পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'দ্বাদশ সংখ্যা । ] ঐক্য বা{ अटैनफj । । tపా: হয়নাই এখন তাহার অধিকাসিবর্গ ধাইতে ন পাইয়া মরিতে আরম্ভ করিয়াছে। কেহ বর্লিজেছ-রাঞ্জাকে ধরিয়া ইহার একটা প্রতিকার করিতে হইতেছে। কেহ বলিতেছে । —প্রজাশক্তিকে ধরিয়াই ইহার প্রতিকার করিবার সম্ভাবনা—“নান্তঃপস্থা বিদ্যতেহয়নায়।” কাহার কথা মানিয়া চলিব ? সেই তর্কই প্রকৃত তর্ক। তুাহাকে বাক্যের আড়াল দিয়া ঢাকিয়া রাখিয়া; সত্য নির্ণয় করিবার সম্ভাবনা কোথায় ? বন্ধু তাহাতে অসম্মত বলিয়াই বন্ধু বিচ্ছেদ ঘটিয়া গিয়াছে ! বিচ্ছেদ ঘটিলে, মিলন ন হইতে পারে, এমন নয়। বিয়োগান্ত কাব্য ভারতবর্ষের প্রকৃতি বিরুদ্ধ। সেই আশায় কথাটা ভাল করিয়া আলোচনা করিতে বসিয়াছি । আমরা কি চাই ? আকাশের চাঁদ –ধরণীর ধুল— আমাদের পক্ষে তুলাভাবে অকিঞ্চিৎকর । আমরা প্রতিকার চাই—ইহাতে মতের অনৈক্য নাই। কিন্তু কাহাকে প্রতিকার বলিব এবং কোন পথে তাহ লাভ করিতে পরিব, তাহতে প্রবল অনৈক্য উপস্থিত হইয়াছে। “মতের অনৈক্য থাকে খুকুক, আইস আমরা কার্যের ঐক্য সংস্থাপিত করি”—এরূপ দুৰ্ল্লভ বাক্যের বক্তা শ্রোতা সুলভ হইয়াছে বলিয়াই, দ্বুিদ্ধান্ত মুদুরে প্রস্থান করিতে বাধ্য হইতেছে! বালক যদি গ্রহণ রহস্ত বুঝিতে চায়, তাহার পক্ষে সে কথা অত্যন্ত প্রশংসার কথা হইতে পারে। - তথাপি তাহাকে বুঝিবার জন্ত সমুচিত জাদুন্মেষের অপেক্ষা করিতে হয়। সেই জানেন্মেষের জন্যই তাহাকে আপাততঃ যত্ন করিতে হয়। প্রতিকার কাহাকে বলিব, কোন পথে তাহ লাভ করিতে পরিব-এ 荔列 সকল জিজ্ঞাসা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত প্রশং, সার বিষয় হইতে পারে, কিন্তু কেহ বুঝাইয়া দিলেও, আমাদের বর্তমান অবস্থায় তাহা বুঝির লইবার ক্ষমতা দেখিতে পাgয়া যায় না । তাহার জন্য অপেক্ষ না করিয়া উপায় নাই। রাজাকে ধরিয়া প্রতিকার লাভ করা যায় নী, ইতিহাস এমন কথা বলিতে পারে না। ইংলণ্ডের ইতিহাসই ' তাহার প্রধান সাক্ষী। প্রজাকে ধরিয়া প্রতিকার লাভ করা যায় না; ইতিহাস এমন কথাও বলিতে পারে না । মার্কিন জাতির ইতিহাসই তাহার প্রধান সাক্ষী । কে ধরিবে তাহার উপরেই ফলাফলের কথা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে। মানুষের মত মানুষ যাহা ধরে, তাহাই লাভ করিতে পারে। তাহার পক্ষে সকল পথই সুগম হইয় পড়ে। সুতরাং প্রতিকার চাহিবার পূৰ্ব্বে বলিতে হইবে—আমরা মানুষ চাই । ইহাতে যদি মতের অনৈক্য থাকে, আমাদের আশা নাই । ইহাতে যদি মতের ঐক্য থাকে, আমাদের কাৰ্য্যের* ঐক্য এই পথেই সংস্থাপিত হইতে পারিবে।-- মানুষ কোথায় পাইব ? মানুষ গড়িয়া তুলিবার ব্যবস্থা না করিয়া, নিয়ত কোলাইলে . সময়ক্ষয় করিলে, মুন্নুষ পাইবার সম্ভাবনা কোথায়? মাহৰ গড়িয়া তুলিবার চেষ্টই এখনকার সকল চেষ্টার প্রধান চেষ্টা । তাহাঙে ধৈর্য্য চাই। যাহার অধীরতাবে ছুটাছুটি করিতেছে, তাহারা আকাঙ্খার পরিচয় দান করিলেও, কামাল লাভ করিতে পারবে না। তাহার জন্ত সাধন চাই-তাহারই নাম তঞ্চস্তা। দেবতারা স্বৰ্গচ্যুত হইলে, তপস্তার আশ্রয় গ্রহণ করিতেন। আত্মত্যাগে তাহ সফল হইয়া উঠিত। ।