনাবোধ যে অতিশয় পরিমাণে কেবল সহরে, কেবল বিশিষ্ট সমাজেই বদ্ধ তাহার একটা প্রমাণ দেখুন। স্বদেশি-উদ্যোগটা ত সহরের শিক্ষিতম গুলাই প্রবর্তন করিয়াছেন কিন্তু মোটের উপরে তাহার বেশ নিরাপদেই আছেন । যাহার বিপদে পড়িয়াছে তাহার कांझांब ? 劍 জগদল পাথর বুকের উপর চাপাইয়া দেওয়া যে একটা দণ্ডবিধি তাহ রূপকথায় শুনিয়াছিলাম। বৰ্ত্তমান রাজশাসনে রূপকথার সেই জগদ্দল পাথরটা, পুনিটিভ পুলিসের বাস্তব-মূৰ্ত্তি ধরিয়া আসিয়াছে। துை কিন্তু এই পাথরটা অসহায় গ্রামের উপরে চাপিয়াছে বলিয়াই ইহার চাপ আমাদের সকর বুকে পড়িতেছে না-কেন ? বাংলাদেশের o বক্ষের ভারকে আমরা সকলে মিলিয়া ভাগু করিয়া লইয়া বেদনাকে সমান করিয়া তুলিব না কেন ? স্বদেশীপ্রচার ধৰি অপরাধ · হয় তবে পুনিটিভ পুলিসের ব্যয়ভার আমরা সকল অপরাধীই বাটিয়া লইব । এই বেদন