পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোচনদাস । శీ:PrSP ఇమ్రag: .ীবনীপ্রসঙ্গ। " লোচনদাস বৰ্দ্ধমানের দশক্রোশ উত্তরে কোগ্রাম নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। इंनि জাতিতে বৈদ্য ; ইহার তিনটা নাম ত্রিলোচন, ‘লোচনানন্দ ও লোচন। “চৈতন্যমঙ্গল” নামক তাহার'রচিত গ্রন্থে এই তিনটী নামই পাওয়া যায়। শেষোক্ত লোচন নামেই তিনি বিখ্যাত । “চৈতন্তমঙ্গল” গ্রন্থের শেষাংশে এবং “ছন্নভসার” গ্রন্থের আদিতে তিনি যে আত্মপরিচয় দান করিয়াছেন তাহা হইতে জানা যায় যে, তাহার পিতার নাম কমলাকর দাস এবং মাতার নাম সদানন্দী, মাতামহের নাম পুরুষোক্তম গুপ্ত, মাতামহীর নাম অভয়াদেবী,কোগ্রামে তাহার বাস এবং বৈদ্যকুলে তাঙ্গর জন্ম— “বৈস্তকুলে জন্ম মোর কোগ্রাম নিবাস ॥ আত মোর পুণ্যবতী সদানন্দী নাম। . র্যাহার উদরে জন্মি করি কৃষ্ণকাম ॥ কমলাকর দাস নাম পিতা জন্মদাতা । যাহার প্রসাদে কহি গ্লোরাগুণ গাথা ॥ মাতৃকুল পিতৃকুল যৈসে একগ্রামে। . * ধষ্ঠ মাতামহী সে অভসাদেবী নামে ॥ " মাতামহের নাম সে পুরুষোত্তম গুপ্ত। ' নানা তীর্থে পুত তেঁহ তপস্থায় তৃপ্ত । o মাতৃকুলে পিতৃকুলুে আমি একমাত্র। সহোদর নাহি মোর মাতামহের যে স্বত্র।. মাতৃকুলের পিতৃকুলের কছিলাম কথা। . নিরহরি দাস মোর প্রেম ভক্তিদাতা।” চৈতন্তমঙ্গল । @ তাহার পিতার অবস্থা মন্দ ছিল না। আজিও তাহদের ভূসম্পত্তির চিহ্নস্বরূপ “লোচনের ডাঙ্গায়" বিস্তর ব্রহ্মণ বৈস্ত বসবাস করিতেছেন । সে সমস্ত সম্পত্তি এককালে । লোচনের ছিল সন্দেহ নাই। এবং এক্ষণে তাহা তাহার কুলগুরু বংশীয় খুক্তরার মধি, কারীরা ভোগ ৰূখল করিতেছেন। e বাল্যকালে পিতামাতার একমাত্র পুত্র বলিয়া লেখাপড়ায় তাহার ততটা আগ্রহ ছিল না, এবং সেজন্য র্তাহার মাতামহকে যথেষ্ট আয়াস স্বীকার করিতে হইয়াছিল – যথা তথা যাই সে চুল্লিল-করে মোরে । দুল্লিল দেখিয়া কেহ পড়াইতে নারে । মারিয়া ধরিয়া মোরে শিথীল আখর । ধন্ত সে পুরুষোত্তম গুপ্ত চরিত্র তাহার ॥" অল্প বয়সেই তাহার বিবাহ হয়, বিবাহের পরেই তিনি পাঠাভ্যাসের জন্ত নরহরি ঠাকুরের নিকুট আগমন করেন। ৰৈশোরে তিনি প্রখণ্ডেই বিদ্যাভ্যাস করেন, যৌবনে শিক্ষাওক ও দীক্ষাগুরু ঐনরহরি লরকার ঠাকুরের আদর্শে র্তাহার চরিত্র গঠিত হয়—বহুবার তিনি সবিনয়ে তাহ উল্লেখ করিয়াছেন। " “প্রাণের ঠাকুর মোর মরহরি দাস । তার পদ প্রসাদে এ পথের প্রতি সাপ।" “কুলের ঠাকুর বন্দো ইষ্ট সে দেবতা। “ইহলোক পরলোকে সেই সে রক্ষিত ॥