পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদর্শন। ঐক্য বাক্য অনৈক্য। পূজ্যপাদ বিদ্যাসাগর মহাশয় সংযুক্তবর্ণের উদাহরুণের উল্লেখ করিয়ার সময়ে প্রথমেই লিখিয়াছিলেন—ঐক্য বাক্য অনৈক্য। এরূপ পৰ্যায়ক্রমে—প্রথমে ঐকৃ্য, তাহার পর বাক্য এবং তাহার পর অনৈক্য—লিখিবার কারণ কি, তাহ “মুকুমারমতি বালকবৃন্দের হৃদয়ঙ্গম” হইবার সম্ভাবনা না থাকায়, প্রাচীন টীকাকারগণ তাঙ্গার ব্যাখ্যা করিবার চেষ্টা করেন নাই । চেষ্টা করিলে, বলিতে হইত—গ্রন্থাবস্তের সনাতন রচনা-পদ্ধতির মর্য্যাদীরক্ষার্থ গ্রন্থকার উল্লিখিত শব্দবিন্যাসকৌশলে “বস্তুনিৰ্দেশ" করিয়া থাকিবেন। এরূপ অনুমানের প্রধান কারণ এই যে, সংযুক্তবর্ণ বিষয়ক গ্রন্থের • প্রধান কথা সংযোগ অর্থাৎ ঐক্য, তাহার প্রবল অন্তরায় বাক্য, এবং তাহার অবশুস্তাবী পরিণাম অনৈক্য। আরও একটি কারণ আছে । গ্রন্থখানি বাঙ্গালীর বর্ণপরিচয় শিক্ষার জন্ত রচিত হইতেছে বলিয়া, গ্রন্থকারকে গুথ মেই প্রধান কথার উল্লেখ করিতে হইয়াছে। . কোন কোন টীকাকার অতিরিক্ত প্রতিভা दिनानां★ब्र मझां-ब्र lo कनिष्ण७ वशं★ांउक शहेtरु ॥ প্রকাশের জন্য একটি “যদ্বা”র অবতারণা করিয়া লিখিতে পারিতেন,—অনৈক্যের পর ঐক্য সংস্থাপিত করিতে হইলেও, মধ্যস্থলে মধ্যস্থরূপে বাক্যকেই আসন দান করিতে হয়,—সেই কথা ইঙ্গিতে স্থচিত করিবার জন্তও এরূপ শব্দবিদ্যাসকৌশল অবলম্বিত হইয়া থাকিতে পারে। অধ্যাপনার সময়ে ইহার ভাবার্থ বিশদভাবে ব্যক্ত করিবার জন্ত শিক্ষক মহাশয়কে অবশুই বলিতে হইত—অসংযত বাক্যে ঐক্যের মধ্যে অনৈক্য উপস্থিত হয়, সুসংযত বাক্যে অনৈক্যের মধ্যেও ঐক্য সংস্থাপিত হইতে পারে. গ্রন্থারস্তে এই সংসারতত্ত্ব শিক্ষা দিবার জন্তই গ্রন্থকার এরূপ শান্তিাসকৌশলের আশ্ৰয়, গ্রহণ করিতে বাধ্য হইছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বর্গারোহণ করিয়াছেন,—তাহার মুদ্ধি তীয় গ্রন্থ “বর্ণপরিচুত্বের” পুরাতন সংস্করণ নিঃশেষ হইয়া গিয়াছে, এখুন এক “সংশোধিত সংস্করণ” প্রচলিত আছে। তাঁহাতে আর “ঐক্য বাক্য অনৈক্য” নাই ; তাহাতে আছে —“ঐক্য বাক্য মাণিক্য।” এই গ্রন্থ পাঠ

  • “প্রয়োজনসমুক্ষিপ্ত ন মঙ্গোহপি প্রবর্ততে " भश्च fश्ां जन न!।, प्रङबा; তিনি যে বিনা প্রয়োজনে এৰূপ করিয়া গিয়াছেন, তাহা মনে