পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b'२ " বঙ্গদর্শন। ৭ম বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৪। অন্তরে সেই পুরাতন প্রশ্ন উঠিয়াছিল—“অন্ধকাল-নিযোজিত-রথারূঢ় ভীষণ রহস্তে আবৃত জীবন কি ?” এই প্রশ্নের মীমাংসায় অক্ষম হইয়া, জীবনের নিদারুণ রহস্তকর্তৃক বিজিত হইয় তাহারা মহ-অন্ধকারে ডুবিয়া গেল— এই রহস্তের দাস চিরকালের জন্য রহিয়া গেল । t g কালো, কৈশোরে ও যৌবনে যে অনবদ্য । সৌন্দৰ্য্যপ্রতিমা কবিজীবনের অবলম্বনস্বরূপ ও পথপ্রদর্শয়িত্রী, বয়োবৃদ্ধির সহিত কবির জন্তরেও এই প্রশ্নের আবির্ভাবহেতু কিরূপে সেই সৌন্দৰ্য্যপ্রতিমা কবিনয়নসম্মুখে অস্পষ্ট* তর হইতে আরম্ভ করিয়া ক্রমশ একেবারে অপস্থত হন এবং শেষে ভীষণহিমরশ্মিমণ্ডিতলক্ষ্যহীন-রথারূঢ় জীবনসমস্তাই কবির সমস্ত চৈতন্তকে আচ্ছন্ন করে, তাহাও এই কবিতায় । তিনি দেখাইয়াছেন। আর ও তিনি দেখিয়াছেন যে, যে মানব যত অধিক কল্পনা বা চিন্তার দান সংসারে বিলাইয়াছে, সে তত শীঘ্র বলহীন ও সৌন্দৰ্য্যভ্রষ্ট হইয়া জীবনের পথপাশ্বে অপবিত্র ধুলার সহিত মিশিয়াছে। এই সমস্ত দেখিয়া মৰ্ম্মান্তিক যন্ত্রণায় কবি অধীর হইয়া আমরা এইস্থলে “যে কৰিতায় পাঠক মানবজীবনের প্রসার যত অধিক অভুক্তৰ করেন, তাহা তত শ্রেষ্ঠ” এই উক্তি পুনরায় স্মরণ করিব । “জীবনের প্রসার” শৰো চৈতন্তের বহুব্যাপিত্ব এবং সেইহেতু কৰ্ম্মক্ষেত্রের বিস্তার সুচিত হইয়াছে, মনে করি। এইজন্ত প্রকৃতির অন্তর্নিহিত মহাসত্যগুলিকে যিনি যত অধিক দিক্ হইতে উপলব্ধি করিয়া মানবনয়নের সম্মুখে ধরিয়াছেন, তিনি তত শ্ৰেষ্ঠ । এই স্বত্র ধরিয়া আলোচনা করিলে বোধ হয় আমরা দেখিতে পাই যে, রবীন্দ্রনাথ মুখের দিক হইতে, সৌন্দর্যসম্ভোগজনিত মুখের অনুভূতিদ্বারা বিশ্বের সনাতন সত্যের পরিচয় পাইয়াছেন । কিন্তু প্রকৃতি মোহিনীও বটেন, ভীষণাও বটেন । রবীন্দ্রনাথ এই মোহিনী প্রকৃতিকে দেখিয়াছেন—ভীষণাকে বড়-একটা দেখেন নাই। মোহিনীর সহিত বড় নিবিড় প্রেমসম্বন্ধ স্থাপন করিয়াছেন। কিন্তু ভীষণাকে বুঝি কক্ষের অন্তরালে রাখিবারই চেষ্টা করিয়াছেন । কবি ধরিত্রীকে একস্থলে “অক্ষমা” বলিয়া সম্বোধন করিয়া বলিয়াছেন

  • frièrea—“Then what is life?”— 德 “অসীম ঐশ্বৰ্য্যরাশি নাই তোর হাতে

“তবে এই জীবন কি?” এই জিজ্ঞাসা তাহার শেষ জিজ্ঞাসা। ইহাই তাঁহার জীবনের শেষ কবিতার শেষ ছত্র। এই প্রশ্নের দাং ব্যথা: লইয়া ইহজীবন হইতে তিনি বিদায় লইয়াছেন। 象 আক্ষেপের সহিত বলিতে ইচ্ছা क्षेग्नহার, কবি যে ভূম চৈতন্তের আস্বাদ জীবনের কোন কোন'শুভমুহুর্তে পাইয়াছিলেন, তাহা দি তাহার জীবনে বন্ধমূল হইত। হে শুামলা সৰ্ব্বসহ জননি মৃন্মসি । সকলের মুখে অন্ন চাহিস্ জোগাতে, পারিস নে কতবার,—কই, অল্প কই, কঁদে তোর সন্তানের মান শুষ্ক মুখ ;– জানি মা গে, তোর হাতে অসম্পূর্ণ স্থখ, যা কিছু গড়িয়া দিস ভেঙে ভেঙে যায়, সব তাতে হাত দেয় মৃত্যু সৰ্ব্বভুষ্ক, সব আশ মিটাইতে পারিস নে হায় তা বলে কি ছেড়ে ধাব তোর তথবুক ”