পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

象。 & ৬২৮ { সাধক কাৰ্য্য এবং যাহা পরের ছঃখ নিবার ও সুখ অথবা তাহার উপায় সম্পাদনঘারা, নিজ মুখ ও নিজ দুঃখনিবৃত্তি অথবা তাহার উপায় সাধনের অভিলাষে কৃত হয় তাহ পরার্থসাধক কাৰ্য্য। কেল কেহ বলিয়া থাকেন পরার্থ কার্ঘ্যে আমাদের কোনরূপ স্বর্থীভিলাষ থাকে ন, পরের উপকার সম্পাদনেচ্ছা প্রণোতি হইয়াই, তাহা আমরা করিয়া থাকি। বাস্তবিক এই কথা যুক্তিসঙ্গত বলিয়া মনে হয় না। কারণ পরছঃখের অনুমানদ্বারা যাহাদের মনে কোনরূপ কষ্ট্রের উদয় হইয়া থাকে, তাহারাই পরের দুঃখ নিবারণের জন্য অভিলাষী হন । যাহাঁদের মনে কোনরূপ কষ্টের উদয় হয় না, তাহারা কখনও পরের দুঃখ নিবারণে প্রবৃত্ত হইতে পারেন না; ইহা অবশুই স্বীকার করিতে হইবে । তাহ ন হইলে এই জগতের সকল মমুম্বই পরের দুঃখ প্রতিকারের জন্য, সৰ্ব্বদা যত্নবান হইতেছেন, ইহা আমরা দেখিতে পাইতাম। যখন আমরা জগতের সকল মল্লযুকে পরদুঃখ প্রতীকারে নিযুক্ত দেখিতে পাইড়েছি না, তখন এইরূপ সিদ্ধান্ত করাই সঙ্গ ত যে কাহার পরদুঃখে নিজকুে দুঃখী বলিয়া মনে করেন, তাহারাই আত্মদুঃখ মিবারণের জন্ত পরদুঃখ নিবারণের অভিলাষী হইয়া থাকেন. এবং পরের দুঃখ নিবারক উপায় উদ্ভাবনদ্বার, আত্মতুঃখনিবারণের পথ পরিষ্কার করেন। অতএব এক্ষণে এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া. বাইতে পারে যে ইচ্ছাপূৰ্ব্বক আমরা যে সমস্ত কাৰ্য্য করিয়া থাকি, তাহার সকলেরই মূলে জামাদের স্বার্থভিলাষ আছে। স্বার্থভিলাষ না থাকিলে কখনও তাম্বতে আমরা প্রবৃত্ত হইতে পালি না।..এখন স্বাধ কি এই বিষয়ে . ुत्रल-नि। - [i, চৈত্র,১৩১৪ : ছই একটি কথা বলিয়া প্রস্তাবিত বিষয়ের অবতারণা করিতে, প্রবৃত্ত হইব। ‘স্বার্থএখানে দুইটি শব্দ আছে, শ্ব’ ও ‘অর্থ’। ‘স্ব' শব্দের প্রতিপাস্ত আত্মা এবং অর্থ শঙ্কের প্রতিপাদ্য অর্থনীয় অর্থাৎ বাঞ্ছনীয়। যাহা । রক্ষা করিতে বা যাহাঁ পাইতে আমাদের আত্মা . সৰ্ব্বদা বাঞ্ছা অর্থাৎ আকাঙ্ক্ষা করিয়া থাকেন, তাহারই নাম স্বাৰ্থ বা আয়ার প্রয়ােজন+ শাস্ত্রকারগণ এই প্রয়োজনকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন। স্বতঃ প্রয়োজন ও গৌণপ্রয়োজন। মুখ, দুঃখনিবৃত্তি ও আত্মস্বরূপ রক্ষা স্বতপ্রয়োজন। উক্ত স্বতঃপ্রয়োজন সম্পাদনেচ্ছায় ভোজনাদি যে সকল ক্রিয়া আমাদের অভিলধি ত হয়, তাহার নাম গৌণপ্রয়োজন। কেহ কেহ বলিয়া থাকেন, যে আত্মস্বরূপ রক্ষা স্বতপ্রয়োজনু নহে, ছখ নিবৃত্তি ও মুখের উপায়ু বলিয়া তাঙ্গ গৌণপ্রয়োজন । কিন্তু বিশেষরূপে বিবেচনা করিলে বোধ হয় এই কথা তত সঙ্গত নহে। কারণ সুথাদির কোনরূপ অভিলাষ না থাকিলেও, জাত্মরক্ষার জন্য, সৰ্ব্বদা আমাদের আকাঙ্ক বলবতী । অদ্বৈতবাদি বৈদান্তিকগণের মতে, আত্মা নিত্য সুখস্বরূপ অতএব তাহীদের মতে, আত্মরক্ষা মুখস্বরূপ সুতরাং তাহ স্বতঃপ্রয়োজন, ইহা বলিতে কোনওরূপ আপত্তিরই সম্ভাবনা নাই। মুক্তিনিরূপণে এই সকল বিষয়ের বিস্তৃত আলোচনা করা যাইবে। এইক্ষণে পূৰ্ব্বোক্ত বিচারদ্বার, ইছা সিদ্ধান্তিত হইতে পারে, যে প্রয়োজন না থাকিবে, কেহই ইচ্ছাপূৰ্ব্বক, কোন কার্ঘ্যে প্রবৃত্ত হয় না। . অতএৰ এইক্ষণে ইহার আলোচনা করা কৰ্বৰী, যে শন শাস্ত্র কখনও প্রবণের কোন