পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদর্শন । ه با . [ ৭ম বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৪ । চঞ্চল, এ সংসারের যত ছায়ালোক, যত ভুল, যত ধূলি, যত দুঃখশোক, যত ভালমন্দ, যত গীতগন্ধ ল’য়ে বিশ্ব পশেছিল তোর অবাধ আলয়ে । সেই সাথে তোর মুক্ত বাতায়নে আমি অজ্ঞাতে অসংখ্যবার এসেছিনু নামি । , দ্বার রুধি জপিতিস যদি মোর নাম কোন পথ দিয়ে তোর চিত্তে পশিতাম ! তথন করি নি নাথ কোন আয়োজন ; * বিশ্বের সবার সাথে হে বিশ্বরাজন, অজ্ঞাতে আসিতে হাসি আমার অন্তরে কত শুভদিনে ; কত মুঙ্গৰ্ত্তের পরে অসীমের চিহ্ল লিখে গেছ ! *مم 神 姊 فد چند- - 米 弥 .اجت- 豪 হে নাথ, অবজ্ঞা করি যা ও নাই ফিরে আমার সে ধূলাস্ত,প খেলাঘর দেখে! থেলামাঝে শুনিতে পেয়েছি থেকে থেকে ষে চরণধ্বনি - তাজ শুরি তাই বাজে । জগতসঙ্গীতসাথে চন্দ্রসূৰ্য্যমাঝে ।” এই ইতিহাস বহুভাবে তিনি এই রচনায় বলিয়াছেন। বাহুল্যভয়ে উদ্ধৃত করিলাম নী ॥— o স্বৰ্গ হইতে বুঝি সাহিত্যগুরু বঙ্কিমচন্দ্র કરે মুহাপ্রাণ মানবের ছৰ্ছয় সৌন্দৰ্য্যপিপাসাং রূপ চিত্তবৃত্তির চরম পরিণতি দেখিতেছেন – আর তাহার ছায়াময় পবিত্র আনন আনন্দোअञ्जल श्हेब्र पैंब्रिट्छ । r আমি এস্থলে নিবেদন করিতে চাই যে, wif morality# क्रि হইতে কোন প্রসঙ্গ এই প্রবন্ধে উত্থাপন করিতেছি না। এই কবির রচনা আলোচনা করিতে ঘাইরা যে সত্যটি তাহার জীবনে সহজে পরিণতিলাত করিয়াছে ও ঐ রচনার ভিতরে আমি যাহার সহজ উপলব্ধি করিতে পারিয়াছি, তাহাই নিবেদন করিতেছি। মর্যালিটির দিক্ হইতে দেখিতে হইলে বোধ হয় আলোচনা করিতে হয়, কবিজীবনে এই সত্যের এইরূপ পরিণতি ন হইলে কি হইতে পারিত। আমার ক্ষুদ্র বিবেচনায় এই “কি হইতে পারিত”র রাজ্যে প্রবেশ করিয়া লাভ নাই"। প্রকৃতিমাতার স্নেহাঞ্চল হইতে যে অসামান্ত প্রতিভার দান আমরা এই কবির ভিতর দিয়া পাইয়াছি, তাহাই যথেষ্ট মনে করি। কিন্তু “কি হইতে পারিত", ইছার নিষ্ফল আলোচনা না কবিয়া র্যাঙ্গর জীবনে এই মহাসত্যের এই পরিণতি হয় নাই, এরূপ কোন মহাযশী বিদেশী কবির রচনায় এই পরিণতির অভাবে “কি হইয়াছে", তাহ দেখিতে বোধ হয় দোষ নাই । আমি অমরকবি শেলির কথা বলিতেছি। শেলির সৌন্দর্য্যোপাসন বিশ্লিষ্ট সৌন্দর্য্যের উপাসনা । সময়ে সময়ে যখন তিনি কবিতার উচ্চতম আদর্শে উঠিয়া ছেন, তখন দেখিয়াছেন বটে, একই বহু इडेब्रट्झ- দেখিয়াছেন যে, এই এক আপনাকে সৌন্দর্য্যরূপে . দেখিয়া এবং প্রেমরূপে সেই সৌন্দর্য্যের ভিতরে বহুধারায় প্রবাহিত

  • হুইয়া আপনাকে বৈচিত্র্যময় বহুত্বে পরিণত

করিয়াছে। র্তাহার “Adonais"নামক কবিতার শেষ ভাবে এই উচ্চ আদর্শের পরিচয় পাই। কিন্তু এই ভাব তাহার জীবনে কখন বদ্ধমূল হয় নাই। তাহার দৈনিক ৰাবহারিক জীবনে ও নন্তে-ৰ্তাঙ্গর সাধারণ কবিজীবনেও ’