পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.দ্বাদশ সংখ্যা। ] লোচনায়। \968 র্তাবিন্ধু নাহিক মোর তিনলোকে বন্ধু। , নরহরি দ্বাস বলে গোর প্রেম সিন্ধু।” জীবনের অধিকাংশ সময়ই তিনি ঐধরে গুরুগৃহে যাপন করেন। সেই নিমিত্তই বোধ- , হয়, “প্রেমলিল” গ্রন্থে লিখিত হইয়া থাকিবে— • * “বৈদ্যবংশোদ্ভব হয় শ্ৰীলোচনদাস । ঐনরহরির শিষ্ট্র্য শ্ৰীখণ্ডেতে বাস ॥” ” নরহরি ঠাকুর শ্ৰীগৌরাঙ্গের একজন পার্ষদ ভক্ত,গৌর প্রেমে তাহার হৃদয় তখন অভিষিক্ত । লোচনও স্ট্রহার সঙ্গ ও শিক্ষাগুণে গৌরপ্রেমামৃত সাগরে ডুবিয়া গেলেন। তুহারই ফলে “শ্রীচৈতন্যমঙ্গল” ও"র্তাহার রচিত পদাবলী । নরহরি ঠাকুরের আদেশে ১৪৫৯ শকে তিনি চৈতন্যমঙ্গল রচনা করেন। চৈতন্যমঙ্গলের প্রারম্ভেই আছে:– “ঐনরহরি দাস দয়াময় দেহে । কি দেখিয়া করে মোরে অবাধ সিনেহে ॥ দুরন্ত পাতকী অন্ধ অতি অনাচার । অনাথ দেখিয়া দয়া করিল আমার ॥ তার দয়া বলে আর বৈষ্ণব প্রসাদে । এই ভরসায়ে পুথি হইল অবাধে” ॥ “চৈতন্যমঙ্গল” আদি, মধ্যম, অন্ত এই তিন খণ্ডে বিভক্ত। ইহাতে সংক্ষপে প্রায় সমস্ত চৈতন্যলীলাই বর্ণিত হইয়াছে। বৈষ্ণবসম্প্রদায়ে পাঁচালীরূপে ইহার গান হইয়া থাকে। মুরারিগুপ্তের সংস্কৃত “চৈতন্যচরিত" অবলম্বনে সম্ভবতঃ এই গ্ৰন্থখানি রচিত হইয়া থাকিবে। ইহাতে ইতিহাসের শুষ্ক অস্থিপঞ্জর কবিত্ত্বকল্পনার অপরূপ লাবণ্যে মণ্ডিত হইয়াছে। কিন্তু এই “চৈতন্তমঙ্গল” কবি,অত্যন্ত,ভয়ে ভয়ে এবং সসঙ্কোচে র্তাহার প্রাণের/দেবতার • অনুপম চিত্র অঙ্কিত কুরিয়াছেন – “মুঞি অতি অল্পবুদ্ধি কি কহিব আর। মুরুখ হইয়া করি বেদের বিচার . অন্ধনে দৃষ্টহীন দিবা বড় চাহিL খৰ্ব্ব যেন চাদ ধরিবারে মেলে বাছি৷ পঙ্গু মহী লঙ্ঘিকরে করে অহঙ্কার। ক্ষুদ্র পিপীলিকা চাহি গিরি বাহিবার ॥ ঐছন আমার আশা হদুয়ে বিশাল । * গোরা অবতার কথা কহিতে বিচার ” “চৈতন্যমঙ্গল” গ্রন্থের নামকরণ সম্বন্ধে একটা প্রবাদ প্রচলিত হইয়া আসিতেছে। প্রথমে নিত্যানন্দ ঠাকুরের আদেশে শ্ৰীবৃন্দাবন দাস “চৈতন্যমঙ্গল” নামে একখানি গ্রন্থ রচনা করেন। মহাপ্রভুর সন্ন্যাস গ্রহণের পুৰ্ব্ব রাত্রে তিনি বিষ্ণুপ্রিয় দেবীর সহিত বেরূপ ব্যবহার করেন লোচন সাধনপ্রভাবে তাহ জানিয়া ঐচৈতন্যমঙ্গলে বর্ণনা করেন। কিন্তু পূৰ্ব্বোক্ত ঘটনার যাথার্থ্য লইয়া বৃন্দাবন দাস ও লোচনুদ্বাসে মহা বচা হয়। অবশেষে বৃন্দাবন দাসের জননী নারায়ণী ঠাকুরাণী লোচনীদাস বর্ণিত বৃত্তান্ত সত্য বলিয়া সমস্ত বিবাদ মিটাইয়া দেন এবং বৃন্দাবন দাসের পুস্তকের নাম সেই হইতে “চৈতষ্ঠভাগবত রাথিয় দিলেন। এই প্রবাদের মূলে কতটা সত্য আছুে—বুল যায়ু না । * 翻 鲁 লোচনদাস যে প্রস্তরের উপর বসিয়া “চৈতন্যমঙ্গল”* রচনা করিতেন আজিও তাহা শোভা পাইতেছে। • . “চৈতন্যমঙ্গল”ব্যতীত “দুৰ্ল্লভসার” “রাগলহরী”বস্তুতত্ত্বসার” “আনন্দলতিকা”“প্রার্থনা” “শ্রীচৈতন্য প্রেমবিলাস” ও “দেহনিরূপণ” নামক